কবিতা - সমাজের রোজনামচা
প্রফেসর ড. মোস্তফা দুলাল
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৫:৪৬ পিএম, ৩ মে ২০২৪ শুক্রবার
কবি পরিচিতি: বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী কবি, গীতিকার, অথর, শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রফেসর ড. মোস্তফা দুলাল বাংলাদেশের দিনাজপুর সদর উপজেলার যোগীবাড়ি নিবাসী মনির উদ্দীন ও রাবেয়া বেগম এর জ্যেষ্ঠ সন্তান। তিনি ০১-১২-১৯৫৭ খ্রি. বাংলাদেশের দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন এবং চেরাডাঙ্গী স্কুল, কেবিএম কলেজ, দিনাজপুর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়া করেন। অতঃপর ২০০২ সালে প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি. ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে ৩৫ বছর অধ্যাপনা করেন এবং সরকারি তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ঢাকা থেকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন শেষে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর লেখা ইন্টারমিডিয়েট, অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সের প্রাণিবিদ্যা বিষয়ের চৌদ্দ (১৪) টি টেক্সট বই (পাঠ্য বই) এবং তিনটি একক সৃজনশীল গ্রন্থ জ্যোতির্ময় একুশ, মোস্তফা গীতি ও রুবাইয়াত -ই- মোস্তফা দুলাল (বাংলা ও ইংরেজি ভাবানুবাদ সহ) প্রকাশিত হয়। তাছাড়াও প্রকাশিত হয়েছে যৌথ কাব্যগ্রন্থ স্বপ্নের ভেলা তৃতীয় ও চতুর্থ সংখ্যা, চেতনার উন্মেষ, অভিযাত্রিক, সপ্ত বর্ণ ও নবারুণ। এছাড়াও তাঁর উপন্যাস, কাব্য, রুবাইয়াত ও ভ্রমণ কাহিনী সহ ছয়টি সৃজনশীল গ্রন্থ প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি সাহিত্য, শিক্ষা ও প্রাণিবিজ্ঞানে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ১২ টি সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। উল্লেখ্য যে তিনি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সোসাইটি থেকে "শ্রেষ্ঠ শিক্ষক" কলেজ প্রাণিবিদ্যা বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড এ ভূষিত হন।
কবি মূলত মানবতাবোধ, জীবনবোধ, স্বদেশ প্রেম, মানব প্রেম, ভাষার প্রতি অনুরাগ ও মানবের মাঝে প্রীতির বন্ধন সৃষ্টির লক্ষ্যে কাব্য সাহিত্য রচনা ও চর্চা করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়ক, অনুপ্রাস জাতীয় কবি সংগঠনের সহ-সভাপতি ও প্রেসিডিয়ামের সদস্য সহ বিভিন্ন সাহিত্য সংস্কৃতি ও সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন।
কবিতা - সমাজের রোজনামচা
প্রফেসর ড. মোস্তফা দুলাল
উজান গাঙে বাইলে খেয়া
ছিঁড়ে ফেলে পাল,
সফল হতে চাইলে পরে
ভেঙে ফেলে হাল।
পেছন দিকে টেনে বৈঠা
করে গালাগাল,
সমাজ তরির কালো রূপটা
থাকে চিরকাল।
বিনয়ী হলে ভাবে দুর্বল
পায়ের নিচে ঠাঁই,
সমাজ সংসার নির্মাণে তার
কোনো মূল্য নাই।
সৎ সততার ধরলে হাতল
বোকা খেতাব পায়,
সঠিক উক্তি করলে পরে
ধৃষ্ট হয়ে যায়।
ভদ্র হলে ভাবে সবাই
ভীতুর একটা ডিম,
নারী মানে সঙের সাথী
পুরুষ হলো ভীম।
নারীর কল্যাণ করতে চাইলে
মিথ্যা বদনাম হয়,
স্বাবলম্বী নারী সমাজ
সবার কাম্য নয়।
নারী রবে ঘোমটার তলে
সমাজে তা চায়,
পীড়ন যত সহ্য করে
সংসার ঠেলে যায়।
রুইকাতল আর শিয়াল মামার
ধরলে কোন ভুল,
শত্রুতার জের ডুবায় নৌকা
পাবেনা আর কূল।
সুশীল শিক্ষায় বাজলে পরে
মানবতার বিন,
হায়না হাঙর হারিয়ে যায়
আসে শুভ্র দিন।
ধরায় তবে বাজে বিজ্ঞান
শান্তি সাম্যের সুর,
সমাজের চোখ উন্মুক্ত হয়
বৈষম্য হয় দূর।
কপিরাইট আইনের সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রফেসর বাড়ি, মধ্যবাড্ডা, বাড্ডা, ঢাকা, বাংলাদেশ।