মোদীকে তুলোধুনা তৃণমূল নেতা সৌরভের
পুষ্প প্রভাত প্রতিবেদক
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৮:৩১ পিএম, ১৪ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার
জলপাইগুড়ি
"ভারতবর্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী মিথ্যে বাদী। আমার ছেলে যখন আগামীতে প্রশ্ন করবে বাবা ভারতবর্ষে প্রধান মন্ত্রী কে কে ছিলেন? আমি পর পর নাম বলার সময় নরেন্দ্রমোদীর নাম উচ্চারণ করব না। কারন নরেন্দ্রমোদী আমাদের দেশের একটা পাপ। নরেন্দ্র মোদীর জন্য চা বাগান ক্ষতি হয়েছে। আমাদের দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নোট বাতিলে বাংলা সহ জেলার ক্ষতি হয়েছে। সমবায় আন্দোলন সহ কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে। এতটাই মিথ্যে বাদী যে ওনাকে প্রধান মন্ত্রী বলতে লজ্জা লাগছে"। এই ভাবেই কেন্দ্রের বিদায়ীর বিজেপি সরকার তথা নরেন্দ মোদিকে আক্রমণ করলেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী।
বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি উকিল পাড়ার জেলা তৃণমূল সাংবাদিক বৈঠক করেন। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কিভাবে প্রচারে নামবেন ও জেলার উন্নয়নকে কি ভাবে তুলে ধরে এবছরের বিদায়ী সাংসদ বিজয় চন্দ বর্মণকে জয়ী করবেন সেই বিষয়ে আলোচনা হয়। বিদায়ী সাংসদকে ফের প্রার্থী করার জন্য তৃণমূল জেলা পার্টি অফিসে এদিন ফুলের তোরা ও শাসক দলের উত্তরিয়ো পড়িয়ে সংবর্ধনা দেন জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ , ধুপগুড়ি বিধায়ক মিতালি রায়,পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বোস সহ অন্যান্যরা। সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপি আক্রমণ করা হয়। অন্যদিকে বিজেপিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসেবে মানতে নাজার শাসক দল। সৌরভ বলেন," শাসক দলের ভোটটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই হয়৷ সুতারাং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতবর্ষের নিয়ন্ত্রক তৃণমূল হবে। চা বাগান, বন বস্তি, শহরে যে উন্নয়ন হয়েছে সেই উন্নয়নটি আগে কোন দিনও হয়নি। বামফ্রন্ট আমলে শুরু হত শিলান্যাশ। নরেন্দ্র মোদী মিথ্যেবাদী। দেশের পাপ। আমার ছেলের কাছে নরেন্দ্র মোদীর নাম উচ্চারন করব না। প্রধান মন্ত্রী বলতে লজ্জা হচ্ছে। এখানে এসে বলে গিয়েছিল সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধন করে দিয়ে গেছেন। অথচ সার্কিট বেঞ্চের তালা খুলতে পারেনি। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ৯ মার্চ এসে উদ্বোধন করলেন হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চের। ৪০ বছর ধরে সিপিএম ধরে সিপিএম মিথ্যে কথা বলেছে। সিপিএম এর নেতারা জলপাইগুড়ি বাসীর সাথে ঢোকাবাজি করেছে। উলটে জেলাটাকে লুটে খেয়েছে। আমাদের জেলার সার্কিট বেঞ্চের কাজটা ৪০ বছর লেগে গেল কিনতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাত্র চার বছরে এই কাজ করে দিলেন।আমরা যেটা বলি সেটাই করি। এছাড়াও একাধিক উন্নয়ন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে বিদায়ী সাংসদ তথা শাসক দলের প্রার্থী বিজয় চন্দ বর্মণ বলেন, "আমার কাজের জন্য আশির্বাদ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের জিত নিশ্চিত। আমাদের প্রতিটা বুথে কর্মী রয়েছে। বিজেপি সেই কর্মী নেই। কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বিষিয়টি ধন্ধে রয়েছি। আমাগীতে আরও কাজ বাকি রয়েছে। একটি ইউনিভার্সিটি হয়েছে আরও একটিি ইউনিটারি ইউনিভার্সিটি তৈরি করার ইচ্ছে রয়েছে। অন্যদিকে সাপের পার্ক তৈরি করার ইচ্ছে রয়েছে। বিষয়টি সংসদে দিয়েছিলাম। তাদের দল খোঁজ খবর করে গেছেন।