শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মমতা মঞ্চে উঠেই সরাসরি আক্রমন মোদী সরকারকে

শঙ্কর গুপ্ত

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১০:৩৭ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার

উত্তর দিনাজপুর 

তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সমর্থনে রায়গঞ্জে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মঞ্চে উপস্থিত জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী, জেলা সভাপতি অমল আচার্য,পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস, অরিন্দম সরকার সহ অন্যান্যরা । মঞ্চে উঠেই সরাসরি আক্রমন করেন মোদী সরকারকে । তিনি বলেন , ভারতবর্ষে সরকার গড়তে তৃণমূল কংগ্রেস আগামীদিনে বড় ভূমিকা গ্রহন করবে। নরেন্দ্র মোদী নিজের ছাড়া কিছুই বোঝেনা বলে কটাক্ষ করেন তিনি । এই সরকারকে দূর্যোধনের সরকার বলে চিহ্নিত করেন তিনি । পাশাপাশি এবারের নির্বাচনে সিপিএম, কংগ্রেসকে ভোট না দিয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে জেতাবার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ” বাংলায় এন আর সি করতে চাইছে ধাপ্পাবাজ বিজেপি সরকার।বিজেপির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন ,” হাত দিয়ে দেখান বাংলার মানুষের দিকে, এখানে মানুষ শান্তিতে থাকতে চায় “।তিনি কাশ্মীরের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন ” জওয়ান মেরে জওয়ান প্রেম দেখাচ্ছে বিজেপি। বিজেপিকে শেম শেম বলে ধিক্কার জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি রায়ঞ্জের আসনটাতে তৃণমূলকে জেতানোর আহ্বান জানান । তাহলেই বাংলার ৪২টা আসনে জয়লাভ করবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা । তিনি বলেন, “বাংলাই আগামীদিনে ভারতের সরকার গঠন করবে। ” কংগ্রেসের সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন ” কংগ্রেসের প্রশ্রয়েই বিজেপির এতো বাড়বাড়ন্ত” বিজেপির সরকারে থাকার আর কোন নৈতিক অধিকার নেই বলে জানান তিনি।তিনি বলেন বিজেপি বিরোধীদের কন্ঠরোধ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে বিরোধীদের ভয় দেখাতে চাইছে বিজেপি সরকার। ” জনগনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন রাজ্যে কংগ্রেস,সিপিএম আর বিজেপি ভাইভাই এদের ভোট দিয়ে নিজের ভোট নষ্ট করার কোন মানে হয়না। বিগতদিনে রায়গঞ্জের সাংসদরা কোন কাজই করেননি তাই তাদের খারিজ করে তৃণমূল প্রার্থীকেই ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। অন্যদিকে সাধারণ ভোটার দের ভোট দেওয়ার সময় সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন “ভোট দানের পরে ভিভি প্যাটটা ভালো করে দেখে নেওয়ার জন্য । নিজের ভোট ঠিক জায়গায় ভোট পরছে কিনা সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান তিনি।

এদিন সভা চলার সময় আবহাওয়া খারাপ হয়ে যাওয়ার কারনে কপ্টারের বদলে সড়ক পথেই ইসলাপুরের সভার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি