সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাস্তবের ভুবনডাঙায় অলীক স্বপ্নের অনুভবের রামধনু

দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০২:২৬ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২৪ শুক্রবার



বাস্তবের ভুবনডাঙায়  অলীক স্বপ্নের অনুভবের রামধনু
                   
              দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়
                 উত্তরপাড়া, হুগলি
                     ••••••••••••••••

              
"ধ্রুপদী সুর অজস্র সাদা ফুল হয়ে
ছড়িয়ে যায় শীর্ণ বৃক্ষের ভেতর
বাড়ির চৌকাঠ পেরিয়ে সুগন্ধি আতর
হৃদয়ের উত্তাপে অঙ্গার হয়ে যায়
পশ্চিমী মাঠের রাস্তা জলদৃশ্যের পাশ
দিয়ে নেমে যেতে যেতে পাতা বিভাজিকায়
হারিয়ে যায় কোন এক চন্দ্রালোকে......

এই সব দৃশ্যপট অলীক স্বপ্নের মতন
অজানা বৃত্তে ঘুরপাক খেয়ে যায়।"
কবিতায় একটা ' Note of Nature 'বা ' নিসর্গ - নিক্কণ' rapturous amazement বা " রভসানন্দানুভূতি "হয়ে অক্ষর - চিত্র তৈরি করে দেয়।কবির কাছে এই content অলীক স্বপ্নের মতন।তাই তিনি 'বনশ্রী - রাগে' একটা mystic feeling বা রহস্যের চাদর মেলতে চান যা মুখ্যতঃ নিজের আভ্যন্তর তৃপ্তির জন্যই --- " স্বান্তঃ সুখায়" প্রকৃতিগত প্রাণতায় এক অনিন্দ্য চিত্র বা সিল্যুয়েট হয়ে ওঠে। অথর্ব বেদের ' ভূমি - সূক্ত'এ এই সিল্যুয়েট যেন  পূর্ণ কলেবর পায় --
"যস্যাং সমুদ্র উত সিন্ধুরাপো যস্যামন্নং কৃষ্টয়: সম্ বভূবুঃ।
যস্যামিদং জিন্বতি প্রাণদেজৎ সা নো ভূমিঃ পূর্বপেয়ে দধাতু।।"
যে পৃথিবীতে সমুদ্র, সিন্ধু ও সমস্ত জল বিদ্যমান, এবং  যাতেই সমস্ত অন্ন ও কৃষ্টি সমুদ্ভূত হয়েছে , সে পৃথিবীতেই প্রাণময় চাঞ্চল্যময় সমস্ত কিছু সঞ্জীবিত হয়।
প্রাজ্ঞ  কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী অভিজ্ঞতার  আলোয় দেখতে চাইলেন মুঠোয় ধরা পাঠকের নিজ জীবনের Philosophy , তার স্বপ্নের সিল্যুয়েট -- অলৌকিক রহস্যে পূর্ণ বিশ্বাসের জোরে নিজের দর্শন ও দৃষ্টিভঙ্গির  আধারে স্থিতপ্রজ্ঞ বিচিত্রা---
" মুঠি খোলো,
কী আছে গোপনে, দেখতে দাও।
এই দ্যাখো,
পথে -পথে, যা - কিছুকে উড়িয়ে বেড়ায়
খেয়ালি বাতাস,
তা ছাড়া কিছুই নেই,
কিছু ধুলো, কিছু বালি, কিছু -বা শুকনো পাতা ঘাস।"

'প্লাসেন্টা প্রকাশনী' থেকে প্রকাশিত প্রিয় কবি অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা সংকলন ' অলীক স্বপ্ন ও সিল্যুয়েট ' কখন যেন তার creative genius বা কারয়িত্রী প্রতিভার আনন্দ হয়ে ছড়িয়ে পড়ে পাঠক মনে ---
" সারি সারি সুন্দরিকা আর বাইন পাতার গল্প
চোখ থেকে ভাসছে ওড়না ভালোবাসা
অভিসারী বলাকা উড়ে যায় মোহনার দিকে
প্রগলভ চাঁদ এসে দেখা দিয়ে যায়
তবুও যেন এক আকাশ বিষন্নতা
ক্রমে ক্রমে হয়ে যায় যেন একটা সিল্যুয়েট।"

