সোমবার   ০৭ জুলাই ২০২৫   আষাঢ় ২৩ ১৪৩২   ১১ মুহররম ১৪৪৭

কবিতা - মুগ্ধময় বর্ষা

মোঃ ইজাজ আহামেদ

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৫:১৪ পিএম, ৬ জুলাই ২০২৫ রোববার | আপডেট: ০৫:১৪ পিএম, ৬ জুলাই ২০২৫ রোববার

মুগ্ধময় বর্ষা 

মোঃ ইজাজ আহামেদ 

 

বর্ষারাণী এসেছে 

বৃষ্টিতে ভিজে,

আকাশ মিশেছে 

সবুজের মাঝে,

গাছেরা সেজেছে 

সবুজের সাজে।

 

 

বর্ষারাণী এসেছে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে,

আকাশ মিশেছে সবুজের দিগন্তে,

মেঘ-রোদ্দুর উঁকি মারছে আকাশের জানালাতে,

মাঠেরা দেহ ঢেকেছে সবুজের বোরখাতে,

মনখারাপের নদী-দিঘী-পুকুরের মুখে ফুটেছে হাসির রেখা,

আকাশের দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে মেঘবালক-বালিকা,

স্বাগত জানাতে হাত মেলাচ্ছে পাহাড়েরা,

আনন্দ করছে পশুপাখি ও ছেলেরা।

 

 

বর্ষারাণী এসেছে 

বৃষ্টিতে ভিজে,

বাতাস সেজেছে 

সোঁদা গন্ধ মেখে।

 

 

বর্ষারাণী এসেছে 

বৃষ্টিতে ভিজে;

পুকুর-বিল মাথা সাজিয়েছে 

শাপলা গুঁজে।

কদম, জুঁই, রজনীগন্ধার ঘ্রাণ মেখে

বাতাস মুগ্ধ করেছে সকলকে।

 

 

