বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তৈবুর রহমানের জানাজা নিয়ে নোংরা রাজনীতি

রাহাতুল আক্তার বড়ভূইয়া

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১২:২৩ পিএম, ৫ মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার

হজরত আল্লামা তৈয়বুর রহমান সাহেবের জানাজা নিয়ে নোংরা রাজনীতির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন ছাত্র নেতা আলী হোসেন মীরা।

  আমীরে শরিয়ত নিয়ে নোংরা রাজনীতির তীব্র নিন্দা বরাকের বুদ্ধিজীবী মহলের।
   -- বিগত আমাদের প্রিয়, বিশিষ্ট ইসলামিক পণ্ডিত হজরত আল্লামা তৈয়ীবুর রহমান সাহেবের পবিত্র জানাজায় বক্তব্য নিয়ে সোসিয়াল মিডিয়ায় চলছে নোংরা রাজনীতি, এই প্রসঙ্গে আজ মুখ খুললেন বরাকের প্রতিবাদী ছাত্র সংগঠন বিএসওয়াইএফ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আলী হোসেন মীরা।
    এই প্রসঙ্গে আজ আলগাপুর বাজারে এক সাংবাদিক ডেকে  ছাত্র নেতা বলেন, হজরত আমীরে শরীয়ত ছিলেন আমাদের আসামের একজন রত্ন , উনার পবিত্র জানাজায় অনেক অনেক দূর দূরান্ত থেকে বিশিষ্ট রাজনৈতিক এবং ইসলামিক চিন্তাবিদগন উপস্থিত ছিলেন, তার মধ্যে এআইউডিএফ সুপ্রিম মৌলানা বদরউদ্দিন আজমল ও ছিলেন।
    যেহেতু জানাজায় বক্তব্য দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই, তবুও গতানুগতিক ভাবে শোকবার্তা এবং মৃত্যের জীবন আদর্শ সম্পর্কে অনেক সময় কিছু বলা হয়ে থাকে, আমীরে শরীয়ত ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কিন্তু কথা হচ্ছে,বদরউদ্দিন আজমল ও একজন ইসলামিক পণ্ডিত এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যবসায়ী, এবং আমীরে শরীয়তের সঙ্গে দীর্ঘদিনের মধুর সম্পর্কিত একজন আলেম , অনেক কষ্ট করে, অনেক দূর থেকে, এই পবিত্র জানাজায় এসে শরিক হয়েছেন, কিন্তু সত্যি দুঃখের বিষয়, যেখানে করিমগঞ্জের শিলচরের বিধায়ককে শোক বার্তার জন্য মাইক্রোফোন দেওয়া হয়েছে অথচ বহিরজেলা থেকে আগত মেহমান, একজন বিশিষ্ট আলেম, সমাজসেবী, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যবসায়ী, এবং এক রাজনৈতিক দলের প্রধানকে, হুজুরের শেষ জানাজায় শোক বার্তার জন্য মাইক্রোফোন দেওয়া হয় নি, যা জিলা তথা বহিরজেলার অনেক মানুষের মনে আঘাত হয়েছে সত্যি। সেই জন্য এই অপমানজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত নায়কদের তীব্র ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন ছাত্র নেতা মীরা ।
    আলী হোসেন মীরা আরও বলেন যদিও মাওলানা বদর উদ্দিন আজমল এই প্রসঙ্গে কিছুই বলেন নি, বা এখানে বক্তব্য দেওয়ার কোন উদ্দেশ্যে ও আসেন নি, কিন্তু যেহেতু অন্যান্য দলের প্রতিনিধি বা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, একান্ত কর্তব্য ছিল এই বিশিষ্ট মেহমানকে সুযোগ দেওয়া। যে বা যাহারা এই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তা কিন্তু সত্যি নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেন ছাত্র নেতা মীরা।
     উল্লেখ্য মাওলানা বদর উদ্দিন আজমল যে দলের প্রধান এই দলের অন্যতম একজন প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন হজরত আল্লামা তৈয়ীবুর রহমান সাহেব,তাহা ছাড়াও তাদের মধ্যে ছিল মধুর সম্পর্ক এবং একে অপরের প্রতি ছিল আন্তরিক মহব্বত । কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, একজন বিশিষ্ট আলেম এবং বহিরজিলার সম্মানিত অতিথি হিসাবে উনাকে শোকবার্তার জন্য সুযোগ দেওয়া একান্ত কর্তব্য ছিল বলে মনে করেন ছাত্র নেতা মীরা সহ একান্ত বুদ্ধিজীবী মহল।
     হজরত আমীরে শরীয়তকে ব্যক্তিগত জীবন চলার পথে একজন উপদেষ্টা হিসাবে মেনে চলতেন বলেও উল্লেখ করেন মীরা, সাংগঠনিক বা সামাজিক যে কোন জটিলতার জন্য হুজুরের সু পরামর্শ নিয়ে চলতেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
     সবশেষে তিনি বলেন,যা হয়েছে সত্যি দুঃখজনক এবং মিডিয়ার মাধ্যমে অনেকেই দুঃখ প্রকাশ এবং নিন্দা করছেন, হতে পারে একজনের সঙ্গে ব্যক্তিগত কিছু সংঘাত বা ভূল বোঝাবুঝি , মানুষের জীবনে তা থাকবেই, তবে মনের মধ্যে তা আঁকড়ে ধরে, সুযোগকে কাজে লাগানো কোন অবস্থায় মানায় না। এমন নিন্দনীয় কাজের জন্য আজ বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী মহল বা হাইলাকান্দি জিলার একজন ব্যক্তি হিসাবে সত্যি লজ্জিত এবং দুঃখিত।
     সব শেষে ছাত্র নেতা আলী হোসেন মীরা সবাইকে একান্ত অনুরোধ করেন, যা হয়েছে সেই সব নিয়ে আর জলঘোলা না করে, আমাদের প্রিয় আমীরে শরীয়ত হজরত আল্লামা তৈয়ীবুর রহমান বড়ভূইয়া সাহেবকে যেন মহান আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন, এই দোয়া সকলের কাছে কামনা করেন মীরা