মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিচিতি ও কবিতা - শরণার্থী

মোঃ ইজাজ আহামেদ

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১০:৪৯ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সোমবার

পরিচিতি: মোঃ ইজাজ আহামেদ একজন কবি, লেখক, সম্পাদক ও সাংবাদিক। তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার অরঙ্গাবাদের মহেন্দ্রপুর নামক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৯০ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি। তিনি পরিবারের ছয় ভাই বোনের মধ্যে বড়ো। পিতা-মোঃ সামসুদ্দিন বিশ্বাস, মাতা-মতি

য়ারা বিবি। শিক্ষাগত যোগ্যতা- ইংরেজি অনার্স, ট্রিপল এম.এ,  বি.এড, ডি. এল.এড। তিনি বেশ কয়েকটি বেসরকারি  স্কুলে ১২ বছরের বেশি সময় ধরে ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীন সেখপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন । ছোট থেকেই তিনি মেধাবী ছিলেন। স্কুলে পড়াকালীন ক্লাসে প্রায় প্রথম হতেন, অবশ্য দুইবার তৃতীয় হয়েছিলেন। মাধ্যমিকে সুতি থানা এলাকায় তিনি   প্রথম হয়েছিলেন। ছোট থেকেই পারিবারিক আর্থিক প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে পড়ার পাশাপাশি লেখালেখি চালিয়ে যান। ডি এন সি কলেজে পড়াকালীন  কলেজের 'অয়ন' পত্রিকায় প্রত্যেক বছর তাঁর বাংলা-ইংরেজি কবিতা ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হত। তাঁর বাংলা-ইংরেজি  কবিতা, প্রবন্ধ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন পত্রিকা, জার্নাল ও যৌথ কাব্যগ্রন্থে  প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর কবিতা আরবী ও চীনা ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে Discovery and the Golden peak of Improvement  এবং একটি আন্তর্জাতিক মানের বইয়ে Exploring New Trends and Innovations in English Language and Literature নামক দুটি রিসার্চ পেপার প্রকাশিত হয়েছে।  তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ 'স্বপ্ন তরী', 'বাংলা সাহিত্য ও সিনেমায় গোয়েন্দা চরিত্র',  'মনের পাণ্ডুলিপি', 'হৃদ-ক্যানভাস', 'অন্তরের কাব্যকথা', নির্বাচিত কবিতা মানবতা ও শান্তিরজন্য' ও 'পড়ন্ত সন্ধ্যা'।  তিনি 'স্বপ্নের ভেলা সাহিত্য পত্রিকা'র সম্পাদক, 'আন্তর্জাতিক সাহিত্য সুবর্ণ' পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর একজন সদস্য ছিলেন, বর্তমানে উপদেষ্টা মন্ডলী হিসেবে আছেন এবং কাদেরী টাইমস পত্রিকার উত্তরবঙ্গ সম্পাদক। তিনি ভারত ও বাংলাদেশের কবিদের কবিতার সংকলন 'কবিতার আকাশ', 'কবিতার অরণ্য' ও 'কবিতার সাগর' সম্পাদনা করেছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন খবরের কাগজে সাংবাদিকতা করেন। তিনি সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন প্রদত্ত রাজা রামমোহন রায় স্মৃতি স্মারক সম্মান, সানন্দ সাহিত্য সম্মাননা ২০১৯-২০২০, নব পরিচয় সাহিত্য সম্মাননা ১৪২৬, বিদ্যাসাগর স্মৃতি সম্মাননা, নূর মহম্মদ স্মৃতি সম্মাননা, সাহিত্যিকরত্ন, কবিরত্ন, সমুন্নত সৌহার্দ‍্যিক‍ সম্মাননা, মহাকবি কায়কোবাদ সাহিত্য পদক-২০২২,  ইকরা ফাউন্ডেশন থেকে আইকন অফ পিস অ্যায়ার্ড, ইকরা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক কবিতা সম্মেলন ২০২২- এ বাংলাদেশ বেস্ট অ্যায়ার্ড ২০২২, 'এশিয়ান প্রেস সাহিত্য সম্মান ২০২২'(Asian Press Books), ১৮ বছর পূর্তি কবি মিলনমেলা ও কবি জীবনানন্দ দাশ সাহিত্য  সম্মাননা- ২০২২, নবকণ্ঠ সম্মাননা স্মারক, প্রতিভার উন্মেষ কবি সম্মাননা-২০২১ এবং বেশ কয়েকটি দেশের কয়েকটি সংস্থা থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট  ইত্যাদি বিভিন্ন সম্মাননায় সম্মানিত হয়েছেন।
তিনি যেসকল সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের পদ লাভ করেছেন (পদবীসহ) : সম্পাদক- স্বপ্নের ভেলা সাহিত্য পত্রিকা, উত্তরবঙ্গ সম্পাদক - কাদেরী টাইমস,  উপদেষ্টা - 'আন্তর্জাতিক সাহিত্য সুবর্ণ' পত্রিকা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক- জয় বাংলা সাহিত্য পরিষদ (বাংলাদেশ)।
মডারেটর-লন্ডন পোয়েটস্ ক্লাব( ইংল্যান্ড), মডারেটর ও অ্যাম্বাসেডর - ইন্টারন্যাশনাল লিটারেসি স্টাডি( বাংলাদেশ),  অ্যাম্বাসেডর-  জেনিসিস ওয়ার্ল্ড রাইটার্স কমিউনিটি (নাইজেরিয়া), অ্যাম্বাসেডর-  'অ্যাসোসিয়েজিওন কালচারাল পার লা পেস এল উমানিতা' ( রোমানিয়া), অ্যাম্বাসেডর- 'ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যাম্বাসেডরস একাডেমি' র সদস্য(মিশর)। অ্যাম্বাসেডর- 'ইকরা ফাউন্ডেশন' (জেরুজালেম),  'গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডরস অফ সাসটেইনেবিলিটি'র সদস্য(দুবাই), পিস অফ মেম্বার অফ 'ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস' (মিশর), সদস্য- 'ফেদার অ্যান্ড এক্সটেন্ডার হিউম্যানিটি একাডেমি' ইউরোপ এবং তুরস্ক শাখা, সদস্য- গ্লোবাল ফ্রেন্ডস ক্লাব, অ্যাম্বাসেডর ফর  ওয়ার্ল্ড পিস- ফাউন্ডেশন মারিয়া গ্লাডেজ।