১৯ শতকের শেষের দিকে মনোবিজ্ঞানী সিগমুন্ড ফ্রয়েড স্বপ্নের সংজ্ঞায়নে বলেন, অচেতন ইচ্ছা পূরণের দ্বারা আমাদের স্বপ্নের বিষয়বস্তু তাড়িত হয়। ফ্রয়েডের মতে স্বপ্ন অবচেতন মনের এক পথ ----Dreams are concealed realizations of repressed desires ।
কবির কথায়---
" দিবসের যত ভাবনা চেতনা
আসে মোর স্বপ্নের ঘোরে,
তাদের আমি ফিরাবো কেমন করে ! "
ওনায়োরলজি বা স্বপ্নবিদ্যায় স্বপ্ন বৈদ্যুতিক মস্তিষ্কের আবেগ যা আমাদের স্মৃতি থেকে side effect হিসেবে কিছু চিন্তাভাবনা এবং অপূর্ণ ইচ্ছাকে টেনে নেয়।Lucid dreams ঘুমের শেষ ধাপে আসে যেখানে চোখের পাতার ছটফটানি বা R E M sleep ঘটে যেটা বিজ্ঞান মতে একটা ইউনিক ফিল।German Poet Lisel Mueller স্বপ্নের অস্থিরতার সূত্র খুঁজতে স্বপ্নের নিভৃত সত্তার সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন ----" I read once that the ancient Egyptians had fifty words for sand and the Eskimos had a hundred words for snow.I wish I had a thousand words for love, but all that comes to mind is the way you move against me while you sleep, and there are no words for that."
কবি অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় লিখছেন  স্বপ্নের ভ্রামণিক পথ অন্বেষণে জ্যোৎস্না রাতের নীল নদী বেয়ে রহস্যময় জলছবিতে ----
" চিনার পাতার মধ্যবর্তীতে তুষার শৃঙ্গ
নবারুণ আলোয় উদ্ভাসিত পাহাড়ি উপত্যকা
কুয়াশাগুলো এঁকে বেঁকে ওঠে ঘুড়ির মতো
নৈঃশব্দ্যের ভেতর ভাসে পাখির পালক

একটা স্বপ্ন রাত্রি ও তার ভেতরে অন্বেষণে
পা ফেলি,আর পা ফেলি, হারিয়ে যায় সব
জেগে উঠি নিদ্রাহীন রাত দেখতে থাকি.....
সময়ের কাঁটা কেমন যেন উল্লাসে হাসতে থাকে...."
Sylvia Plath এর অনুভবের গভীর পল্লবেও যেন একই অনাদি আলোর ভালোবাসা ----
"I shut my eyes and all the world
drops dead;
I lift my eyes and all is born
again ."
গুলমোহর থেকে ফুল ঝরে পড়লে আকাশময় আলি হোসেনের সানাই বাজে, অলৌকিক প্রিজমের মধ্যে আলোর বিচ্ছুরণে সুন্দর সর্বত্র প্রসন্ন মহিমা ছড়িয়ে দেয়। ফুলের মতো সহজ হয়ে আসে জীবন।দেয়াল, দরজা কিছুই থাকে না ---- শুধু শান্ত করতলে গাছ, পাখি,মেঘ, চাঁদ খেলা করে যায়।

নির্জনতার উপকথায় ঝাউবনে জলজ সুবাস দৃষ্টির ভেতর আঁকতে থাকে নভোমন্ডল ।চিত্তের মালিন্য মোচন করে কবি অরিন্দম খেলা করেন নিজস্ব ইচ্ছার সাথে।বলেন নিজস্ব ভাষায় একবার ভেতর ঘরে উঁকি মেরে ----
"আমি অনন্ত রাত জেগে বিস্ময়ে
দেখি মেঘের ওপর চন্দ্ররাত
অন্তর্গত দুঃখগুলো সিগারেটের
ধোঁয়ায় রিং হয়ে ঘুরতে ঘুরতে চলে যায়
আর কোন পথে যায় ভাবতে ভাবতে
আমার ভেতর সব অরণ্য হারিয়ে যায়
বৃষ্টিকথাও সরে যায় দূরে কি এক অভিমানে
যাবতীয় জলীয় ভালবাসা ঘূর্ণি হাওয়ায় উড়ে যায়
আমি ঢালু পথ বেয়ে যাই নিস্তব্ধতার ভেতর
চারিদিক জুড়ে পাইন আর রডোডেনড্রন"।
জীবনানন্দ কি কবি অরিন্দমকে ছুঁয়ে যান গভীর নিস্তব্ধতার ভেতর থেকে নদীর চ্ছল চ্ছল জেগে ওঠায় -----
" এ সব শূন্যতা ছাড়া কোনো দিকে আজ
কিছু নেই সময়ের তীরে।
তবু ব্যর্থ মানুষের গ্লানি ভুল চিন্তা সংকল্পের
অবিরল মরুভূমি ঘিরে
বিচিত্র বৃক্ষের শব্দে স্নিগ্ধ এক দেশ
এ পৃথিবী, এই প্রেম, জ্ঞান, আর হৃদয়ের এই নির্দেশ।"
এই নির্দেশ Sri Aurobindo বনের শিকড় বাঁধা জীবনে ,উঠোনের পাশে দোপাটির গন্ধে, ভালোবেসে ভেতরের আঁধারে অনভ্যস্ত হাতগুলো ছুঁয়ে দিতে বলেন বুকের পালকের উষ্ণতায় ----
"Awake in the living Eternal, taken to the bosom of love of the Infinite,
Live self-found in his endless completeness,
Drowned in his joy and his sweetness,
Thy heart close to the heart of the Godhead for ever. "

কবি অরিন্দম বোঝেন পাঠকের অনুভবের পরিমিতি --- বিন্দু, বৃত্ত, গোলকের নিজস্ব সমীকরণ।লেখেন শুকনো ডোবার তলপেটে ফেটে ফেটে যাওয়া মাটির স্বপ্ন। হারিকেন লন্ঠনের আলোয় প্রতিশ্রুতি জাগানো সুন্দরের বাঁধা হাত খুলে দেন কবি এক রুদ্ধশ্বাস ব্যাকুলতায় ----
" একটা হাত কতটা বাড়ালে সম্পর্কটা
আরো দৃঢ় হতো ভাবতে ভাবতে
ম্যাগনোলিয়া পয়েন্টে হারিয়ে গেল গোধূলি

      .......      .........      ............
এখনও পূর্বরাগ নিস্তব্ধ রাতের এসরাজের মতন
গুমোট মেঘে যেন ঢাকা অন্তস্থল
এখনও দৃষ্টির ভেতর এক নির্গমনের দৃশ্য "

কবি অরিন্দম প্রাণ ছুঁয়ে থাকেন।মনের সব জানালাই খোলা তার। "ঘরের বাতাস নাচে বাহিরে হাওয়ায়"--- পড়ন্ত বিকেলের কলোনি মাঠের ভাঙা গল্প ও কুয়াশা দিয়ে কবিতার লাইন সাজান তিনি। রাত্রির মধ্যরাতে বনপথে শাল বীথির ভিতর বুকের  নরম আলোয় দরবারি কানাড়া রাগ জোনাকির  ফসফরাসে  উড়ে আসে।Maya Angelou  ছুঁয়ে যান তার কলম - শিকড় --- " Try to be a rainbow in someone's cloud " . কবি লেখেন ---
"একটা ভাঙা প্রাচীরের উপাখ্যান
রচনা করার জন্য কতগুলো
শরের কলম রেখে
সাদা পৃষ্ঠা ভরিয়ে দিয়েছিলাম

এসব ভাবতে ভাবতে পা বাড়াতাম
মনে পড়ে হলুদ ওড়না প্রেম......"

Salman Rushdie এর কথায় ---" It is literature which for me opened the mysterious and decisive doors of imagination and understanding ."কবি অরিন্দমের কবিতায় সবুজের গন্ধ, ভালোবাসার গায়ে উড়ে এসে বসা প্রজাপতি, প্রদীপ হাতে আলতা পড়া পায়ের নূপুরে সন্ধ্যার শকুন্তলা রাগ।ভাষার ব্যবহারে বেশ মুন্সিয়ানা যা পাঠককে টানবেই।উপমা কবিতার অলঙ্কার । তার কবিতার ভাষায় মানুষের ঘামের গন্ধ, প্রেয়সীর কামরাগ।RUMI র মতো কবিও বিশ্বাস করেন ---- "Words are a protext.It is the inner bond that draws one person to another, not words."
অদ্ভুতভাবে অরিন্দম লেখেন ---
" তাকানোর ভেতর এক প্রেমিকের ছবি
আগুন উত্তাপে অঙ্গার হতে চেয়েছিল
কিন্তু কোথা থেকে একগুচ্ছ মেঘ এসে
ভাসিয়ে দিয়ে গেল পাল হীন নৌকার মতন "

                   অথবা
"আমার হৃদয় জুড়ে বালুচর উপত্যকা
নীল ফুলের মতন সন্ধ্যারাত
দিগন্ত ছুঁয়ে থাকা জলরাশি
সমুদ্রঢেউ হলুদ ওড়না প্রেম "

কবির অপেক্ষায় জীবনানন্দ এসে বসেন----
" একটি নক্ষত্র আসে; তারপর একা পায়ে চলে
ঝাউয়ের কিনার ঘেঁষে হেমন্তের তারাভরা রাতে
সে আসবে মনে হয়;----- আমার দুয়ার অন্ধকারে
কখন খুলেছে তার সপ্রতিভ হাতে !"

