শাসক দলের ভাঙন ধরতে চাঁচলে আসছেন রাহুল গাঁধী
উজির আলি
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১০:০১ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৯ রোববার
মার্চ মাসের ২৩ তারিখে জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম নির্বাচনী জনসভা চাঁচলে| আসছেন সর্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী| ২৩ সে মার্চ ঠিক দুপুর ০১:৩০ মিনিটে চাঁচোলের মাটিতে পা রাখবেন রাহুল গান্ধী |
সর্ব ভারতীয় সভাপতি আসতেই
চাঁচলে চলছে জোরতোর আঞ্চলিক সভা জাতীয় কংগ্রেসের|
আজ রবিবার চাঁচল ২ নং ব্লকের অন্তর্গত ভাকরি অঞ্চলে আসন্ন লোকসভার তারিখ নির্ঘন্ট ও সর্ব ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সভাপতির জনসভা নিয়ে এক প্রস্তুতি সভা হয়| এই সভায় উপস্থিত ছিলেন, মালতীপুরের বিধায়ক আলবেরুনী জুলকারনাইন,জাতীয় কংগ্রেসের রাজ্য সংখ্যালঘু সাধারণ সম্পাদক নাঈম আলী, মালদা জেলা যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আবুবক্কর সাহেব ও উক্ত অঞ্চলের সভাপতি প্রমুখ|
দলীয় সূত্রে খবর, এই প্রস্তুতি সভায় তৃণমূল কংগ্রেস ও সি পি আই এম ছেড়ে মোট ৫০ জন কর্মী বিধায়কের হাত ধরে জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন |এই সভায় বিধায়ক আলবেরুনী সাহেব বলেন, আমাদের চাঁচোলের প্রত্যেকটা বুথে কংগ্রেস কর্মীদের সজাগ হয়ে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যেতে হবে|
২৩ তারিখে রাহুল জির জনসভায় যেনো চাঁচলের কোনা কোনায় মানুষ ভরে যায়|
সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে|
যেহেতু ভাকরি অঞ্চল টা কলম বাগানের লাগোয়া অঞ্চল|
তাই এই অঞ্চল থেকে সব থেকে বেশি মানুষের সমাগম করতে হবে| বুথ সভাপতি থেকে শুরু করে অঞ্চল সভাপতি ,ব্লক সভাপতি ও জেলা সভাপতি সবাই কে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেন বিধায়ক সাহেব|
বিধায়ক সাহেব আরো বলেন, মৌসম নূর বলেছেন, কংগ্রেসের নাকি লোক নাই সাংগঠনিক দুর্বল চাচলে, সেটা ২৩ তারিখ প্রমাণ হয়ে যাবে চাঁচোলের বুকে |
এদিকে মালদা জেলা কৃষি ও সেচ সমবায় কর্মাদক্ষ তথা চাঁচল ১৬ নং জেলা পরিষদ রফিকুল হোসেন সাহেব পাল্টা জবাবে বলেন,আমাদের তৃণমূল কংগ্রেস থেকে কোনো কর্মী জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেয়নি| কংগ্রেস এটা চাঁচোলের মানুষকে বোকা বানাচ্ছে, দৃষ্টিভঙ্গি করছে|
কর্মাদক্ষ সাহেব আরো বলেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও শুভেন্দু অধিকারীর যে উন্নয়ন মূলক কার্যকলাপ ও সাংগঠনিক দক্ষতা| সেই দক্ষ ফিল্ড ছেড়ে কেউ দল ছেড়ে যাবে না| এটা আমাদের বিশ্বাস| দিদির উন্নয়নের স্রোত কাজের দক্ষতা দেখে কোনো কর্মী বা সাধারণ মানুষ বিমুখ হবে না| একমাত্র উন্নয়নের জন্যেই সাধারণ মানুষ আমাদের ধরে রাখবে| এবং আসন্ন লোকসভাতে আমরা উত্তর ও দক্ষিণ মালদা দুটি আসনই শাসক দলের থাকবে আমরা আশাবাদী|
আমাদের লড়াই হচ্ছে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে
যারা ২০১৯ সে মালদা জেলায় বিলুপ্ত হয়ে যাবে|
এদিকে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক জহুর আহমেদ বলেন, যারা আজকে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে, তারা প্রকৃত তৃণমূল নয়| কিছু সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্যই তারা মুখে মুখে তৃণমূল কংগ্রেস করতো| এতে তৃণমূলের কোনো ক্ষতি হবে না||