 

কবিতা - শরণার্থী

মোঃ ইজাজ আহামেদ

 

মাথায় স্বপ্নের বোঝা নিয়ে 

শরণার্থীরা এগিয়ে যাচ্ছে,

ইতিহাস পিছনে দেখছে 

আর তার স্মৃতিপটে ভেসে উঠছে

 তাদের অসংখ্য অসহায় জীবনচিত্র,

তারা স্বপ্ন দেখেছিল নিজ দেশে

সুখের নীড় তৈরি করতে,

শান্তিতেও ছিল, ঝড়ের মতো হটাৎ করে যুদ্ধ এলো

আর অনেকের জীবন কেড়ে নিল, 

অনেককে নিঃস্ব করে দিল, 

অনেককে পথের ভিখারি বানিয়ে দিল,

তাদের ভবিষ্যতকে চোরের মতো পেটানো হল;

তাদের ইচ্ছা, আশা, স্বপ্ন কাঁচের মতো চুরমার হয়ে গেল

তবু একটু বাঁচার জন্য পিঁপড়ের মতো লাইন ধরে

কাঁটাতারের বেড়ার দিকে এগিয়ে চলেছে

আর মাটির বুকে দূর্বিষহ জীবন-ইতিহাস লিখে যাচ্ছে; 

হোঁচট খেয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে, দাঁড়াতে হয় উঠে;

রক্তাক্ত জীবন নিয়ে তারা সেটাই করার চেষ্টা করছে;

কাঁটাতারে, জলসীমায় মার খেতে হচ্ছে

যেন এই নীল গ্রহে তাদের কোনো ঠাঁই নেই,

যেন তাদের কোনো দেশ নেই।