সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তৃণমূল-বিজেপি মিলেমিশে একাকার, কটাক্ষ ডালুর ভোটের কাঠি পড়ার আগেই আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন দক্ষিণ মালদার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। কালিয়াচকের জালালপুর স্ট্যান্ডের পাশে একটি সাংগঠনিকের সভার আয়োজন করা হয়। সাংগঠনিক সভাটি জনসভার রূপ নেয়। জালালপুর এলাকার প্রচুর কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক ভিড় জমান ওই সভায়। সভায় ডালুবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা মহিবর রহমান, ব্লক সভাপতি মোতিউর রহমান, জালালপুর অঞ্চল সভাপতি মুজিবর রহমান প্রমুখ। দক্ষিণ মালদার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, `জেলার মানুষ তৃণমূলের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। মানুষ

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১২:৩১ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০২২ বুধবার

তৃণমূল-বিজেপি মিলেমিশে একাকার, কটাক্ষ ডালুর

 

ভোটের কাঠি পড়ার আগেই আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন দক্ষিণ মালদার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী।  কালিয়াচকের জালালপুর স্ট্যান্ডের পাশে একটি সাংগঠনিকের সভার আয়োজন করা হয়।  সাংগঠনিক সভাটি জনসভার রূপ নেয়। জালালপুর এলাকার প্রচুর কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক ভিড় জমান ওই সভায়।  সভায় ডালুবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা মহিবর রহমান, ব্লক সভাপতি মোতিউর রহমান, জালালপুর অঞ্চল সভাপতি মুজিবর রহমান প্রমুখ।

দক্ষিণ মালদার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, 'জেলার মানুষ তৃণমূলের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। মানুষ কংগ্রেসকে ফিরিয়ে আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। কারণ মালদার মানুষ বরকত গনি খানকে ভালোবাসেন। কংগ্রেসকে ভালোবাসেন। তৃণমূল ও বিজেপি মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছে। তাদের এই মেলবন্ধনের কথা মানুষ জেনে ফেলেছেন। দুই দলের নেতারা নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি করে নাটক করতে শুরু করেছেন। কিন্তু তাদের এই নাটক আর দেখতে চাইছেন না মালদা জেলার মানুষ। মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলেন সুখশান্তিতে থাকার জন্য। কিন্তু মানুষের সুখশান্তি তারা কেড়ে নিয়েছে। তৃণমূল দলটাই দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। সব জায়গায় দুর্নীতি হচ্ছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুট করে পঞ্চায়েতগুলি তৃণমূল দখল করেছিল। কিন্তু মানুষের কোনও লাভ হয়নি। লাভ হয়েছে পঞ্চায়েত প্রধানদের। আর তৃণমূল নেতাদের। মানুষের কাজ করার জন্য কোটি কোটি টাকা এসেছে গ্রাম পঞ্চায়েতে। সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত প্রধানরা। যেসব তৃণমূল প্রধানের কুঁড়েঘর ছিল, তাঁরাই এখন পাঁচতলা বিল্ডিং তৈরি করছে। সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ানো নেতারা এখন চার চাকার গাড়ি নিয়ে ঘুরছেন। মানুষ এর জবাব দেবেন আগামী নির্বাচনে।'

সাংসদ আরও বলেন, আমাদের ভয়ের কিছু নেই। মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে। আগামী পঞ্চায়েতে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। প্রতিটি বুথে কর্মীসমর্থকদের সজাগ থাকতে হবে। পঞ্চায়েত দখল করলে মানুষের পাশে থেকে মানুষের কাজ করা  যাবে। তাই সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। মানুষের স্বার্থে মানুষের জন্য লড়াই করতে হবে। আমরা গনি খানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আপনাদের পাশে আছি। আগামীদিনেও থাকব। আপনারা চিন্তা করবেন না।'

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করে আবু হাসেম বলেন, 'গোটা দেশ যেমন বিজেপিকে ছুড়ে ফেলতে শুরু করেছে। বেশ কয়েকটি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন মানুষ। কংগ্রেসকে ফিরিয়ে আনছেন মানুষ। অনুরূপভাবে পশ্চিমবঙ্গেও এই ধাপ্পাবাজ লুঠতরাজের সরকারকে ছুড়ে ফেলতে হবে। এই সরকারকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলতে না পারলে
রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছুই থাকবে না। তাই আপনারা এগিয়ে আসুন। কংগ্রেসকে ফিরিয়ে আনুন।'

কংগ্রেস নেতা মহিবুর রহমান বলেন, 'জালালপুর অঞ্চলের সভাপতি নিজামুদ্দিন আহমেদের মৃত্যুর পর এই অঞ্চলের সভাপতির পদ শূন্য ছিল। তাই আজ সাংগঠনিক সভা ডেকে নতুন সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে। একুশজনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মজিবর রহমান। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখেই এদিনের সাংগঠনিক সভা ডাকা হয়। কারণ এলাকার মানুষ কংগ্রেসের ছত্রছায়াতেই থাকতে চান। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে জালালপুর অঞ্চলে কংগ্রেসের ফলাফল ভালো হবে বলেই আশা করছি।'

 

বিউরো রিপোর্ট পুষ্প প্রভাত টিভি