একজন শ্রমিক, অথচ হৃদয়ে এক মানবতার রাজা — শেখ জিমিদার!
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০২:৪৪ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২৫ সোমবার | আপডেট: ০২:৪৪ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২৫ সোমবার

তিনি কোনো বড় অফিসের মালিক নন, নন কোনো জনপ্রতিনিধি কিংবা নামজাদা ব্যবসায়ী। তিনি এক সাধারণ শ্রমিক — সারাদিন মাঠে, ঘাটে, ইট-বালির মধ্যে ঘাম ঝরানো এক পরিশ্রমী মানুষ। কিন্তু তাঁর অন্তরের ভেতরে লুকিয়ে আছে এক অসাধারণ সত্তা — এক মহৎ হৃদয়, যেখানে রাজত্ব করে শুধু মানবতা।শেখ জিমিদারের জীবনের গল্পটা যেন এক নীরব অনুপ্রেরণা। নিজের জীবনটাকে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন পরিশ্রমের ঘামে ভিজে। প্রতিদিনের সামান্য মজুরি দিয়েই চলে তাঁর সংসার — ঘরে বউ, সন্তান, বয়স্ক বাবা-মা। কিন্তু তবুও যখনই কারও বিপদে পড়া খবর শোনেন, মনটা আর স্থির থাকতে পারে না। নিজের সামান্য উপার্জনের কিছু অংশ সঞ্চয় না করে তিনি তুলে দেন সেই মানুষের হাতে, যে হয়তো দিনটি না খেয়ে কাটাচ্ছিল।কখনও কারও বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, তিনি ছুটে গেছেন সাহায্য নিয়ে।কখনও গ্রামের কোনো অসহায় বৃদ্ধ ওষুধের অভাবে কাতর, তিনি নিজের পকেটের টাকায় ওষুধ কিনে দিয়েছেন।আবার কখনও স্কুলছাত্রের বই-খাতা কেনার টাকার অভাব, শেখ জিমিদারই এগিয়ে এসেছেন নিঃশব্দে।তাঁর মানবিক উদ্যোগের কথা ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে। কিন্তু তিনি কখনও নিজের নাম প্রচার করতে চান না। বলেন, “ভালো কাজ করলে মানুষ জানুক না জানুক, আল্লাহ জানেন — এটাই যথেষ্ট।” এই এক বাক্যেই যেন তাঁর চরিত্রের সবটুকু মহত্ত্ব ধরা পড়ে।অনেকে অবাক হয়— এত অল্প আয়ে কেমন করে তিনি এত কিছু করেন! শেখ জিমিদার হাসিমুখে বলেন, “টাকার অভাব আছে, কিন্তু মন বড় হলে জায়গা হয় সবার।”গ্রামের মানুষ তাঁকে ডাকে “মানবতার জিমিদার” নামে।তিনি যেন এই সমাজের এক নীরব যোদ্ধা যিনি লড়াই করছেন অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়ে, অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য।আজকের এই স্বার্থপর দুনিয়ায়, যেখানে মানুষ মানুষকে ভুলে যাচ্ছে, সেখানে শেখ জিমিদার যেন এক আলোকবর্তিকা। তাঁর মতো মানুষরাই প্রমাণ করেন, মানবতা এখনো বেঁচে আছে বেঁচে আছে এক শ্রমিকের হৃদয়ে, এক সাধারণ মানুষের অসাধারণ ভালোবাসায় শ্রমিক হয়েও তিনি মানবতার রাজার সিংহাসনে বসেছেন তাঁর নাম শেখ জিমিদার।