মোঃ ইজাজ আহামেদ
মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

পরিচিতি: মোঃ ইজাজ আহামেদ (Md Ejaj Ahamed) একজন দ্বিভাষিক কবি, লেখক, সম্পাদক, সাংবাদিক, অনুবাদক,  শিক্ষক ও পিস অ্যাম্বাসেডর। তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার অরঙ্গাবাদের মহেন্দ্রপুর নামক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৯০ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি। তিনি পরিবারের ছয় ভাই বোনের মধ্যে বড়ো। পিতা-মোঃ সামসুদ্দিন বিশ্বাস যিনি কখনো স্কুলে যাননি কিন্তু গ্রামের কিছু শিক্ষিত ব্যাক্তিদের কাছে  পড়া- লেখা শিখেছেন। মাতা-মতিয়ারা বিবি তিনি চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন। মোঃ ইজাজ আহামেদ-এর শিক্ষাগত যোগ্যতা- ইংরেজি অনার্স, ট্রিপল এম.এ,  বি.এড, ডি. এল.এড। তিনি বেশ ২০০৮ সাল থেকে কয়েকটি বেসরকারি স্কুলে ও  কোচিং সেন্টারে ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন । ছোট থেকেই তিনি মেধাবী ছিলেন। স্কুলে পড়াকালীন ক্লাসে প্রায় প্রথম হতেন, অবশ্য দুইবার তৃতীয় হয়েছিলেন। মাধ্যমিকে সুতি থানা এলাকায় তিনি  প্রথম হয়েছিলেন। ছোট থেকেই পারিবারিক আর্থিক প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে পড়ার পাশাপাশি লেখালেখি চালিয়ে যান। তাঁকে বিড়ি বেঁধে পড়াশুনা চালাতে হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি প্রথম কবিতা লেখেন। ডি এন সি কলেজে পড়াকালীন  কলেজের 'অয়ন' পত্রিকায় প্রত্যেক বছর তাঁর বাংলা-ইংরেজি কবিতা ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হত। তাঁর বাংলা-ইংরেজি  কবিতা, প্রবন্ধ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন পত্রিকা, জার্নাল ও যৌথ কাব্যগ্রন্থে  প্রকাশিত হয়েছে (বাংলাদেশ, পাকিস্থান, সৌদি আরব, তাজিকিস্তান, তুরস্ক, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, রোমানিয়া, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, তিউনিশিয়া, মিশর, ইটালি, বেলজিয়াম, কসোভো, পোল্যান্ড, আলবেনিয়া, গ্রীস, জার্মানী, স্পেন, লেবানন, ইরাক, ইরান ইত্যাদি দেশ থেকে)। তাঁর কবিতা ২২টি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে - আরবী, চীনা, কোরীয়, তুর্কী, ইতালীয়, আলবেনীয়, তাজিক, পোলিশ, হিন্দী, উর্দু,  রুশ, বসনিয়ান, কিরগিজ, ডাচ, জার্মান, পার্সি,  ইন্দোনেশীয়, সার্বীয়, বুলগেরীয়, ফিলিপিনো, ফরাসি, স্পানিস। একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে Discovery and the Golden peak of Improvement  এবং একটি আন্তর্জাতিক মানের বইয়ে Exploring New Trends and Innovations in English Language and Literature নামক দুটি রিসার্চ পেপার প্রকাশিত হয়েছে।  তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ 'স্বপ্ন তরী', 'বাংলা সাহিত্য ও সিনেমায় গোয়েন্দা চরিত্র',  'মনের পাণ্ডুলিপি', 'হৃদ-ক্যানভাস', 'অন্তরের কাব্যকথা', নির্বাচিত কবিতা মানবতা ও শান্তির জন্য' ও 'পড়ন্ত সন্ধ্যা'।  তিনি আন্তর্জাতিক 'স্বপ্নের ভেলা সাহিত্য পত্রিকা'র সম্পাদক, 'আন্তর্জাতিক সাহিত্য সুবর্ণ' পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর একজন সদস্য ছিলেন, বর্তমানে উপদেষ্টা মন্ডলী হিসেবে আছেন এবং কাদেরী টাইমস পত্রিকার উত্তরবঙ্গ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মাদার টেরেজা ফাউন্ডেশন- এর মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি। তিনি  ভারত ও বাংলাদেশের ফটো ও পরিচিতি সহ ১৯১ জন কবিদের কবিতার সংকলন 'কবিতার সাগর', ১৭১ জন কবির 'কবিতার অরণ্য' ও ৫০ জন কবির 'কবিতার আকাশ ' সম্পাদনা করেছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন খবরের কাগজে সাংবাদিকতা করেন। তিনি নতুন ধারার  ইজাজীয় কবিতা (পনেরো পংক্তির কবিতা। পাঁচ পংক্তির তিনটি স্তবক। মিলবিন্যাস-রীতি হল - ক খ ক খ ক, ক খ ক খ ক, ক খ ক খ ক।) ও বিজ্ঞান কবিতা তৈরি করেছেন। তিনি কবিরত্ন, সহিত্যিকরত্ন, বঙ্গবন্ধু সন্মাননা, নূর মহম্মদ স্মৃতি সন্মাননা সহ অনেক পুরস্কার এবং বেশ কয়েকটি দেশের ইউনাইটেড নেশনস ও ইউনেস্কো স্বীকৃত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে বিভিন্ন সন্মাননা ও সাম্মানিক ডক্টরেট পেয়েছেন। তিনি সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন প্রদত্ত রাজা রামমোহন রায় স্মৃতি স্মারক সম্মান পেয়েছেন।
