আর এক নাসেরকে চাই
খগেন্দ্রনাথ অধিকারী (প্রাক্তন অধ্যক্ষ)
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৮:৩৯ এএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সোমবার
আর এক নাসেরকে চাই
খগেন্দ্রনাথ অধিকারী
নাস্তিক্যবাদীরা, যেমন চার্বাক, কালমার্কস, ফ্রেডারিখ এঙ্গেলস, নেলসন ম্যাণ্ডেলা ধর্মকে সমাজের বুকে যত অনাসৃষ্টির মূল হিসাবে দেখেছেন। আবার, নাজিম হিকমৎ, নাসের, ইয়াসের আরাফত, মহাত্মা গান্ধী, সীমান্ত গান্ধী খান আব্দুল গফুর খান, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, কাজী নজরুল ইসলাম, ডঃ রাধাকৃষ্ণান, প্রমুখ আস্তিক্যবাদী চিন্তাবিদরা, ধর্মকে মানব সেবার একটি বলিষ্ঠ মাধ্যম হিসাবে বিবেচনা করেছেন।
আমরা এখানে এই উভয় বক্তব্য নিয়ে ইতিহাসের কষ্ঠিপাথরে বিচার করতে চাই। প্রথমেই নাস্তিক্যবাদী ভাবধারা নিয়ে আলোচনা করা যাক। আধুনিক যুগে বিশ্বজুড়ে একটা প্রচার বা অপপ্রচার রয়েছে যে কমিউনিস্টরা উগ্র বাস্তুবাদী। তাঁরা ধর্মকে মানেন না। তাঁদের মতে কার্ল মার্কস ধর্মকে আফিঙ বলেছিলেন। তাঁর ভাষায়, "Religion is the Opium of the masses" স্বভাবতঃই, কার্ল পপার সরোকিন, কিংসলে ডেভিস প্রমুখ চিন্তাবিদরা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদ তথা মার্কস্বাদকে আক্রমণ করে বলেছেন যে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা কোথাও প্রতিষ্ঠিত হলে, সেখানে নাস্তিক্যবাদই প্রতিষ্ঠিত হবে। আস্তিক্যবাদের বিন্দু বিসর্গের অস্তিত্ব থাকবে না।
তাঁদের ধারণাকে আরও বদ্ধমূল করেছে ১৯১৭ সালের বলশেভিক বিপ্লবোত্তর রাশিয়ায় ট্রটস্কি ও তাঁর অনুগামীরা যে নৈরাজ্যবাদী কাণ্ডকারখানা ঘটান, তার ফলে। ট্রটস্কি ও তাঁর অনুগামীরা কার্ল মার্কসের উল্লিখিত উদ্ধৃতি তুলে দেশজুড়ে মঠ--মসজিদ--গীর্জা, সকল ধর্মস্থানগুলিকে ভাঙ্গচূর করা শুরু করেন। তাঁরা বলেন যে এই সব প্রতিষ্ঠানগুলি শোষণের আখড়া। তাই এগুলিকে ধূলিস্যাৎ করে দিতে হবে। ব্রিটেন ও পশ্চিমী মদতে ক্ষমতাচ্যূত বুর্জোয়ারা বিষয়টিকে সম্বল করে বলশেভিক সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবিপ্লব সংঘটিত করে এই সরকারকে উৎখাত করার উদ্যোগ নেন।
কমরেড লেনিন ও কমরেড যোসেফ স্টালিন বলশেভিক ব্যবস্থার এই অস্তিত্ব সংকটে এগিয়ে আসেন এবং ট্রটস্কি ও তাঁর অনুগামীদেরকে নৈরাজ্যবাদী আখ্যা দিয়ে তাঁদের তত্ত্ব মার্কস্বাদের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, জোরালো ভাষায় এই অবস্থান নেন। বলশেভিক বিপ্লবের দিনগুলিতে এই দুই বলশেভিক নেতা অনুধাবন করেছিলেন যে অগণিত ধর্মাচরণকারী মানুষ, বৌদ্ধ--খৃশ্চান--মুসলিম--ইহুদি নির্বিশেষে, বলশেভিকদেরকে খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয় দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। তাঁদের সহায়তায় তাঁরা বিপ্লবের সময় ধর্মস্থানগুলিতে আশ্রয় পেয়েছিলেন। জীবনের এই বাস্তব অভিজ্ঞতাকে তাঁরা ভোলেননি। তাঁরা এই বাস্তব অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখে দ্বৈত ঘোষনা করেন একই সঙ্গে: (১) যাঁরা ধর্মে বিশ্বাস করেন না, তাঁদের সেই অধিকার থাকবে নাস্তিক্যবাদী বক্তব্য প্রচার করার। (২) যাঁরা আস্তিক্যবাদী অর্থাৎ ধর্মে বিশ্বাস করেন, তাঁদের অধিকার থাকবে ধর্মাচরণ করার ও ধর্মীয় প্রচার করার। ১৯১৭ সালের লেনিন সংবিধানে, ১৯৩৬ সালের স্টালিন সংবিধানে, ১৯৭৬ সালের ব্রেজনেভ সংবিধানে একই সাথে পাশাপাশি এই দুই অধিকারকে স্বীকৃতি জানানো হয় এবং এটা করে সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রতিবিপ্লব ঘটানোর ক্ষমতাচ্যূত বুর্জোয়াদের অপচেষ্টায় কমরেড লেনিন ও কমরেড স্টালিন জল ঢেলে দেন।
