রোববার   ১২ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ২৬ ১৪৩২   ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

বহরমপুরে অস্ত্র পাচার চক্রে বড়সড় সাফল্য! উদ্ধার ৮ আগ্নেয়াস্ত্র-১৬ ম্যাগাজিন, গ্রেফতার ৩

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৯:১৫ এএম, ৬ অক্টোবর ২০২৫ সোমবার | আপডেট: ০৯:১৫ এএম, ৬ অক্টোবর ২০২৫ সোমবার

সংবাদদাতা,শফিকুল ইসলাম,বহরমপুর: মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার বড় ধরণের সাফল্য পেল, আবারও আস্ত্র উদ্ধারে বিহারের মুঙ্গের যোগ। রবিবার সকালেই বহরমপুর শহরে নাটকীয় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র, কার্তুজ ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করে পুলিশ। বহরমপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হানা দিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ জিঞ্জাসাবাদ করে আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয় ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৬টি ম্যাগাজিন, ৮টি তাজা কার্তুজ ও ছয় হাজার টাকা।রবিবার দুপুরে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাজিদ ইকবাল খান সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। ধৃতরা হলেন জাহাবুল মণ্ডল (৩২), রঞ্জিতপাড়া, থানা মুর্শিদাবাদ। মুকুল মণ্ডল (৩২), ও হকদার শেখ (৪৯), ঘুড়িয়া মাঝপাড়া, থানা মুর্শিদাবাদ। আজ সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদ এসওজি ও বহরমপুর থানার আইসি উদয় শঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল বহরমপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হানা দিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করে। তাদের জিঞ্জাসাবাদ করে আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৬টি ম্যাগাজিন, ৮টি তাজা কার্তুজ ও ছয় হাজার টাকা। মুঙ্গের থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ ট্রেনে করে নিয়ে রামপুরহাট এসেছিল। সেখান থেকে বহরমপুর এসছিল। এইগুলো বিক্রি করার উদ্দেশ্য ছিল ধৃতদের বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। জাহাবুল মন্ডল ও মুকুল মন্ডল এদের বিরুদ্ধে পুরনো কোন মামলা নেই। কিন্তু হকদার শেখ কয়েকদিন আগে জেল থেকে বেরিয়ে ফের আগ্নেয়াস্ত্র কারবারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আন্তঃজেলা অস্ত্র পাচার চক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে কিনা এছাড়া উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র গুলি কোথা থেকে নিয়ে এসেছিল এবং কার কাছে বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল, তা জানতে ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশ হেপাজত অবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ হেপাজত নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনায় বহরমপুর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। পুরো নেটওয়ার্কটি ভাঙার চেষ্টা চালাছে বহরমপুর থানার পুলিশ।