রোববার   ১২ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ২৬ ১৪৩২   ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাল সার্টিফিকেটে জমি বিক্রির অভিযোগে তৃণমূল প্রধান বিপাকে

পুষ্প প্রভাত ডেস্ক

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৮:৫২ পিএম, ৫ জুলাই ২০২৫ শনিবার | আপডেট: ০৮:৫২ পিএম, ৫ জুলাই ২০২৫ শনিবার

সিনেমাকেও হার মানায়! জীবিত বৃদ্ধকে ‘মৃত’ দেখিয়ে সাত বিঘা আমবাগান বিক্রির অভিযোগ, জড়িত তৃণমূল প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্য!

 

তনয় কুমার মিশ্র, মালদা, ৫ জুলাই:

সিনেমার গল্পকেও হার মানানো এক প্রতারণার অভিযোগে তোলপাড় মালদা! জীবিত মানুষকে ‘মৃত’ দেখিয়ে জাল ওয়ারিশন সার্টিফিকেট বানিয়ে প্রায় সাড়ে সাত বিঘার একটি আমবাগান বেআইনিভাবে হাতিয়ে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যর বিরুদ্ধে।

 

৬২ বছরের মোস্তাকিম শেখ, বাড়ি ইংলিশবাজারের অমৃতি এলাকায়। ১৯৭২ সালে কানাইপুর মৌজায় খতিয়ান নং ২৯২ ও ৬৯৬, দাগ নং ১১৩২-এর অধীনে দুই একর ৫২ শতকের একটি আমবাগান কিনেছিলেন তিনি। সেই জমির উপরই চলে প্রতারণা।

 

অভিযোগ, মানিকচকের চৌকি মির্দাতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আনোয়ার হোসেন ও সদস্য তাজবুল শেখের মদতে মোস্তাকিমকে 'মৃত' দেখিয়ে জাল ওয়ারিশন সার্টিফিকেট বানানো হয়। তারপর সেই কাগজ দেখিয়েই জমিটি বিক্রি করে দেওয়া হয়। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের রেকর্ডেও নাম বদলে ফেলা হয় বলে অভিযোগ।

 

মোস্তাকিম শেখ বিষয়টি জানতে পেরে তড়িঘড়ি জেলা শাসক ও ভূমি দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি ইংলিশবাজার থানায় ১২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন তিনি। অভিযোগে নাম রয়েছে—পঞ্চায়েত প্রধান আনোয়ার হোসেন, সদস্য তাজবুল শেখ, ইংলিশবাজার ব্লকের বি এল আর ও, রেভিনিউ অফিসার, জমির ক্রেতা রেজাউল নদাব, রাজেস নদাব, রোশনারা বিবি, বিক্রেতা জামিলা বিবি, বাবলু খান এবং দুই জমি মাফিয়া আজবুল শেখ ও আবুল কালাম আজাদের।

 

ঘটনায় শুরু হয়েছে তদন্ত। মানিকচকের বিডিও অনুপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “অভিযোগকারীদের সোমবার ডাকা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের কাউকেই ছাড়া হবে না।”

 

অন্যদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান আনোয়ার হোসেন। তাঁর দাবি, “আমার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। সার্টিফিকেট তৈরি হওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।”

 

এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জেলা ভূমি দপ্তরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে সাধারণ মানুষ।