সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নবচেতনার বাল্য বিবাহ রোধে সেমিনার

বিশেষ প্রতিবেদক

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১০:২৬ এএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৯ সোমবার

ভাঙড়:


বাল্য বিবাহ রোধ করতে সেমিনার করে বিশেষ বার্তা দিল সর্বভারতীয় নবচেতনা নামক সমাজসেবী সংগঠন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার শিবিরের আয়োজন করে সুস্থ সমাজ গড়ার অঙ্গিকার পূরণে ভাঙড় থানার ঘটকপুকুর এলাকার নলমুড়ি গ্রামে ২০ জানুয়ারি রবিবার এক মেঘা স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করে তিন হাজার গরিব মানুষকে স্বাস্থ্য শিবিরে সুচিকিৎসা দেওয়ার আয়োজন সার্থক হলো।  জানালেন, সর্বভারতীয় নবচেতনার সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ।
 
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নলমুড়ি গ্রামে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরে বহু মানুষ এসেছিলেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে ফ্রিতে ওষুধ পেয়ে এবং সুচিকিৎসা পেয়ে তাঁরা উপকৃত হয়েছেন।

সমাজকর্মী ও সর্বভারতীয় নবচেতনার অন্যতম নেত্রী ডা: নাবিলা খান বলছিলেন, "চিকিৎসা ব্যবস্থার বহু উন্নতি হয়েছে বাংলায়। তবুও আমরা দেখি বিভিন্ন প্রান্তে এখনও বেহাল দশা চলছে। বহু কষ্ট করে মানুষকে দূর দুরন্ত দৌড়াতে হচ্ছে সু-চিকিৎসা করানোর জন্য। বহু টাকা খরচ, গরীব অসহায় মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনা, তাই আমরা "সর্বভারতীয় নবচেতনা"র উদ্যোগে ফ্রিতে সুচিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করার প্রয়াস নিয়েছি। মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে সর্বত্র। ফ্রি মেডিসিন, ফ্রি পরীক্ষা নিরীক্ষা সহ, আর যে রোগ গুলো মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় শুধু না জানার কারণে তা হলো ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন, হার্ট ও কিডনি সহ বহু অসুখ তা চিহ্নিত করে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য "সর্বভারতীয় নবচেতনা" এগিয়ে এসেছে মানুষের কল্যাণে। সরকারি উদ্যোগে স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোর পরিকাঠামোর অনেক উন্নত করেছেন আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা বড় আনন্দের বিষয় মানুষের প্রকৃত কল্যাণেও কাজ করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানরাও এগিয়ে আসছে সমাজের প্রকৃত কল্যাণের জন্য। "সর্বভারতীয় নবচেতনা"র মতো বহু প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছে। আমরাও এগিয়ে এসেছি এবং অন্যরাও এগিয়ে আসবে আগামী দিনে সাহায্য নিয়ে মানুষের কল্যাণে, আশা রাখি।"

সর্বভারতীয় নবচেতনার আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ বললেন, "একটি বিষয় অবহিত করতে চাই সর্বভারতীয় নবচেতনা সমাজ কল্যাণকর ও দাতব্য সংস্থা হিসেবে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করেছে ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন-এর মৃত্যু দিনকে স্মরণ করে। সমাজের পিছনের অংশের উন্নয়নের জন্য দরিদ্রতমদের মধ্যে কাজ করছে রাজ্য জুড়ে এই সংগঠন। সর্বভারতীয় নবচেতনার উদ্যোগে আমরা একটি মেডিকেল চেক্যাপ ক্যাম্প ও বাল্য বিবাহ রোখার জন্য সেমিনারের আয়োজন করেছিলাম ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ রবিবার  নদীয়া জেলার আলাইপুর গ্রামে।

এবার আমাদের সর্বভারতীয় নবচেতনার উদ্যোগে দ্বিতীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির আয়োজন করতে পেরেছি ঘটকপুকুর এলাকার পাশের গ্রাম নলমুড়িতে। কয়েক হাজার দরিদ্র পরিবার উপকৃত হলেন এই শিবির থেকে।

