রোববার   ১৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩১   ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কালিয়াগঞ্জ

পানীয় জলের জন্য জেরবার

শঙ্কর গুপ্তা

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১০:০২ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০১৯ বুধবার

গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা ডোবার জল

গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা ডোবার জল

উত্তর দিনাজপুর

রাজ্যের এমনও অনেক জায়গা আছে অনেক গ্রাম আছে যারা আজ ও নেই রাজ্যের বাসিন্দা হয়ে আছে। শুধু মাত্র ভোটের সময় নেতা মন্ত্রীদের আনাগোনা থাকে এই গ্রামগুলোতে।থাকে তাদের বুকভরা আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি।যেই ভোট চলে যায় ।তারপর আর দেখা মিলে না রাজনৌতিক নেতাদের৷ জানেন কি কেউ এখনো এমন কিছু  গ্রাম  রয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার।যেখানকার হাজার হাজার মানুষরা তাদের গ্রামে বেঁচে থাকার জন্য সামান্য পরিশ্রুত পানীয় জল পান না।
জলের অপর নাম জীবন।আর সেই জীবনের তাগিতে বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীদের সংসারের যাবতীয় কাজকর্ম সারতে হয় নোংরা আবর্জনায় ভরা ডোবার জল দিয়ে।কখনো কখনো আবার তারা বাধ্য হয়ে সেই ডোবার জল কে   পানীয়  জল ভেবে পান ও করে যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে।
কারন একটাই সরকারের দেওয়া পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের যে পানিয়জল সরবরাহের পাইপ রয়েছে তা বছরের পর বছর ধরে খারাপ হয়ে রয়েছে।শুধু তাই না।যে পানীয় জল সরবরাহের জন্য যে পাইপ রয়েছে সেই পাইপ ফেটে যাওয়ায় সেই পাইপ দিয়ে বিষধর সাপের আনা গোনা হয় তাই বাধ্য হয়ে ভয়েই এই জল পান করা ছেড়ে দিয়েছে গ্রামবাসীরা ।এখন তাই গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা ডোবার জল।
হ্যা আমি যে গ্রামের কথা বলছি সেটা উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বরুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের  দিলাল পুরের  ঝিকরাপাড়া,খারী পাড়া, দেবত্বর পাড়া, আদিবাসিপাড়া, মন্ডলপাড়া,বাইন পাড়া, সরকার পাড়া,। গ্রামবাসীরা জানান তাদের এখন নামে মাত্র জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের তরফে পানীয় জলের ব্যাবস্থা আছে কিন্তু বাস্তবকারন যে পাইপ লাইন দিয়ে জল সরবরাহ হয় তা বহুদিন ধরে খারাপ হয়ে আছে ।যে জল সরবরাহ হয় তা খাওয়ার অযোগ্য।এছাড়া এই পাইপলাইনের অবস্থা এতটাই খারাপ যে মাঝে মাঝেই সেই পাইপ লাইন দিয়ে বিষাক্ত সাপ বেরিয়ে আসে। ফলে সাপের ভয়ে সেই জল ছুঁয়েও দেখেন না গ্রামবাসীরা।বাধ্য হয়ে বাড়ির পাশে কোন ডোবা কিংবা পুকুরে গিয়ে পানীয় জল  সহ সংসারের কাজকর্মের জন্য প্রয়োজনীয় জল নিয়ে আসতে বাধ্য হয় তারা।গ্রামবাসীরা আরো জানান পুকুরের জল নোংরা ও বিষাক্ত হলেও তাদের নিরুপায় হয়ে সেই জল নিয়ে  আসতে হয়।