বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক গ্রামবাসী

হক নাসরিন বানু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১১:২৯ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৯ রোববার

গ্রামের রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক দিলেন পুরাতন মালদার মুচিয়া অঞ্চল নেমুয়া কামাত এলাকার গ্রামবাসীরা।

রাস্তা নেই, বিদ্যুৎ নেই, এমনকি পানীয় জলও নেই৷ দীর্ঘদিনের চাহিদা না পূরণ হওয়ায় এর বিরুদ্ধে এবার গর্জে উঠেছে পুরাতন মালদার মুচিয়া অঞ্চল নেমুয়া কামাত গ্রামবাসীরা৷ উন্নয়নের দাবিতে এবার ভোট বয়কটের পথে হাঁটতে চলেছেন গ্রামবাসীরা৷ গ্রামের অনুন্নয়নের কথা স্বীকার করলেও ভোট বয়কটের কথা তাঁর জানা নেই বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। রবিবার গ্রামের বাসিন্দা যোগেন মার্ডি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে রাস্তা, বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের সমস্যা৷ ভোটের আগে সবাই বলে যায়, ভোটের পর সব সমস্যা মিটে যাবে৷ কিন্তু সমস্যা আজও মেটেনি৷ তাই ঠিক করেছি এবার আর ভোট দেব না৷ মাসখানেক আগে আগুনে আমার বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল৷ পঞ্চায়েতের লোকজন বলে গিয়েছিল, সরকারি সাহায্য করা হবে৷ কিন্তু ৪-৫ বার পঞ্চায়েতে ঘুরেও কোনও কাজ হয়নি৷ সব মিলিয়ে এবার ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি৷ একই কথা গ্রামের বাসিন্দা নুঙ্গিয়া হেমরমের৷ তিনিও বলেন, প্রায় ২৫ বছর ধরে গ্রামের অবস্থা একই আছে৷ পানীয় জল আনতে ২ কিমি দূরে যেতে হয়৷ আর কষ্ট সহ্য করতে পারা যাচ্ছে না৷ তাই এবার আর ভোট দেব না কেউ৷ সেকথা আমরা প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছি৷ গ্রামের মোড়ল নিমাই হেমরমও বলেন, এত বছর ধরে ভোট দিচ্ছি৷ কিন্তু গ্রামের সমস্যা মিটছে না৷ জল আনতে মেয়েদের রেল লাইন পেরিয়ে বিলে যেতে হচ্ছে৷ গ্রামে রাস্তা, বিদ্যুতও নেই৷ তাই এসবের বিহিত না হলে এবার আর ভোট নয়৷ 

 অনুন্নয়নের প্রতিবাদে এবার ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেমুয়া কামাত গ্রামের প্রায় ৩০০ ভোটার৷ মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শুভলক্ষ্মী গাইন বলেন, ওই গ্রামে অনেক সমস্যা রয়েছে৷ নিজেদের সমস্যা নিয়ে গ্রামবাসীরা সম্প্রতি আমার বাড়িও ঘেরাও করেছিলেন৷ কিন্তু তাঁদের ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত আমার জানা নেই৷ তাঁরা যাতে ভোট দেন তার জন্য আমি গ্রামবাসীদের বোঝাব৷