রোববার   ১২ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ২৭ ১৪৩২   ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

জীবিকার খোঁজে গিয়ে ফিরল কফিনে, দিল্লিতে দেওয়াল চাপায় একই পরিবারের করুণ মৃত্যু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৯:৩৯ এএম, ১২ আগস্ট ২০২৫ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:৩৯ এএম, ১২ আগস্ট ২০২৫ মঙ্গলবার

নওদা,মুর্শিদাবাদ: দিল্লিতে দেওয়াল চাপা পড়ে প্রাণ গেল একই পরিবারের চারজনের। রাজ্যের তৎপরতা ও প্রশাসনের উদ্যোগে অবশেষে ফিরল প্রিয়জনদের মরদেহ। সোমবার সকালেই যখন কাফিনবন্দি দেহ পৌঁছল মুর্শিদাবাদের নওদা থানার গঙ্গাধারী জোড়তলায়, তখন শোকের মাতমে ভেঙে পড়ল ,দেখাগেলো চারি প্রান্তে কান্নার রোল।প্রাণ হারানো চারজনের নাম—রবিউল সেখ, রুবিনা বিবি, হাসিনা খাতুন ও রুকসোনা খাতুন—পেটের দায়ে কয়েক মাস আগে দিল্লি পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানেই ভাড়া বাড়িতে থেকে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। শনিবার ভোরে আচমকা সেই বাড়ির দেওয়াল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে চাপা পড়ে যায় তারা। ঘটনাস্থলেই নিভে যায় চারটি জীবন। দুর্ঘটনার খবর গ্রামে পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রিয়জনদের শেষবার দেখার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হন পরিবার ও গ্রামবাসী। ঘটনা শোনার সঙ্গে ব্যবস্থা নেয় রাজ্য প্রশাসন। স্থানীয় সাংসদ, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় রবিবার রাতেই দেহ আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। অবশেষে দুইদিন পর, সোমবার সকালেই কাফিনে মোড়া চারজনের মরদেহ পৌঁছায় নিজভিটেতে। চারি প্রান্তে কান্নার রোল ওঠে গঙ্গাধারী জোড়তলায়।শেষ বিদায়ের মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন নওদা ব্লকের বিডিও দেবাশীষ সরকার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাইদুল ইসলাম মণ্ডল, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা। আশপাশের গ্রাম থেকেও হাজার হাজার মানুষ এসে শেষ শ্রদ্ধা জানান। বিডিও দেবাশীষ সরকার বলেন, "এমন দুর্ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমরা শুরু থেকেই মরদেহ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছি। স্থানীয় সাংসদ ও জনপ্রতিনিধিরা ও সহযোগিতা করেছেন। ভবিষ্যতেও পরিবারগুলির পাশে থাকব, বলে আশ্বাস দেন। নওদার গঙ্গাধারী জোরতলা গ্রাম আজ স্তব্ধ। অনেকেই বলছেন, জীবনে এমন করুণ দৃশ্য আর কখনও দেখেননি তারা। জীবিকার খোঁজে রাজ্য ছেড়ে যাওয়া মানুষগুলোর ফিরতি যাত্রা হলো কফিনে—যা গ্রামবাসীর মনে চিরস্থায়ী ব্যথা হয়ে রইল।