মুর্শিদাবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রুখতে কড়া পদক্ষেপ,একযোগে বন্ধ ১,০৯৩টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১২:২৪ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২৫ বুধবার | আপডেট: ১২:২৪ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২৫ বুধবার

সফিকুল ইসলাম,মুর্শিদাবাদ: সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মীয় বিদ্বেষ ও গুজব রটনা রুখতে বড় পদক্ষেপ নিল মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ও এক্স (টুইটার)– সাম্প্রদায়িক উত্তেজনামূলক ও বিভ্রান্তিমূলক পোস্টের তদন্তে নেমে প্রশাসন একযোগে বন্ধ করল ১,০৯৩টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট। পাশাপাশি, ১১,০০০-রও বেশি বিকৃত ও ধর্মীয়ভাবে বিদ্বেষমূলক পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে।জানা গিয়েছে, জেলা পুলিশের সাইবার সেল এবং প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এই তদন্ত ও পরিষ্কার ভাবে অভিযান চালানো হয়। প্রযুক্তি-সহায়ক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য — বহু ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বিদেশ ও ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকে পরিচালিত হচ্ছিল। এমনকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে স্থানীয় মানুষের মুখ বসিয়ে ভুয়ো বক্তব্য ও ভিডিও প্রচার করা হচ্ছিল, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছিল।উৎপল কুমার সাহা আই সি সাইবারজানান, “বর্তমান ইন্টারনেট যুগে আমরা একই সঙ্গে দুটি পৃথিবীতে বাস করছি — একটি বাস্তব, আরেকটি কৃত্রিম পৃথিবী, অর্থাৎ ইন্টারনেট জগৎ। এখানে যেমন আলোর দিক আছে, তেমনই অন্ধকারও রয়েছে। এই অন্ধকার দিকটাকেই কিছু মানুষ হিংসা ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।তিনি আরও জানান, “এর আগেও প্রশাসনের তরফে ১১ হাজারেরও বেশি ফেসবুক পোস্ট ডিলিট করা হয়েছে এবং একাধিক আইডি বন্ধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪৮৬ জনকে চিহ্নিত করা হয়।কিছু লোকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে সতর্কতা করা হচ্ছে কোনও তথ্য যাচাই না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার বা পোস্ট করবেন না, বিশেষ করে ধর্মীয় বা আবেগপ্রবণ বিষয় সংক্রান্ত পোস্ট। এগুলি হিংসা ছড়াতে পারে। এমন পোস্ট বা শেয়ার করার জন্য আপনার প্রোফাইল বন্ধ হতে পারে এবং আপনার বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী, ভুয়ো তথ্য প্রচার বা বিদ্বেষমূলক পোস্ট শেয়ার করার অপরাধে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা বা কারাদণ্ডের শাস্তি হতে পারে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। উদ্দেশ্যমূলক মানুষের জন্য সাইবার অপরাধ।