আমাদের সর্বভারতীয় নবচেতনার মাননীয় চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর, আইপিএস, পুলিশ বিভাগে ডিআইজি পদে কর্মরত, শেখ নুরুল হক, আইএএস, মোহাম্মদ নিজাম শামীম, আইপিএস, জাহাঙ্গীর আলম, বিশিষ্ট সমাজসেবী, ড. আবুল হোসেন বিশ্বাস, কোষাধ্যক্ষ, একজন বিখ্যাত লেখক ও গবেষক, এম এ ওহাব, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ডিরেক্টর শিস্,  ডা: খাজা আলিম আহমেদ, ডা: পারভেজ আহমেদ খান, ডা: আমানুল হক ও ডা: নাবিল খান, ডা: ময়ুরাক্ষী মিত্র, হুজুর আজাদ মহালদার, সহ বহু বিশিষ্ট ডাক্তার ও সমাজকর্মী উপস্থিত হয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির সফল করলেন।

সমাজসেবী কাইজার আহমেদ, সাজাহান মোল্লা, অধ্যাপক মফিকুল ইসলাম, পীরজাদা খোবায়েব আমিন সহ নবচেতনার বহু সদস্য উপস্থিত হয়েছিলেন নলমুড়িতে।

সর্বভারতীয় নবচেতনা দ্বারা সংগঠিত মেডিকেল চেক্যাপ ক্যাম্প এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিবাহ দেওয়া বন্ধ করতে যে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল তা মানুষের মনে দাগ কাটল।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের উল্লেখযোগ্য তিরিশ জন ডাক্তার উপস্থিত হয়েছিলেন।

ভাঙড়-১ বিডিও সৌগত পাত্র সহ বিশিষ্ট ডাক্তারগণ ইমরান আহমেদ খান, মোহাম্মদ জামাল খান, সিরাজ আহমেদ, বিদ্যুৎ সাহা, আর এইচ খান, ইমরান খান, রবি মান্না, মকবুল খান, নূর  আলম, মোহাম্মদ গোরা চাঁদ আলি, আতিকুর রহমান, নজমুল ইসলাম সহ আরও বেশ কয়েকজন ডাক্তার উপস্থিত হয়ে এই স্বাস্থ্য শিবির সফল করলেন।"

সম্প্রতি কল্যাণীর পাশের গ্রাম আলাইপুরে সুস্থ সমাজ গড়ার অঙ্গিকার নিয়ে বাল্য বিবাহ রোধ করতে সেমিনার ও মেডিকেল চেক্যাপ ক্যাম্পেরও আয়োজন করা হয়েছিল সর্বভারতীয় নবচেতনা নামক সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে।
 
সমাজ কল্যাণে সর্বভারতীয় নবচেতনা বাংলার প্রতিটি জেলায় জোরালো কাজ করছে।

গত ১৬ ডিসেম্বর বাল্য বিবাহ রোধ করতে একটি সেমিনারের সঙ্গে দুস্থদের  কম্বল বিতরণ, মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার ঘটাতে কম্পিউটার প্রদান ও মেডিকেল চেক্যাপ ক্যাম্পের আয়োজনও সফল হয়েছিল।

সামাজিক অঙ্গীকার পূরণ করতে অবাধে এবং নিরলসভাবে সর্বভারতীয় নবচেতনা সমাজের জন্য কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছে মানবিক দায় নিয়ে।

"অল ইন্ডিয়া নবচেতনা" রেজিস্ট্রেশন হয়েছে গত মাসের ৩০ নভেম্বর ২০১৮-তে। গত ৯ ডিসেম্বর, রবিবার সর্বভারতীয় নবচেতনার আনুষ্ঠানিক আত্নপ্রকাশ অনুষ্ঠান হয়ে হয়ে গেল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্কসার্কস ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে। এদিনটি ছিল নারী শিক্ষা প্রসারে অফুরন্ত কাজ করেছেন যাকে নারী মুক্তির কান্ডারি বলা হয় সেই রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের মৃত্যু দিন। এই দিনটিকেই স্মরণ করতে এবং "অল ইন্ডিয়া নবচেতনা" সামাজিক সংগঠনের আনুষ্ঠানিক আত্নপ্রকাশের জন্য বেছে নেওয়া হয়।

সবর্ভারতীয় নবচেতনার উদ্যোগে পলশুন্ডায় সেচ্ছায় ৮০ জন রক্তদান করেন, দুস্থদের কম্বল বিতরণ ও কৃতি ছাত্র-ছাত্র-গুণীজন সংবর্ধনা দেওয়া হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের মধ্য দিয়ে।

সবর্ভারতীয় নবচেতনার উদ্যোগে ২৫ নভেম্বর রবিবার সকালে পলশুনডার তরুণ সংঘ প্রাঙ্গণে এক মহতি স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির ও শিক্ষা-পেশা-সমাজসেবায় সফল ও বিশেষ কৃতিত্বের অধিকারীদের সংবর্ধনা, দুঃস্থ মানুষদের কম্বল ও বস্ত্র বিতরণ সহ বিনামূল্যে শ্রবণ-বাক-সমস্যার পরীক্ষা ও পরামর্শদান এবং ধর্ম যার যার দেশ সবার বিষয়ক আলোচনা চক্র অনুষঠিত হলো।

উক্ত অনুষঠানের উদ্বোধন করেছিলেন সবর্ভারতীয় নবচেতনার সভাপতি ড. হুমায়ুন কবীর, আইপিএস, ডি আই জি, রাজ্য ট্রাফিক পুলিশ ও প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সবর্ভারতীয় নবচেতনার কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, সহ-অধিকর্তা দূরশিক্ষা বিভাগ, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, নবচেতনার কেন্দ্র কমিটির সদস্য অধ্যাপক মফিকুল ইসলাম, মাসাদুর রহমান, ফিরদৌস রহমান, সামিউল হক, আবদুর রউফ।

নদীয়া জেলার বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাসির উদ্দিন আহমেদ, পি পি নদীয়া ও প্রাক্তন বিধায়ক, জুলফিকার আলী খান, অ্যাডিশনাল পি পি, ছন্দা বিবি খান, সভাপতি তেহট্ট-১ পঞ্চায়েত সমিতি, অসীম সাহা, বিশিষ্ট আইনজীবী, সুব্রত ঘোষ, সদস্য নদীয়া জেলা পরিষদ, মোঃ ইনাস উদ্দিন, যুগ্ম নিবন্ধক, সমবায় দপ্তর, রামনারায়ণ মুখার্জী, প্রাক্তন  অধ্যক্ষ, জেসমিন হক, কৃষি সহ অধিকর্তা, জাফরুল্লা মোল্লা, বিশিষ্ট আইনজীবী, সাধন বিশ্বাস, সম্পাদক রেড ক্রস সোসাইটি, নজরুল হক, বিশিষ্ট আইনজীবী, আজিজ মল্লিক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ইসমাইল শেখ, প্রধান শিক্ষক।

সকল সচেতন মানুষ সর্বভারতীয় নবচেতনাতে যুক্ত হতে পারেন। ড. হুমায়ুন কবীর আইপিএস সাহেব “সর্বভারতীয় নবচেতনা” প্লাটফর্ম সৃষ্টির উদ্দেশ্যগুলি তুলে ধরছেন সর্বত্র।


১. মুসলিম ও অনগ্রসর যুব সম্প্রদায়ের সার্বিকভাবে মুসলিম ও অনগ্রসর সমাজের মধ্যে শিক্ষার উন্নয়ন ঘটানো। আমরা ধর্মীয় শিক্ষার বিরুদ্ধে নই, বরং যুব সমাজের মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এর অপরিহার্যতা আমরা স্বীকার করি। কিন্তু মুসলিমদের সামাজিক ক্ষেত্রে ও ব্যক্তিজীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা। আমাদের এই প্লাটফর্মের উদ্দেশ্য হল মুসলিম ও অনগ্রসর ছাত্র/যুব সম্প্রদায়কে সেই লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা ও উদ্বুদ্ধ করা।

২. লক্ষ্য করা গেছে যে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সমাজের একাংশ ও অনগ্রসরদের বিভিন্ন ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক অপরাধ, বিভিন্ন বে আইনি কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের এই সব মন্দ ক্ষেত্র থেকে বিরত রাখার আপ্রাণ প্রচেষ্টা করা।

৩. আরো দেখা যাচ্ছে যে, মুসলিমরা ও অনগ্রসরা ভবিষ্যত বিষময় ফলাফলের কথা চিন্তা না করেই ব্যাপকভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ, রাজনৈতিক হানাহানি এবং অন্য অনেক অবৈধ কাজে নিজেদের জড়িয়ে ফেলছে। মুসলিম সমাজে এর ফল হচ্ছে মারাত্মক। অনেক মুসলিম ও অনগ্রসরা এতে প্রাণ হারাচ্ছে, অনেকে আহত হচ্ছে, আবার অনেকেই মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে যাচ্ছে, যার প্রত্যক্ষ কুফল সেই মুসলিম ও অনগ্রসর পরিবারগুলিকে এবং সার্বিকভাবে মুসলিম সমাজকে ভুগতে হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করবো তাদের এই খারাপ পথ ও পন্থাগুলির কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে সুপথে ফিরিয়ে আনতে।

