মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কবিতা - কথায় দ্বন্দ্ব কথায় সামাধান

ড. আছহাব উদ্দিন তালুকদার

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৭:৩৩ পিএম, ২ মে ২০২৪ বৃহস্পতিবার


কথায় দ্বন্দ্ব কথায় সামাধান
ড. আছহাব উদ্দিন তালুকদার
                       
কথার কথায় ঝগড়া বাধে কথায় জাগে প্রেম।
মুখের কথায় হৃদয় মাঝে ভালোবাসার ফ্রেম।

কথার জেরেই ফেসাদ বাধে কথাতে হুলস্থুল্,
কথার রেশেই ঝগড়াঝাটি কথাতে গণ্ডগোল।

কথার কথায় ফিতনা বাধে দ্বন্দ্বে সমাজ নাশ,
মন্দ কথা এড়িয়ে চললে শালীনতার বিকাশ।

কথায় হাসি কথায় কান্না কথায় মত-বিরোধ,
কথার মাঝে হিংসা বিদ্বেষ কথায় প্রতিশোধ।

সব'কথাতো যায়না বলা গোপন করেই রাখি
কথার মাঝে শতেক কথা গহীন মনেই ঢাকি।

কথার জেরেই বিভেদ সৃষ্টি কথায় যতো ব্যথা,
কথাবার্তায় ভাবের উদ্রেক কথায় আত্মীয়তা।

কথায় কথায় শত্রুতা আর কথায় হয় মিত্রতা,
কথায় কুন্দল কথায় ব্যথা কথায় যে তিক্ততা।

কথায় কথায় মানহানী যে কথার প্যাঁচে কথা,
কথায় দোষ কথায় ক্লেশ কথাতেই অশ্লীলতা।

কথার কথায় বাক্-বিতণ্ডা কথায় বাড়ে জ্ঞান,
কথার জেরে তর্কাতর্কি কথার মাঝে সমাধান।

কথার কথায় বিবাদ সৃষ্টি কথায় হয় মিমাংসা,
কথার জেরে জ্ঞানী গুণীরা কুড়াচ্ছে  প্রশংসা।

কথায় বিজয় কথায় পরা-জয় কথায় নিস্তার,
কথায় নিহিত শান্তি সম্প্রীতি সংহতির বিস্তার।


কবি পরিচিতি:
দৃষ্টিনন্দন কাব্যের জনক হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃত কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক ড.আছহাব উদ্দিন তালুকদার, ভারতবর্ষের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার আছিমগজ্ঞ হাটখোলা গ্রামে ১৯৭০ সালে কবির জন্ম । পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে কবিতা লেখার প্রতি আকৃষ্ট হোন তিনি। নিত্যনব সৃষ্টির আগ্রহই তাকে এনে দিয়েছে বিশ্বসাহিত্যের দরবারে। নিজ মেধা আর অধ্যবসায়ী সাধনার ফলে বালা সাহিত্যে ও সংস্কৃতির অঙ্গনে অর্জন করেছেন ঈর্ষণীয় সাফল্য। স্কুল কলেজের বাঁধাধরা গণ্ডির বেষ্টনে আবদ্ধ হতে চাননি তিনি। একাধারে লিখে চলেছেন অগণিত কবিতা আর কবিতা। কবিতাই কবির নেশা পেশা জীবনের সবকিছু। কবিতা গিলে খেয়েই তিনি বেঁচে থাকতে চান যুগ থেকে যুগান্তরে। কাব্যকে তিনি বুকের মধ্যে লালন করে চলেছেন অহর্নিশ। বিশ্ব বলয়ের প্রশস্ত তরঙ্গে আশির দশকের একজন শক্তিমান কবি তথা শব্দ শৈল্পিক "দৃষ্টিনন্দন কাব্যের জনক" তিনি।
কাব্য সাধনাময় জীবনে এক নতুন চমক সৃষ্টি করেছেন কবি তালুকদার। অক্ষরবৃত্তে লেখা তার প্রতিটি কবিতার প্রতিটি সারি যেন চুল-বরাবর। এতোই দৃষ্টিনন্দন কবিতা এরপূর্বে কোন কবির  কবিতায় পরিলক্ষিত  হয়নি? যেটা একমাত্র কবি তালুকদারের কঠোর সাধনার ফসল। দৃষ্টিনন্দন কাব্যের স্রষ্টা হিসেবে আজ তিনি দেশ বিদেশে স্বীকৃত। আশির দশকে "দৃষ্টিনন্দন কাব্যের জনক" খেতাব জয়ী তিনি। কবি তার প্রতিটি কবিতার প্রতিটি চরণ যেন রাডার স্কেলে নিরূপণ করে
থাকেন,বিন্দুবিসর্গ বিসংগতি নেই। আর এখানেই কবির নতুন চমক ও সার্থকতা। দেশ বিদেশ থেকে অর্জন করেছেন অগণিত পদক ও সম্মাননা। বিশ্বের প্রায় আশিটি দেশের সাহিত্য ও সমাজিক সংগঠন ইতিপূর্বে কবিকে সগৌরবে দৃষ্টিনন্দন কাব্যের জনক উপাধিতে ভূষিত করেছে। এযাবৎ অব্দি কবির চারটি বৃহৎ একক কাব্য ও পঞ্চাশটির অধিক যৌথকাব্য রয়েছে। অপ্রকাশিত এখনো প্রায় দুই হাজারের অধিক কবিতা পাণ্ডুলিপিবদ্ধ হয়ে আছে।