আসলে মার্কসবাদ হোল তত্ত্ব। লেনিনবাদ ও স্টালিনবাদ হোল তার রূপায়ণ। প্রখ্যাত সোভিয়েত সমাজ বিজ্ঞানী ভি. জি. আফানাসিয়েভের ভাষায়, "Leninism and Stalinism is Marism in practice." লেনিনবাদী ও স্টালিনবাদী এই দৃষ্টিকোণে সমাজতান্ত্রিক চীন থেকে শুরু করে, পূর্ব্ব ইউরোপের রুমানিয়া, আলবেনিয়া, পোলাণ্ড, হাঙ্গেরী, যুগোশ্লাভিয়া, চেকোশ্লাভাকিয়া প্রমুখ দেশে এবং এশিয়ার বুকে কোরিয়া, ভিয়েতনাম, লাতিন আমেরিকায়, কিউবা, চিলি প্রমুখ দেশের সংবিধানে ধর্মীয় প্রশ্নে এই দ্বৈত অবস্থান নেওয়া হয়েছে এবং এটা করে দেশের স্থায়িত্ব ও সংহতি প্রতিটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সুনিশ্চিত করা হয়েছে।
এসব সত্ত্বেও শাস্ত্রে আছে "চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী।" অর্থাৎ প্রতিটি সমাজতান্ত্রিক দেশে ধর্মাচরণের অধিকার ও ধর্মের বিরুদ্ধে প্রচার করার অধিকার স্বীকৃত হলেও, এবং প্রতিটি ধর্মীয় স্থানকে সংস্কার ও সুরক্ষার ব্যবস্থা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে করা হলেও, কমিউনিস্টরা ধর্ম মানে না, তাদের শাসনে মানুষের ঐশ্বরিক সাধনা ও ভাবনা বিপন্ন--এই অপপ্রচার লাগামহীনভাবে চালিয়ে গেছে প্রতিক্রিয়াশীলরা। এর বিরুদ্ধে জননেতা হিসাবে ইসলামী দুনিয়ায় সর্ব্বপ্রথম প্রতিবাদ করেন তুরস্কের মহান সন্তান বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদের প্রবক্তা তথা বিশ্ববন্দিত কবি নাজিম হিকমত। আর রাষ্ট্রনেতা হিসাবে প্রথম প্রতিবাদ করেন আরবজাতীয়তাবাদের প্রাণপুরুষ তথা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও তার দোসর ব্রিটেন--ফ্রান্সের বিরুদ্ধে অকুতোভয় যোদ্ধা মিশরের রাষ্ট্রপতি আব্দেল নাসের।
প্রথমে নাজিম হিকমতের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করি। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে দুই বৃহৎ শক্তিধর দেশের আর্বিভাব হয়। যথা সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ধনতান্ত্রিক দুনিয়ার নেতা আমেরিকা। সোভিয়েত ইউনিয়নের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় বিশ্বব্যাপী সমাজতন্ত্রের প্রসার ঘটানো ও ক্ষুধা--দারিদ্র্য--বেকারী--অপুষ্টি মুক্ত এক পৃথিবী গঠন করা। অন্যদিকে আমেরিকার লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় সমাজতন্ত্রের অগ্রগতিকে রুখে দেওয়া ও ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিশ্বজোড়া অস্তিত্বকে রক্ষা করা। প্রসঙ্গতঃ এখানে উল্লেখ করা দরকার যে গোটা পুঁজিবাদী বিশ্ব টিঁকে ছিল আরব দুনিয়ার তৈল সম্পদের উপর। অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির নিরীখে এই অঞ্চলের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে সাম্রাজ্যবাদী দুনিয়ার কাছে। কারণ, এখানকার খনিজ তেলের ভাণ্ডার তাদের অর্থনীতির অস্তিত্বের তাগিদে খুব জরুরী।
