রোববার   ১২ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ২৭ ১৪৩২   ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

নানুর দিবসে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসকে একহাত নিলেন বিধায়ক

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১০:২৪ এএম, ২৮ জুলাই ২০২৫ সোমবার | আপডেট: ১০:২৪ এএম, ২৮ জুলাই ২০২৫ সোমবার

সফিকুল ইসলাম, সামশেরগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ: সামশেরগঞ্জে রবিবার বৈকালে ডাকবাংলো বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকায় নানুর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত হল এক জনসভা। জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে কেন্দ্র ও বিরোধীদের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শোনা গেল। মূল আলোচনার বিষয় ছিল গঙ্গা ভাঙনের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা, ভিন রাজ্যে বাংলা ভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নির্যাতন, ও বিজেপির "ষড়যন্ত্রমূলক আইন"।এই সভায় উপস্থিত ছিলেন শামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, ব্লক তৃণমূল সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ভাসাইপাইকর পঞ্চায়েত প্রধান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। দলের সক্রিয় নেতা এপ্রিল এবং বিপুল সংখ্যক তৃণমূল সমর্থকদের অংশগ্রহণে জনসভা ছিল চোখে পড়ার মতো।  বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, “কেন্দ্র সরকার একের পর এক নতুন আইন নিয়ে আসছে, যা সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলতে পারে। এগুলো সবই বিজেপির কৌশল, মানুষকে ফাঁদে ফেলার পরিকল্পনা।”সিপিএম ও কংগ্রেসকে 'ভোট কাটোয়া' আখ্যা:তিনি সিপিএম এবং কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। বলেন, “তাঁরা দীর্ঘদিন রাজ্য ও কেন্দ্রে ক্ষমতায় থেকেও গঙ্গা ভাঙনের সমস্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের বাসস্থান ও পূর্ণবাসনের ক্ষতিপূরণ কেনো নির্দিষ্ট আইন আনেননি। এই বক্তব্যের সাংবাদিক প্রশ্ন করেন তাহলে কি রাজ্য সরকার নতুন করে গঙ্গা ভাঙনের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পূর্ণবাসনের আইন নিয়ে আসবে? তিনি প্রশ্নের উত্তরে স্পষ্ট করেননি, তিনি বলেন গঙ্গা জাতীয় নদী এবং এই বিপর্যয় জাতীয় বিপর্যয় রাজ্য সরকারের পক্ষে একা কাজ করা সম্ভব নয়। এবং ফারাক্কা ব্যারেজ কে জল ছাড়া নিয়ে অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ নিয়ম না মেনে জল ছাড়ছে, যার ফলে গঙ্গা ভাঙন আরও বাড়ছে। তিনি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান এবং কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।বর্তমান রাজ্য সরকার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখছে।উল্লেখযোগ্য কদিন আগে কংগ্রেসের ত্রিপল বিতরণ সভা কে নিয়ে কটাক্ষ করেন বিধায়ক। কংগ্রেস ত্রিপল বিলি করে লোক দেখানো কাজ করছে—যা আসলে ‘ঘোড়ার গাড়ির তিরপল’ ছাড়া কিছুই নয়।” পরিযায়ী শ্রমিক ও রোহিঙ্গা বিতর্কে পাল্টা প্রশ্ন:বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে বাংলা ভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচারের নিন্দা করে তিনি বলেন, “ওই সব রাজ্যে আমাদের ভাই-বোনেরা নিগৃহীত হচ্ছেন। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন।” তারও প্রতিবাদ আমরা আজকে জানিয়েছি।বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর 'রাজ্যে দেড় কোটি রোহিঙ্গা মুসলিম রয়েছে'—এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিধায়ক বলেন, “যদি সত্যিই রোহিঙ্গারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় ঢুকে থাকে, তাহলে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে অমিত শাহ কী করছিলেন? রোহিঙ্গাদের প্রবেশ যদি হয়ে থাকে, তাহলে তার দায় বিজেপিকেই নিতে হবে। এটা তাদের ষড়যন্ত্র। বর্ডারের দায়িত্ব তো কেন্দ্রের তাহলে কিভাবে রোহিঙ্গারা ঢুকবে আঙুল তুলেছেন কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে। সভা থেকে বিধায়ক বার্তা দেন—নানুর দিবসের শহিদদের স্মরণে এই দিনটি মানুষকে সচেতন করার দিন। তিনি বলেন, “বাম আমলে যেমন সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করা হয়েছে, আজ তেমনই বিজেপি নানা কৌশলে মানুষকে শোষণ করছে। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।”