রোববার   ১২ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ২৭ ১৪৩২   ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

ফারাক্কায় বিজেপি বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল, মনিরুল ইসলামের তোপ ‘বিজেপি তুমি ভারত ছাড়ো’

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১০:০১ এএম, ১১ আগস্ট ২০২৫ সোমবার | আপডেট: ১০:০১ এএম, ১১ আগস্ট ২০২৫ সোমবার

সফিকুল ইসলাম, ফারাক্কা, ১১ আগস্ট:  মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর নির্দেশে ও ফারাক্কা বিধানসভা বিধায়ক মনিরুল ইসলামের উদ্যোগে রবিবার বিকেলে এমএলএ ভবন থেকে নিউ ফারাক্কা পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ পথ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। অসংখ্য মানুষ এই বিক্ষোভ মিছিলে বিধায়কের সঙ্গে পায়ে পা মেলান। এই মিছিলের মাধ্যমে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলা ভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায় ও হেনস্থার প্রতিবাদ জানানো হয়। পথ মিছিল শেষে নিউ ফারাক্কায় সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তৃণমূল ব্লক সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও সমালোচনা করেন। ফারাক্কা বিধায়ক মনিরুল ইসলাম বিজেপি কে তুলাধনা করেন ,তিনি বলেন, “বিজেপি সরকার ধর্মের নামে রাজনীতি করে মানুষ কে বিভ্রান্ত করছে। উন্নয়নের কোনো পরিকল্পনা নেই, মানুষকে ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে বিভক্ত করা। আর কাগজপত্র নিয়ে মানুষকে দৌড়াদৌড়ি করা,নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছে।বিধায়ক মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, “দুর্গাপুরে ঘটনা নিয়ে যে, গোরুর নামে বিজেপির দুষ্কৃতিরা যে অপরাধ করছে তা নিন্দনীয়। যদি গরু সত্যিই গোমাতা হয়, তাহলে দুধ দেওয়ার পর কেন তাকে অবহেলা করা হয়? তদুপরি গরুর মাংস রপ্তানি বন্ধ করে গরু কাটা বন্ধ করার আইন কেন পাশ করা হচ্ছে না?” তিনি কেন্দ্র সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, “মানুষের অধিকার নিয়ে যেভাবে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে সরকার পতন হলে এই সরকার অবস্থা কি হবে তা বুঝতে পারবে।দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে পুলিশের নির্যাতন, অবৈধ ভাবে লকআপে ভরে দেওয়া এবং বাংলাদেশি অপবাদ দিয়ে তাদের বাধ্যতামূলক বিতাড়নের ষড়যন্ত্রের করছে তা একেবারে নাক্কারজনক। পাশাপাশি SIR নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্ট করছে বিজেপি, এর বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ইতিমধ্যেই বৃহত্তম আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন বিজেপির এমন চক্রান্তের বিরুদ্ধে। আমরা বলছি—‘বিজেপি তুমি ভারত ছাড়ো।’ আধার কার্ড, রেশন কার্ড দিয়েও নাগরিকত্বের অধিকার দেওয়া হচ্ছে না। যেই ভোটার কার্ডের মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, সেটাকেই নাগরিকতা নয় বলে দাবি করা হচ্ছে। তাহলে প্রধানমন্ত্রী কি করে বৈধ হতে পারে? সেও অবৈধ।”

তিনি বলেন, “আমাদের সময় জন্ম সার্টিফিকেটের প্রচলন তেমন ছিল না, এটি আনুমানিক ১৯৯৫ সালের পরে শুরু হয়েছে। তাই এইসব দস্তাবেজ নিয়ে নাগরিকত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করা বিভ্রান্তিকর।” তিনি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “নির্বাচন কমিশন বিজেপির পক্ষে কাজ করছে, যা মেনে নেওয়া যায় না। তাই নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবি করছি।