শাকারঘাট–নোয়াপাড়ার প্রাণের দাবি পূরণ: কংক্রিট ব্রিজের শিলান্যাস ইশা খানের হাত দিয়ে
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১০:৫২ এএম, ১৬ নভেম্বর ২০২৫ রোববার | আপডেট: ১০:৫২ এএম, ১৬ নভেম্বর ২০২৫ রোববার
সফিকুল ইসলাম,সামশেরগঞ্জ: মুর্শিদাবাদের শামশেরগঞ্জ ব্লকের শাকারঘাট গ্রামে দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে মাসনা নদীর ওপর নির্মিত হতে চলেছে কংক্রিট ব্রিজ—শনিবার দুপুর ২টোর সময় তার সিপিআইএম কংগ্রেস এক মঞ্চে থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে, শিলান্যাস করলেন দক্ষিণ মালদা লোকসভার সাংসদ ইশা খান চৌধুরী। এই ব্রিজের দাবি বহু দশকের। পূর্ববর্তী সাংসদ আবু হাশেম খান চৌধুরী প্রতিশ্রুতি দিলেও বরাদ্দ অর্থে কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। সেই অসম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবায়ন করতে ইশা খান চৌধুরী নিজের তহবিল থেকে বরাদ্দ করলেন ১ কোটি ২২ লক্ষ ৩৪ হাজার ১৩১ টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত হলো প্রাক্তন সাংসদের বরাদ্দ ৫০ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে ব্রিজ নির্মাণে মোট বরাদ্দ দাঁড়াল ১ কোটি ৭২ লক্ষ ৩৪ হাজার ১৩১ টাকা ১৬ পয়সা।
শনিবার দুপুরে নারিকেল ফাটিয়ে ও মিষ্টি খাইয়ে শিলান্যাস সম্পন্ন করেন সাংসদসহ মালদা–মুর্শিদাবাদের শীর্ষ কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বহু বছরের যাতায়াতের দুর্ভোগের অবসান ঘটলো। শাকারঘাটগ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া মাসনা নদীর ওপারেই রয়েছে শাকারঘাটের বড় অংশ ও নোয়াপাড়া গ্রাম। এখান থেকেই ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলার পথ। বহু বছর ধরে এই গ্রামগুলোর একমাত্র ভরসা ছিল নৌকা—দীর্ঘ সময়ের পরবর্তীতে তৈরি হয় বাসের সাঁকো, সেটাই যে হতে পারাপার।
দুর্ঘটনা ছিল নিত্যসঙ্গী। শিশু-সহ বহু মানুষ সেই সাঁকো থেকে পড়ে , কখনো সাঁকো ভেঙে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। কয়েক হাজার মানুষের প্রতিদিনের চলাচল একেবারেই অনিরাপদ ছিল—স্কুলপড়ুয়া থেকে বৃদ্ধ, সকলেরই দুর্ভোগ ছিল চরমে। এই সাঁকো দিয়ে শুধু পার হতো সাইকেল মানুষ আর ঝুঁকি নিয়ে বাইক। কিন্তু হঠাৎ কেউ চিকিৎসার প্রয়োজন হলে অ্যাম্বুলেন্স যেত না এমন করুন অবস্থা ছিল সেখানে। এমনকি যাতায়াত সমস্যার কারণে গ্রামের মেয়েদের বিয়ে পর্যন্ত ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
নেতাদের প্রতি স্থানীয় মানুষদের ক্ষোভ ছিল চরম। নেতারা প্রতিবার ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজের কাজ হচ্ছিল না। এবার শিলান্যাস হওয়ায় গ্রামে আনন্দের জোয়ার—উচ্ছ্বাসে ভরা মানুষের মুখ।
আরও দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা, ব্রিজ নির্মাণে খুশি হলেও গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল দশা তাই রাস্তাগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা।এছাড়া এলাকায় কোনও পূর্ণাঙ্গ স্কুল নেই। উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তে যেতে হয় আড়াই–তিন কিলোমিটার দূরের ডি বি এস হাই মাদ্রাসায়। কাছাকাছি একটি জুনিয়র হাইস্কুল গড়ে উঠলেও শিক্ষক না থাকায় তা আজ কার্যত অচল। তাই এলাকায় নতুন স্কুল প্রতিষ্ঠার জোরালো দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
আশ্বস্ত করেন এবং স্কুল অর্থাৎ শিক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে পদক্ষেপ নিব বলে জানান সাংসদ। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা, সিপিএম কংগ্রেস এক মঞ্চে উপস্থিতিতে, আগামী ২৬ বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করেই কি এক জোট হয়ে প্রস্তুতি। যদিও সংসদে যখন চৌধুরী জানান যে এখনো জোট হয়নি তবে সিপিএম বন্ধুরা আমাদের অস্তিত্ব ভাবে সহযোগিতা করেছে। একটা দলীয় বিষয় জোট হলে আমরা এক সঙ্গে লড়াই করব।
আরো জানান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম কংক্রিট ব্রিজের আজ অত্যন্ত আনন্দিত মানুষের আনন্দিত দেখে। এই ব্রিজ শুধু কোন এক দলের নয় এই ব্রিজ সমস্ত শ্রেণীর মানুষের জন্য যা উপকারে আসবে। এলাকার আরো উন্নয়ন প্রয়োজন আছে সেগুলো জাতীয় কংগ্রেস পক্ষ থেকে প্রতিটা বিষয় উন্নয়নের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এলাকাবাসীর দাবি এই এলাকায় হাই স্কুল নেই, তার হাই স্কুলের দাবি রেখেছেন তারা। সে বিষয়ে সংসদ শাখা চৌধুরী স্কুলের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।
সামসেরগঞ্জ কংরেস ব্লক সভাপতি শফিকুল ইসলাম তিনি জানান, দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো আজ। এই ব্রিজ তৈরি হবে এবং আজ তার শিলান্যাস মানুষের উচ্ছ্বাস মানুষের উৎসাহ একেবারেই নজির গড়বে বললেই চলে। উন্নয়নের ধারা আমাদের জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে চলতে থাকবে এবং সমস্ত রকম ভাবে আমরা সহযোগিতা করব সাধারণ মানুষকে।
দোগাছি নপাড়া প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি শহীদুল ইসলাম জানান, এলাকার মানুষ প্রচন্ড আনন্দিত প্রতিটা মানুষের ইচ্ছা ও দাবি ছিল এটা কংক্রিট ব্রিজ হোক। বহু সমস্যার সমীক্ষণ হতে হয়েছে বাসে সেতু দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে নৌকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে সবকিছুর অবসান ঘটল পরিশেষে। আগামীতে দাবি করেছেন শিডিউল অনুযায়ী এই ব্রিজের কাজ যেন হয়।