আরব জাতীয়তাবাদের নেতা নাসের এবং তুরস্কের গণ আন্দোলনের মুখ নাজিম হিকমৎ উভয়েই তুরস্কসহ গোটাভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের ও পশ্চিম এশিয়াসহ সমগ্র ইসলামী দুনিয়ার জনগণের ঘুমকে ভাঙিয়ে দিলেন। উগ্র মুসলিম মৌলবাদী শক্তিগুলিকে, অন্ধ কুসংস্কারাচ্ছ উলেমাদেরকে এবং সর্ব্বোপরি তার উচ্ছিষ্টভোগী "Muslim Brotherhood"-এর সভ্য-সমর্থক--নেতাদেরকে কিনে নিয়ে আমেরিকার গোয়েন্দা বাহিনী সি. আই. এ প্রচারের বন্যা বইয়ে দেয় যে কমিউনিস্টরা ধর্ম মানে না, ওরা কাফের। সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পূর্ব্ব ইউরোপে কাফেররাজ প্রতিষ্ঠিত। ওখানে ইসলাম বিপন্ন। আর এদের হয়েই ওকালতি করছেন নাজিম হিকমত, আব্দেল নাসের ও তাঁদের অনুগামীরা। সুতরাং ওদের কথায় কান নয়। ইসলামকে বাঁচাতে গেলে আমেরিকার পাশেই থাকতে হবে।
তুরস্ক ও মিশরে উভয় দেশেই ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলিম ভাইবোনদেরকে এই অপপ্রচার বিভ্রান্ত করে। কমরেড নাজিম হিকমত ও অন্যান্য বামপন্থী সহযোদ্ধাদের নিয়ে মরণপণ সংগ্রাম চালান প্রতিক্রিয়াশীলদের বিরুদ্ধে। সোভিয়েত ইউনিয়নও যথাসাধ্য সাহায্য করে। উপায়হীন হয়ে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ রাষ্ট্রপতি হ্যারিট্রুম্যানের নেতৃত্বে তুরস্কে সামরিক হস্তক্ষেপ করে। হাজার হাজার সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামীর রক্তে ভূমধ্যসাগরের জল ও আঙ্কারার মাটি লালে লাল হয়ে যায়। নিরুপায় কমরেড নাজিম হিকমত ও তাঁর সহযোদ্ধারা সোভিয়েত ইউনিয়নে আশ্রয় নেন।
তুরস্কে বামপন্থী ও কমিউনিস্টদের এই বিপর্যয়ে হ্যারী ট্রুম্যান আহ্লাদে আটখানা হয়ে সদর্পে ঘোষণা করেন যেখানে যেখানে "স্থিতাবস্থাকে" অর্থাৎ ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে "গায়ের জোরে" (অর্থাৎ গণ জোয়ারে) উৎখাত করার চেষ্টা হবে, "আমেরিকা সেইখানে সেই অপপ্রয়াসকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেবে।" কিন্তু, না, তাঁর সেই হুংকারকে কাগুজে বাঘের হুংকারে পরিণত করেছে ইতিহাস। রাষ্ট্রপতি নাসের গোটা মিশর তথা আরব জণগণকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করতে সক্ষম হন। তাঁদেরকে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পূর্ব্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলির অভিজ্ঞতার আলোকে বোঝাতে সক্ষম হন যে ধর্ম ও ধর্মান্ধতা এক নয়। কমিউনিস্টরা ধর্মান্ধতার বিরোধী। ধর্মের বিরোধী নয়। বরং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ তার উচ্ছিষ্ট দিয়ে উলেমা ও "Muslim Brotherhood"-কে পেট ভরিয়ে সোভিয়েত বিরোধী ও কমিউনিস্ট বিরোধী অপপ্রচার করছে। একদিকে বিপুল গণসমর্থন ও সেইসঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাসের এই মার্কিন দালাল, উলেমা ও "Muslim Brotherhood"-সভ্যদের মাজা ভেঙ্গে দেন। "Muslim Brotherhood"- CIA-এর চক্রান্তে নাসেরকে খুন করতে আলেকজান্দ্রিয়ার সভায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। কিন্তু মানুষের আশীর্বাদে তিনি বেঁচে যান।
