ছাত্রদের অবদান
ডক্টর মোঃ বদরুল আলম সোহাগ (বাংলাদেশ)
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৩:১৩ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২৪ শনিবার
ছাত্রদের অবদান
ডক্টর মোঃ বদরুল আলম সোহাগ
গত জুলাই থেকে এই বাচ্চারা যুদ্ধ করছে, মার খেয়েছে, রক্ত ঝরিয়েছে, নিজের ভাই-বন্ধু কে চোখের সামনে - হাতের উপর মরতে দেখেছে, এখন পর্যন্ত দেড় মাসের কাছে হতে যাচ্ছে, তারা ঘরে একদন্ড বসতে পারেনি।রাষ্ট্র
সংস্কার করতে কাজ করছে।
একটা অসুস্থ ফোন জেনারেশন আপনাদের সুস্থ দেশ আর সমাজ উপহারের জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।
কি অদ্ভুত তাইনা?
কি একটা অদ্ভুত জেনারেশন না? ওদের ফ্যান এর নিচে ক্লাস করতে বলেন কত বাহানা, এসি করা ক্লাস রুম লাগবে । কিন্তু কি সুন্দর ৩৫/৩৬ দিন রাস্তায় আন্দোলন করলো। এখন আবার রোদে পুরে ট্রাফিক পুলিশের কাজ করছে।
এরা কি জানেনা বলেন?
এরা যুদ্ধ করলো। তবুও ক্লান্ত হয়নি এখন সুন্দর আবার দেখেন ট্রাফিক সহ পুরো দেশ সংস্কার করছে কোনো বাজেট ছাড়াই।
এদের ট্রাফিকের বিষয়ে কোনো জ্ঞান নেই তবুও দেখেন সুন্দর সব রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করছে।
কি অদ্ভুত না।গোটা একটা জেনারেশন যারা অনলাইনে ডুবে থাকত তারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করল,দেশ স্বাধীন করল।এখন দেশ সংস্কারে লেগে পড়েছে। স্বমনয়ক রা সরকার গঠন করছে ।ছাত্ররাই কি সুন্দর ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট করতেছে,, বাজার তদারকি করছে,চাঁদাবাজ, ঘুষখোর দের চিহ্নিত করছে,রাস্তায় কি সুন্দর দেয়াল লেখন করছে,ক্যালিগ্রাফি, কেউ আবার খাবার -পানি দিয়ে তাদের এপ্রিসিয়েট করছে,রাস্তা ঘাট পরিষ্কার করছে,, সং্খ্যা লঘু দের নিরাপত্তা দিচ্ছে, মাদ্রাসার ভাইরা মন্দির পাহারা দিচ্ছে।ডাকাত দের ড্রোন দিয়ে খুঁজছে,,সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা প্রতিহত করছে। সবাই স্বাধীন দেশে নির্ভয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করছে,লিখছে। ভাবতেই অবাক লাগছে।কি সুন্দর!
বুকে ব্যাথা আবু সাঈদ আর মুগ্ধদের জন্যে আর দৃঢ় মনোবল দেশ গড়ার।
এটা যেনো অব্যাহত থাকে।
ছিনতাই না হয়ে যায় আমাদের স্বপ্নগুলো।
তাইলে যে শহীদ সন্তানরাও অভিশাপ দিবে।