রোববার   ১২ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ২৭ ১৪৩২   ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে অনুপনগর হাসপাতালে পাঁচটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৮:৫৪ এএম, ১৫ আগস্ট ২০২৫ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:৫৪ এএম, ১৫ আগস্ট ২০২৫ শুক্রবার

সফিকুল ইসলাম,সামশেরগঞ্জ : মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ ব্লকের অনুপনগর হাসপাতালে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে পাঁচটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। গর্ভবতী মা ও নবজাতকদের দ্রুত এবং উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার লক্ষ্যে নেওয়া এই উদ্যোগে। আজ বৃহস্পতিবার, তিনটার সময় হাসপাতাল চত্বরে ডাব ফাটিয়ে ও সবুজ পতাকা ওড়িয়ে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার যাত্রা শুরু করেন শামসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। এই পরিষেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হবে, এবং ২৪ ঘণ্টা ১০০ নম্বরে কল করলেই গর্ভবতী মায়েরা এই অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা পাবেন। সম্পূর্ণ শীত ও তাপ নিয়ন্ত্রিত এই অ্যাম্বুলেন্স। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শামসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, অনুপনগর হাসপাতালের BMOH ডা. তারিক হোসেন, ধুলিয়ান পৌরসভার চেয়ারম্যান ইনজামামুল হক, হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।বিধায়ক আমিরুল ইসলাম জানান, এক সময় এই অনুপনগর হাসপাতাল ছিল ভগ্নদশায়, অবস্থা ছিল একেবারে বেহাল। আজ মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন পরিকল্পনায় এটি ৩০০ বেডের মাতৃমা হাসপাতাল ও চাইল্ড হাব—যা শামসেরগঞ্জের গর্ব। সেই চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে আজ মুখ্যমন্ত্রী পাঁচটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেছেন। বিড়ি শ্রমিক অধ্যুষিত এই অঞ্চলের কথা ভেবে পাশেই শ্রমিক হাসপাতাল উদ্বোধনের প্রস্তুতিও চলছে। সেটাও খুব শীঘ্রই চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হবে। এই অ্যাম্বুলেন্স এর মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে গর্ভবতী মা ও তাদের সন্তানরা দ্রুত চিকিৎসা পাবে— যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।” পরিষেবা পেতে যেকোনো সময় ১০২ কল করবে।

আমরা চাই, কোনও মা যেন অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ার কারণে সন্তান জন্মের সময় বিপদে না পড়েন। এই পরিষেবা শামসেরগঞ্জের প্রতিটি গর্ভবতী মা ও নবজাত শিশুর জন্য।”উল্লেখযোগ্য বিষয়, শামসেরগঞ্জবাসী ইতিমধ্যেই মাতৃমা হসপিটাল—ও চাইল্ড হাব পেয়েছেন, আর এবার পেলেন এই অত্যাধুনিক পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়াও খুব শীঘ্রই বিড়ি শ্রমিকদের জন্য নতুন হাসপাতাল উদ্বোধন হতে চলেছে। মনটায় জানিয়েছেন বিধায়ক।এই পরিষেবা চালু হওয়ায় এলাকাবাসী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক আমিরুল ইসলামকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বলা বাহুল্য যে এই উদ্যোগ গর্ভবতী মা ও নবজাতকের জীবন রক্ষায় বড় ভূমিকা নেবে।