এরপর, মার্কিন দালালদের মাজা ভাঙার পর নাসের খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার বন্ধুদেশ সমূহের মাজা ভাঙতে মনোনিবেশ করেন। যুগ যুগ ধরে পশ্চিমী দুনিয়া সুয়েজখালকে ব্যবহার করে মুনাফা লুটতো। নাসের সুয়েজ খাল জাতীয়করণ করলেন। ক্ষিপ্ত ব্রিটেন মার্কিন মদতে ১৯৫৬ সালে মিশর আক্রমণ কোরলো। ক্রেমলিন নাসেরের পাশে দাঁড়ালো। পশ্চিমী দুনিয়া লেজগুটিয়ে পালালো। ইসলামী দুনিয়াসহ সারা পৃথিবীর মানুষরা দেখলেন কারা হিন্দু--মুসলিম--বৌদ্ধ--খৃশ্চান নির্বিশেষে মানুষের ন্যায়সংগত সংগ্রামের পাশে থাকে।
সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে, মানবতাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের পক্ষে ইসলামী দুনিয়ার আরো অনেকে লড়েছেন। এঁদের মধ্যে একমাত্র প্যালেস্টাইন মুক্তি যুদ্ধের মহানায়ক ইয়াসের আরাফৎ ছাড়া আর সবাই শহীদ হয়েছেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের জনক শেখ মুজিবর রহমান, ১৫ই আগস্ট, আফগানিস্থানের সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রপতি ডঃ নজিবুল্লাকে ১৯৯৬ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর, ইরাকের রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হোসেনকে ৩০শে ডিসেম্বর ২০০৬ সালে পবিত্র ঈদের ভোরে, ২০শে অক্টোবর ২০১১ তে লিবিয়ার গদ্দাফি এবং অতি সম্প্রতি ৩১শে জুলাই ২০২৪ তারিখে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নির্দেশে খুন করা হয়েছে হামাস নেতা ইসমাইন হানিয়েকে। রক্তের বন্যায় গাজার মাটি জর্ডানের তীর মার্কিন মদতপুষ্ট ইসরায়েলের আক্রমণে লালে লাল হয়ে উঠছে। পদ্মা, মেঘনা, গঙ্গার জল বামগণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ মানুষদের লাশে ভরে যাচ্ছে। ধর্মান্ধ তালিবানরা ও সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ এসব ব্যাপারে নীরব।
কিন্তু বিবেকবান মানুষরা হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃশ্চান নির্বিশেষে দুনিয়া জুড়ে আওয়াজ তুলেছেন মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংস হোক, উগ্র ইহুদি জঙ্গীবাদ তথা ইসরায়েলী জঙ্গীবাদ ধ্বংস হোক, ধর্মান্ধ মধ্যযুগীয় তালিবানরাজ ধ্বংস হোক: নাজিম-নাসের-আরাফত--বাঘাসিদ্দিকী--ইসমাইল হানিয়ের নির্দেশিত পথে নারী--পুরুষ--হিন্দু--মুসলিম--খৃশ্চান--বৌদ্ধ নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের মানব অধিকার রক্ষিত হোক। এঁদের মতই লুমুম্বা--আলেন্দে--নেরুদা--চে গুয়েভারা--সুকর্ণো, নত্রুমা--নেহেরু--গান্ধী--সীমান্তগান্ধী আব্দুল গফুর খান, মৌলানা আবুল কালাম আজাদও একই আদর্শে লড়েছেন। সেই আদর্শকে রূপায়ণে সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষরা মৌলবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এক হোন, সোচ্চার হোন। এটাই সময়ের দাবী।
লেখক পরিচিতি
অধ্যাপক খগেন্দ্রনাথ অধিকারী রাষ্ট্রীয় বিদ্যাসরস্বতী পুরস্কার ও এশিয়া প্যাসিফিক পুরস্কার সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বহু পুরস্কার প্রাপ্ত একজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ। ইনি কোলকাতার সাউথ সিটি (দিবা) কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
ঠিকানা-শরনিয়ার বাগান
পোষ্ট-টাকী, পিন-৭৪৩৪২৯
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত