সংলাপ কতটা ফলপ্রসূ হবে?
নিজস্ব প্রতিবেদক
দৈনিক জাগরণ
প্রকাশিত : ০৫:৪৭ পিএম, ১ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপ কতটুকু ফলপ্রসূ হবে- তা বর্তমান রাজনৈতিক অঙ্গনে অন্যতম আলোচ্য বিষয়।
সাত দফা দাবিতেই যদি ঐক্যফ্রন্ট অনড় থাকে, তাহলে সংলাপ ফলপ্রসূ হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে জোর ধারণা করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ১ নভেম্বর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সাত দফা দাবি ও ১১ লক্ষ্য নিয়ে সংলাপে বসবে। যেকোনও বিষয় নিয়েই আলোচনা হতে পারে। তবে সিদ্ধান্ত হবে সংবিধানের আলোকে।
১ নভেম্বর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রংপুরে একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘তাদের সাত দফা দাবির কোনোটি মানা সম্ভব নয়। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ চান, সংসদ ভেঙে দিতে চান- এসব দাবির কোনোটিই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। ফলে সংলাপ ব্যর্থ হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এরইমধ্যে বলেছেন, সাত দফার কোনো দাবিই মেনে নেয়া হবে না। এগুলো সংবিধান বিরোধী। ২৬ অক্টোবর রাজধানীর উত্তরায় বিআরটিএর কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ মনে করেন- এই সংলাপ উল্লেখযোগ্য কোনো ফল বয়ে আনবে না। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল রাজনৈতিক অঙ্গন, দেশবাসী, বিদেশিদের দেখাবে যে, বিরোধী রাজনৈতিক দল আমাদের সংলাপের আহ্বান করেছে, আমরা বসেছি। ঐক্যফ্রন্টও বোঝাবে, আমরা সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে- সাত দফার উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো ক্ষমতাসীনরা মেনে নেবে না। এটা যদি না-ই হয়। তাহলে সংলাপ কোনো কাজে আসবে না।
ঐক্যফ্রন্ট যে তাদের দাবি আদায়ে এখনও অটল, এর প্রমাণ পাওয়া গেছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যে। ৩১ অক্টোবর একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, আমরা আশা করব, প্রধানমন্ত্রী সত্যিকার অর্থেই একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মানুষের অধিকারগুলো ফিরিয়ে দেওয়া, একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করার জন্য যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, এই সংলাপের মধ্য দিয়ে সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করবেন। আমরা সাত দফা দাবি দিয়েছি, তা অবশ্যই পূরণ করবেন। এছাড়া বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের কোনো সমাধান হবে না।