ইকরা ফাউন্ডেশন থেকে আইকন অফ পিস অ্যায়ার্ড, ইকরা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক কবিতা সম্মেলন ২০২২- এ বাংলাদেশ বেস্ট অ্যায়ার্ড ২০২২, এশিয়ান প্রেস সাহিত্য সম্মান ২০২২', বিদ্যাসাগর স্মৃতি সম্মাননা, বাংলাদেশ থেকে ১৮ বছর পূর্তি কবি মিলনমেলা ও কবি জীবনানন্দ দাশ সাহিত্য  সম্মাননা- ২০২২, নবকণ্ঠ সম্মাননা স্মারক, প্রতিভার উন্মেষ কবি সম্মাননা-২০২১, দৈনিক মানব বার্তা থেকে সম্মাননা, কাজাখস্থান থেকে ইন্টারন্যাশনাল লিটেরারি কম্পিটিশন 'লিটারারি এশিয়া - ২০২৩' সাম্মানিক ডিপ্লোমা পেয়েছেন, আল বাসাম ইউনিভার্সিটি অফ কালচার, আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স থেকে সাম্মানিক ডিপ্লোমা, দ্যা প্যালেস অফ কালচার ইউনিভার্সিটি  ফর সায়েন্সস লিটারেচার আর্টস অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড পিস থেকে সাম্মানিক ডিপ্লোমা, আরবের ইন্টারন্যাশানাল রাইটার্স ইউনিয়ন ও এলিট ম্যাগাজিন থেকে সম্মাননা, ইরাকের আল ম্যাশ্রেক থেকে সম্মাননা,  মিশরের দ্যা ইজিপশিয়ান ইন্টারন্যশনাল অর্গানাইজেশন অফ অ্যাম্বাসেডরস ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান সায়েন্সেস থেকে কয়েকটি সম্মাননা, মরোক্কোর ইন্টারন্যশনাল একাডেমি অফ কালচারস থেকে সম্মাননা, নাইজেরিয়ার জেনেসিস ওয়ার্ল্ড রাইটার্স কমিউনিটি থেকে সম্মাননা, কলম্বোর ইনস্টিটিউট কালচারাল কলম্বিয়ানো থেকে সম্মাননা, ওয়ার্ল্ড লিটেরারি ফোরাম ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস থেকে সম্মাননা, আলজেরিয়ার 'লাজার ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ আর্টস্ অ্যান্ড পিস' থেকে সম্মাননা, কলম্বোর  ইনস্টিটিউট অব কলোমোবিয়ানা থেকে সম্মাননা, রোমানিয়ার ওয়ার্ল্ড লিটেরারি আর্ট ইম্প্রেশন আয়োজিত ইউনিভার্সাল পোয়েট্রি কাপ ২০২৩ -এ দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন, চীন থেকে ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট পোয়েট্ অফ দ্য ইয়ার ২০২৪ হয়েছেন। মিশরের আলরোয়াদ নিউজ থেকে বিশ্বের ১০০ শিল্পীদের মধ্যে একজন অন্যতম ব্যক্তি হয়েছেন। তিনি তিউনিশিয়া, রাশিয়া, তাজিকিস্তান ইত্যাদি বিভিন্ন দেশ থেকে আরও সান্মানিক ডিপ্লোমা সহ বিভিন্ন  সম্মাননা পেয়েছেন।
     তিনি যেসকল সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের পদ লাভ করেছেন (পদবীসহ) : সম্পাদক- স্বপ্নের ভেলা সাহিত্য পত্রিকা, উত্তরবঙ্গ সম্পাদক - কাদেরী টাইমস,  উপদেষ্টা - 'আন্তর্জাতিক সাহিত্য সুবর্ণ' পত্রিকা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক- জয় বাংলা সাহিত্য পরিষদ (বাংলাদেশ)।
প্রেসিডেন্ট, মুর্শিদাবাদ জেলা - মাদার টেরেজা ফাউন্ডেশন, এডমিন - পুষ্পপ্রভাত নিউজ পোর্টাল,
মডারেটর-লন্ডন পোয়েটস্ ক্লাব( ইংল্যান্ড), মডারেটর ও অ্যাম্বাসেডর - ইন্টারন্যাশনাল লিটারেসি স্টাডি( বাংলাদেশ),  অ্যাম্বাসেডর- জেনিসিস ওয়ার্ল্ড রাইটার্স কমিউনিটি (নাইজেরিয়া), অ্যাম্বাসেডর-  'অ্যাসোসিয়েজিওন কালচারাল পার লা পেস এল উমানিতা' ( রোমানিয়া), অ্যাম্বাসেডর- 'ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যাম্বাসেডরস একাডেমি' র সদস্য(মিশর)। অ্যাম্বাসেডর- 'ইকরা ফাউন্ডেশন' (জেরুজালেম),  'গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডরস অফ সাসটেইনেবিলিটি'র সদস্য ও সার্টিফাইড অফিসার (দুবাই), পিস অফ মেম্বার অফ 'ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস' (মিশর), সদস্য- 'ফেদার অ্যান্ড এক্সটেন্ডার হিউম্যানিটি একাডেমি' ইউরোপ এবং তুরস্ক শাখা, সদস্য- গ্লোবাল ফ্রেন্ডস ক্লাব, অ্যাম্বাসেডর ফর  ওয়ার্ল্ড পিস- ফাউন্ডেশন মারিয়া গ্লাডেজ, মেম্বার অফ ওয়ার্ল্ড স্পিরিচুয়াল হিউম্যানিটি অ্যান্ড পিস লিটেরারি অ্যাসোসিয়েশন, হিউম্যানিটেরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফিলোসোফিকাল ম্যাগাজিন- এর এডমিন, ইন্টারন্যাশনাল ডিরেক্টর অফ ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশনস অ্যান্ড মেম্বার অফ ওসার্টিভা সোশ্যাল মিডিয়া এডমিনিস্ট্রেটরস/ মডারেটরস কমিটি, অ্যান এজেন্সি অফ দ্যা সভ্রিন অনলাইন স্টেইট (নাইজেরিয়া), মেম্বার অফ ফারসালা একাডেমি ( গ্রীস), ইত্যাদি।