৪. আমরা আন্তরিকভাবে মুসলিম যুবসমাজের জীবনের মানোন্নয়নের প্রচেষ্টা চালাবো।

৫.আমরা কঠোরভাবে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখে এবং অন্য সমস্ত জাতি,ধর্ম, বর্ণের সব মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখে সহনশীলতার মহান আদর্শ বজায় রাখবো।

৬. আমরা কখনো কারো প্রতি ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক একদেশদর্শীতা দেখাবো না।

৭. এককথায়, আমরা কখনোই সমাজের কারো প্রতি খারাপ মনোভাব পোষণ করবো না।

৮. আমাদের লক্ষ্য হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাময় সমাজে টিকে থাকার পথ অনুসন্ধান,অনুসরণ এবং সরকারি ক্ষেত্রে যে সব সুযোগ সুবিধা আছে সেগুলি সম্বন্ধে কওমের সকলকে সচেতন করা।

৯. আমরা চেষ্টা করবো ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা ও সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখার।

১০. আমাদের এই প্লাটফর্ম আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষকে সময় সময় দেশের উন্নয়নের ও অগ্রগতির হালহকিকত সম্পর্কে অবগত করে এবং এ বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের এগিয়ে যাবার পন্থা অনুসন্ধান করবে।

১১. সমস্ত ধরণের মুসলিম সংগঠন, সে শিক্ষা, সমাজ, ধর্মীয় বা ধর্মনিরপেক্ষ যে কোনো ধরণের ই হোক না কেন, তাদের সঙ্গে যোগসুত্র গড়ে তোলা।

আমাদের লক্ষ্য হবে বেশি সংখ্যক মুসলিম ও অনগ্রসর সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো।

যদি আমরা সকলে ঐক্যমত হই এবং কাজ করি, তাহলে ভবিষ্যতে সমাজের এই দুর্বল শ্রেণীর কাছে পৌঁছে তাদের তুলে আনতে পারবো।

মুসলিমদের ও অনগ্রসরদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে এবং মুসলিম সমাজের উন্নয়নের জন্য আমরা এমন একটি প্লাটফর্মের প্রয়োজনীতা অনুভব করেছি যাতে আমরা এই সমাজের উন্নয়নের জন্য আমাদের দাবী-দাওয়া সমন্বিত জোরালো আওয়াজ তুলতে পারি।

কিন্তু আমাদের সদস্যদের সদা সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে যে আমরা অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি যেন কোনোরূপ ঘৃণা বা বিদ্বেষ পোষণ না করে ফেলি।

সকলের প্রতি আমাদের বিনম্র ও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আর অন্য যে বিষয়টি আমাদের বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে তা হল, আমরা দেশের আইন কে মর্যাদা ও সতর্কতার সঙ্গে মেনে চলবো।আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে আমরা বিনীত ও বিনম্রভাবে এগিয়ে যাবো। এই বিনীত-বিনম্র কিন্তু দৃঢ় পদক্ষেপই আমাদের সাফল্য লাভের পথ হয়ে উঠবে।

“সর্বভারতীয় নবচেতনা”র আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ সংযোজন করে বললেন এই মুহূর্তে বাংলার ২৩ টি জেলায় “সর্বভারতীয় নবচেতনা” মানুষের কল্যাণে যে সব বিষয় নিয়ে কাজ করছে।

১. ল সেল (আইনি সহায়তা দান)।

২. মেডিক্যাল সেল (চিকিৎসা সহায়তা দান)।

৩. শিক্ষা সেল (আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে সহায়তা)।

৪. কেরিয়ার কাউনসেলিং সেল (চাকরি পাওয়ার জন্য বা জীবিকায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য সুপরামর্শ দিয়ে সহায়তা)।

৫. সোশাল জাস্টিস সেল (সামাজিক ন্যায়বিচার পেতে সহায়তা)।

৬. মিডিয়া সেল (মত ও নীতি প্রচার সেল) ইত্যাদি।

সর্বভারতীয় নবচেতনাতে যুক্ত হতে চাইলে হটস্ অ্যাপ করুন এই নম্বরে 7003821298