বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের বুথ সুরক্ষা বাহিনী

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১১:৫৪ এএম, ১৭ মার্চ ২০১৯ রোববার

জলপাইগুড়ি

জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূল বিজেপির আর এস এসকে রুখতে জেলার সমস্ত বুথে "বুথ সুরক্ষা বাহিনি" তৈরি করতে চলছে। লোকসভা নির্বাচনে বুথ সুরক্ষা বাহিনি কাজ করবে বলে জানালেন জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি বিজেপি উদ্দেশ্যে বলেন আর এস এস দেখিও না এবার চাপর চাপর আওয়াজ হবে। আর এমন আওয়াজ হবে মোদী থেকে মমতার ঢোল ফেটে যাবে। বিজেপিকে সৈকত বলেন, হুঙ্কার বুঝুন কিংবা হুশিয়ারি বঝুন এটা আপনাদের ব্যাপার। কিন্তু আওয়াজটা কিন্তু চাপর চাপর হবে"। 

  শনিবার জলপাইগুড়ি প্রয়াস হল ঘরে লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী সাংসদ তথা এবছরের লোক সভার প্রার্থী বিজয় চন্দ বর্মণ, তৃণমূল নেতা তথা আনন্দ চন্দ কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রেজ্জাক। যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ যুব তৃণমূলের যুবক যুবতিরা। মঞ্চে সাংসদ বিজয় চন্দ বর্মণকে ফুলের তোলা ও দলীয় উত্তোরিয় পরিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়৷ উপস্থিত অন্যান্য নেতাদেরকেও এদিন সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সভা মঞ্চে সৈকত চট্টোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি উদ্দেশ্যে এক হাত নিয়ে বলেন ৪৯ জওয়ানের মৃত্যু নিয়ে রাজনিতি করল বিজেপি৷ কে কি খাচ্ছেন সেই খবর রাখে আর জঙ্গিদের খবর রাখেন না। তিনি যুব বুথ সভাপতি উদ্দেশ্যে বলেন, যে বুথে তৃণমূল ভোটে পিছিয়ে থাকবে কিংবা ফল খারাপ হয় সেই বুথ সভাপতির চাকরি চলে যাবে৷ ভোটে যে কাজ করতে পারে না সে ভাল ছেলে না। প্রার্থী বিজয় চন্দ বর্মণ নয় প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজয় দার সাথে আমরাও মাঝে মধ্যে মত বিরোধ হয়েছে। এই দলটা আমার মা আর মায়ের সন্তান বিজয় চন্দ বর্মণ। তাকে জেতানো আমার নৈতিক কর্তব্য। আমার রক্তের দায়িত্ব । মা তৃনমুল কংগ্রেস সন্তান তৃণমূল কংগ্রেসের মাকে রক্ষা করার দায়িত্ব সন্তানের। 

  অন্যদিকে বিদায়ী সাংসদ তথা প্রার্থী বিজয় চন্দ বর্মণ বলেন, "রাজনিতি করতে গেলে অনেকের ব্যক্তিগত কথা থাকতে পারে। কে বড় কে ছোট ওটা বড় কথা নয় কর্মের দিকে এগিয়ে চলুন। সবার সাথে মিলে মিশে চলতে হবে তাহলেই দল শক্তি শালী হবে। নিজেরাই লড়াই করলে সাধারন মানুষ সঙ্গে থাকতে হবে। সবার সাথে কথা বলব৷ বুথ থেকে আরম্ভ সকলকে এক হতে হবে। সংঘাত কেউ তৈরি করে দেয় না নিজেরাই তৈরি করে।এর জন্য আমি বলব সামনে খুব সচেতন ভাবে কাজ চলবে। বড় সংকট চলছে। দলের বাইরে ও ভিতরে কুৎশা চলছে। দলকে শক্তিশারী করতে গেলে সকলকে এক হতে হবে না হলে আমরা টিকতে পারব না।