একুশে ফেব্রুয়ারির ওপর একগুচ্ছ কবিতা
আবদুস সালাম
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১২:২৮ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার
পৃথিবীর বারান্দা মুখরিত হয়
আবদুস সালাম
উদ্বেগে উথলে ওঠে বাহু
অন্তহীন অভিসারে চুমু খায় প্রেমের পাখি
কড়া নির্দেশে মূহুর্মূহু গর্জে উঠে বুলেট
নীরব স্রোতে মেশে রক্তের ফুলকি
লুটোপুটি করে ফাগুনের রক্ত মাখা ভাষা শহিদের অঙ্গিকার
মৃতময় ধূসর আল্পনা আঁকে মাতৃভূমির উঠোনে
সালাম বরকত জাব্বারেরা দেখছে বেহেশত থেকে
মাতৃভাষার ফেরেস্তারা খোঁজ করছে তাদের
স্মরণে লক্ষ পাখির কলতানে মুখর আজ পৃথিবীর বারান্দা
অ আ ক খ- র বিজয় গান
আবদুস সালাম
গাছের পাতার নিচে ঘুঘুটা ঘুঘু করছে বাতাসেরা পাল তুলে গুনছে প্রহর
একটা উত্তরের আসা শুধু---
ফি বছর আগুন ঝরা বসন্ত এলে পাড়ায় পাড়ায় ওরা আসে,
ক্রোধান্বিত মুখ আর পুঞ্জিভূত ঘৃণার দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে
এভাবেই পান্ডুর দিনগুলো অতৃপ্ত আত্মার কাছে ধরা খায়
জান্নাতের প্রাচীর ভেঙে পায়রা ওড়ানো ভোরে সুগন্ধী বিছানায় দুঃস্বপ্ন দেখে মাতৃভাষার অপমৃত্যুর
চিৎকার করে
ঘৃণা ভরে জিজ্ঞাসা করে, মায়ের নাড়ি ছেঁড়া ফুল নিয়ে কেন এতো অভদ্রতা?
বেওয়ারিশ ফুলগুলো ভেসে যায় তাজা রক্তের নদীতে
শহীদ বেদীতে স্বপ্নেরা মরে মাথা ঠুকে
আকাশের বিষন্ন চোখ লজ্জায় মুখ গুঁজে
কে শোনে কার কথা --
শকুনীরা পাহারা দেয় আমাদের আত্মা অভাগিনী অ আ ক খ মায়ের ভেসে যায় বুক
বন্ধ খামের নীল চিঠি গুমরে মরে
অদম্য বাতাসেরা "৮ই ফাল্গুন" অবাঞ্ছিত
দিনের হিসেবে নিতে দলবদ্ধ হই
তুলি শ্লোগান
মিছিলে মিছিলে এঁকে দিই সব রাস্তা
হাহাকার আর আক্রোশের মুখোমুখি হয়ে
বজ্র মুষ্টি তুলি আকাশের দিকে
রক্তাক্ত লাশ নিয়ে শপথ করি
ঘাতকদের উল্লাস উপেক্ষা করে ছুটে চলেছি মুক্তির মাঠে
ঘাতকের বন্দিশালা ভেঙে চিৎকার করি
মায়ের ভাষা প্রাণের ভাষা কেড়ে নিতে দিবো না!
আদিগন্ত আর্তনাদ মেখেছি চোখে মুখে
আমরা বসে নেই --
দ্যাখো তোমারা জান্নাতের জানলা থেকে,
দ্যাখো নক্ষত্রের মতো উজ্জ্বল পতাকা আজ সব হাতে
স্বপ্নময় চৈতন্য আছড়ে পড়ছে পৃথিবীর কোনে কোনে--
যতই ধেয়ে আসুক নোংরা হাতের হিংস্রতা
বিংলিস ভাবনার লজ্জা মাখানো ফাগুন,
ভয়ানক কৃষ্ঞপক্ষ সেঁটে দিয়েছিল সব নরখাদকের দল
নেকড়ের চেয়েও শক্তিশালী ওদের ধৃষ্টতা
জান্নাতের দুয়ারে এসে বর্ষণ করো তোমাদের অভিশাপ
পলাশ ফোটা ভোরে
শিশিরে জমাট বাঁধা রক্তে কেটেছি তিলক
নিয়েছি আমৃত্যু বিজয়ী- পণ
আরও লাগলে দিবো রক্ত!
শপথের পাত্র ভরে উঠেছিল সেদিন কানায় কানায়
সাইবেরিয়ার হাঁসেরা ডানায় বেঁধেছে পৃথিবী বিজয়ের পতাকা
গাইছে অ আ ক খ -র গান।।
নবপ্রভাতে প্রকাশিত
(অ আ ক খ- র বিজয় গান)
আবদুস সালাম
গাছের পাতার নিচে ঘুঘুটা ঘুঘু করছে বাতাসেরা পাল তুলে গুনছে প্রহর
একটা উত্তরের আসা শুধু --
ফি বছর আগুন ঝরা বসন্ত এলে পাড়ায় পাড়ায় ওরা আসে,
ক্রোধান্বিত মুখ আর পুঞ্জিভূত ঘৃণার দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে
এভাবেই পান্ডুর দিনগুলো অতৃপ্ত আত্মার কাছে ধরা খায়
জান্নাতের প্রাচীর ভেঙে পায়রা ওড়ানো ভোরে
জান্নাতের সুগন্ধী বিছানায় দুঃস্বপ্ন দেখে রোজ
চিৎকার করে
ঘৃণা ভরে জিজ্ঞাসা করে, মায়ের নাড়ি ছেঁড়া ফুল নিয়ে কেন এতো অভদ্রতা?
বেওয়ারিশ ফুলগুলো ভেসে যায় তাজা রক্তে
শহীদ বেদীতে স্বপ্নেরা মরে মাথা ঠুকে
আকাশের বিষন্ন চোখ লজ্জায় মুখ গুঁজে
কে শোনে কার কথা --
শকুনীরা পাহারা দেয় আমাদের আত্মা বন্ধ খামের নীল চিঠি গুমরে মরে অভাগিনী অ আ ক খ মায়ের ভেসে যায় বুক
অদম্য বাতাসেরা "৮ই ফাল্গুন" অবাঞ্ছিত
দিনের হিসেবে নিতে দলবদ্ধ হই
তুলি শ্লোগান
মিছিলে মিছিলে এঁকে দিই সব রাস্তা
হাহাকার আর আক্রোশের মুখোমুখি হয়ে
বজ্র মুষ্টি তুলি আকাশের দিকে
রক্তাক্ত লাশ নিয়ে শপথ করি
ঘাতকদের উল্লাস উপেক্ষা করে ছুটে চলেছি মুক্তির মাঠে
ঘাতকের বন্দিশালা ভেঙে চিৎকার করি
মায়ের ভাষা প্রাণের ভাষা কেড়ে নিতে দিবো না!
আদিগন্ত আর্তনাদ মেখেছি চোখে মুখে
আমরা বসে নেই --
দ্যাখো তোমারা জান্নাতের জানলা থেকে,
দ্যাখো নক্ষত্রের মতো উজ্জ্বল পতাকা আজ সব হাতে
স্বপ্নময় চৈতন্য আছড়ে পড়ছে পৃথিবীর কোনে কোনে --
যতই ধেয়ে আসুক নোংরা হাতের হিংস্রতা
বিংলিস ভাবনার লজ্জা মাখানো ফাগুন,
ভয়ানক কৃষ্ণপক্ষ সেঁটে দিয়েছিল সব নরখাদকের দল
নেকড়ের চেয়েও শক্তিশালী ওদের ধৃষ্টতা
জান্নাতের দুয়ারে এসে বর্ষণ করো তোমাদের অভিশাপ
পলাশ ফোটা ভোরে
শিশিরে জমাট বাঁধা রক্তে কেটেছি তিলক
নিয়েছি আমৃত্যু বিজয়ী-পণ
আরও লাগলে দিবো রক্ত!
শপথের পাত্র ভরে উঠেছিল সেদিন কানায় কানায়
সাইবেরিয়ার হাঁসেরা ডানায় বেঁধেছে পৃথিবী বিজয়ের পতাকা
গাইছে অ আ ক খ -র গান।।)
###
কলরব
আবদুস সালাম
দেশের মানচিত্রে লেপ্টে দিও কালশিটে রক্ত
রক্তাক্ত পথে হেঁটে চলেছি পৃথিবীর পথে
গর্বে ভরে ওঠে বুক
মুখে আমার মায়ের ভাষা,
আমার দৃপ্ত অহংকার
ঐদেখ ---
সব দেশের পতাকায় আঁকা ভাষা পাখির কলরব