সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কবিতা - ছায়াপথে অপেক্ষা

ডাঃ অনিরুদ্ধ পাল

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৮:২৮ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শুক্রবার

 

ছায়াপথে অপেক্ষা  

ডাঃ অনিরুদ্ধ পাল 

 

আকাশের মাঝেতে ছায়াপথ ধরে হাঁটি,

কত স্মৃতি জমা আছে পথে তা দেখি।

শৈশবে একসাথে কত খেলা করেছি,

যৌবনের উচ্ছলতায় মেতে উঠেছি।

যৌবনের উচ্ছলতা কবে গেছে চুকে,

প্রৌঢ়ত্বের ছাপ পড়েছে মুখে চাহনিতে। 

কাজে কর্মে, সুখে দুঃখে কাছে ছিল বাপি,

কোন কাজে পিছু হটে ফিরে নাহি চাহি।

তুমি চলে গেলে সেই সুদূরের পথে,

মন দেব তোমার অসমাপ্ত কাজে।

স্মৃতি যদিও কষ্ট দেয়, বিরহ বেদন লাগে,

তবুও সুখ-শান্তি, তবু্ও আনন্দ জাগে।

তরঙ্গ মিলায়ে যায়, তরঙ্গ আবার উঠে,

কুসুম ঝরিয়া পড়ে, আবার কুসুম ফোটে।

অরুণোদয়ে আলোর জ্যোতি দেখি অন্তরে, 

প্রাণময় সুর ও তাল পরশিল মোর হৃদয়ে। 

তাই অপেক্ষায় থাকি আমি তোমার,

কবে হবে দেখা মোদের আবার।

 

 

 

 

ডাঃ অনিরুদ্ধ পাল 

 হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

     

কবি পরিচিতিঃ- পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার সরস্বতী নদীর তীরে ডোমজুড় থানার অন্তর্ভুক্ত দফরপুর গ্রামের পঞ্চাননতলায় ১৯৫৪ সালের ২৬শে এপ্রিল ডাঃ অনিরুদ্ধ পাল জন্মগ্রহণ করেন। পিতা প্রসাদ চন্দ্র পাল, মাতা চিন্তামণি দেবী। শিক্ষাগত যোগ্যতা - কলকাতার আশুতোষ কলেজ থেকে স্নাতক(Science Graduate)। এছাড়া হোমিওপ্যাথি ডিগ্রীও আছে। সরকারে উচ্চপদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

সাহিত্য চর্চা - বই লেখার সূত্রে এবং সমাজসেবার জন্য বিশেষত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও যোগথেরাপির দ্বারা দুস্থ ও আর্ত মানুষের সেবার মাধ্যমে রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার, বিদ্যাসাগর স্মৃতি পুরস্কার, রাজা রামমোহন রায় স্মৃতি পুরস্কার, ন্যাশনাল কোভিড -১৯ ওয়্যারিয়র্স পুরস্কার, ড. আম্বেদকর ফেলোশিপ ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড - ২০২০, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ন্যাশনাল ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড -২০২১, গ্লোবাল হিউম্যান রাইট্স্ ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে "প্রাইড বেঙ্গল " অ্যাওয়ার্ড, অল বেঙ্গল রিপোর্টার্স ক্লাবের তরফ থেকে " বিশ্ববাংলা সাহিত্য গৌরব " সম্মান, বিশ্ববাংলা সাহিত্য একাডেমি কর্তৃক "সাহিত্য রত্ন - ২০২২" সম্মান, ড. এ পি জে আবদুল কালাম জাতীয় পুরস্কার, Indo-Nepal Dalit Maitri International Award ইত্যাদি পেয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে স্বর্ণপদক ও স্টার পদকও পেয়েছেন। কলকাতা বইমেলায় ডাঃ পালের পাঁচটি বই প্রকাশ পেয়েছে - ১) 'অ্যালবাম', ২) 'জনসংখ্যা শিক্ষা প্রশিক্ষণ', ৩) 'রোগারোগ্যে হোমিওপ্যাথি সঙ্গে যোগপ্যাথি', ৪) ''সাগরিকা উপাখ্যান', ৫) 'মনোবীণা'(কাব্যগ্রন্থ), 'মহাপুরুষ প্রসঙ্গে' ও ৭) 'নানান্ প্রসঙ্গে' কবিতা ও প্রবন্ধ লেখেন। বিভিন্ন পত্রিকায় তা ছাপা হয়েছে। বিবাহ করেন ১৯৮৪ সালে। স্ত্রীর নাম তুলিকা পাল। স্ত্রী সায়েন্স গ্র্যাজুয়েট। এক কন্যা সাগরিকা ও এক পুত্র অর্ণব। অর্ণব কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে NIC-তে Scientist পদে কর্মরত। বর্তমানে অবসর জীবনে সাহিত্য ও সমাজ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তাঁর কাছে নিঃস্বার্থ সেবাই পরম ধর্মস্বরূপ।