ভালোবাসা অতিথি পাখির মতো একটা মেঘ,  নক্ষত্র ছুঁয়ে দিয়ে গেলেই ভরে ওঠে সাদা পৃষ্ঠা।
" একদিন বালুচরে অনেক ভালোবাসার গল্প ছিল
চন্দ্ররাত ও সফেন সমুদ্রঢেউ, কুহকের মতো,
এখন পড়ে আছে দীর্ঘ ছায়াপথ....
মনে হয় কোন প্রাচীন সভ্যতার স্মৃতিচিহ্ন "

স্যারিডন নয়,কবি অরিন্দম নিকোটিন রাতে আঁকেন হৃদয়ের উঁচু- নিচু দেয়ালে উড়ে যাওয়া পাতার হলুদ দীর্ণ জীবন ----
"হাতের ভেতর রয়েছে নিকোটিন দীর্ঘ রাত
বুকের ভেতর থেকে উড়ে যাচ্ছে
রাত্রির আঁধারের মতন কালো ধোঁয়া
সব যেন স্বপ্নের মতন সমুদ্রভূমি
ঢেউগুলো যেন পথিক বাউলের
হাত থেকে ছেড়ে যাওয়া একতারার মতন...."
সম্পর্কের স্বরলিপিতে বিষাদ ছায়া। দারুচিনি অরণ্যের ভেতর আজ আর হরিণ খেলে না।শঙ্খ স্তনের মায়ায় স্মৃতির অগোছালো হাত । চাঁদের আলোয় চুম্বন যেন স্মৃতির পুরনো স্তম্ভ। অস্ফুট উচ্চারণে কখন যেন মাধবীলতা ঝরে যায়।কবি বিনয় মজুমদার  শাশ্বত সত্য হয়ে  তখন দরবারে --" ভালোবাসা দিতে পারি, তোমরা কি গ্ৰহণে সক্ষম?
লীলাময়ী করপুটে তোমাদের সবই ঝ'রে যায় ---"

তবুও জীবনে যা পড়ে থাকে তার চারপাশে ছড়িয়ে এক অনন্ত গ্যালাক্সি যার ভেতর পথভোলা পথিক হয়ে ঘুরে চলা আনন্দে অথবা বিষন্নতায়......পারিজাতের খোঁজ চলে জীবনের সা-রে-গা-মায়.....
" একাকী এক ছায়াপথ ধরে দিগন্ত নীলের
কাছে যেতে যেতে হৃদয় থেকে উড়ে গেল
কয়েকটা রঙিন প্রজাপতি দিকশূন্য হয়ে

     ........      ..........      ............
মনপুরা দ্বীপ জুড়ে নামছে সূর্যমুখী সকাল
বিহঙ্গ ডানার মতো মেলে ধরছে এই চরাচরে
হরিণের চাহনির মতো আন্দোলিত কাশফুল "

কবি অরিন্দমের ধ্বনিকেন্দ্রকতা বা logocentricism স্বপ্নের গায়ে আলপনা আঁকে যাকে উনি সিল্যুয়েট আখ্যা দেন। তার কল্পনামনীষা বিষ্ণু দের ' ওফেলিয়া ' কবিতার শব্দ -স্নাত----
" কথারা আমার গৃহহারা,করে ছায়াপথে আনাগোনা"।
বকুলগন্ধে,হাসনুহানা গন্ধে ব্যর্থ প্রেম হলুদ পাখি হয়ে উড়ে যায়। আকাশ থেকে নেমে আসা  'হেলিওট্রোপের মতো ' কবির আপন নীলিমার রৌদ্রনীল শ্যামলের এপিথেটে অন্ধকার ও বিহ্বলতা আত্মবিজ্ঞপ্তির চাবিগাছ করে ---
" কেমন করে যে তোকে আমার মানচিত্র
থেকে হারিয়ে ফেললাম, ভেবেও পাই না
আমার ভূমি রেখার মধ্যে কোথাও নেই তুই
আমি তোকে এখনও খুঁজি....."
একাত্ম পাঠকও লেখকের সাথে খুঁজতে থাকেন সেই হারিয়ে যাওয়া আলো।পরিযায়ী মেঘের বৃষ্টির মতো চোখের জল ভেজায় সার্টের কোণ।কবি অরিন্দমের এই play of writing তার আসল জাদুকাঠি । আবেগের বিভাজিকায় জেগে থাকা ভালোবাসা তাই স্বপ্নের পোষাক পড়ে বুক ভেজা রাতে। জানালার গরাদে আটকে থাকা চাঁদের আলোয় স্মৃতির ক্রন্দন ঢেউ তোলে পাঠকের অনুভূতিতে ---
" মানুষের ভাষা তবু অনুভূতিদেশ থেকে আলো ,
না পেলে নিছক ক্রিয়া বিশেষণ; এলোমেলো
নিরাশ্রয় শব্দের কঙ্কাল।"