সামশেরগঞ্জে গঙ্গা ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে সেচ ও জল সম্পদ মন্ত্রী
মুর্শিদাবাদ :সাগর আলী
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৯:৫১ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২২ শুক্রবার
গঙ্গা ভাঙন থেকে পরিত্রান পাচ্ছে না সামসেরগঞ্জের মহেশটোলা, প্রতাপগঞ্জ, ঘনেশ্যামপুর, ফুলতলা দুর্গাপুর, কামালপুর , ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ। উল্লেখ্য বিগত দুই বছর ধরে গঙ্গা ভাঙন সামসেরগঞ্জে । এবারও নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকায় । প্রসঙ্গত গঙ্গা ভাঙ্গন থেকে রেহাই পাইনি ধুলিয়ান পৌরসভার ১৬, ১৭,১৮ নম্বর গঙ্গার তীরবর্তী মানুষেরা। বেশ তীব্র আতঙ্কে থাকা নদীর তীরবর্তী পরিবারগুলি বাড়ির মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে । আজ শুক্রবার দুপুর -নাগাদ সেচ দফতরের আধিকারিকরা গোটা ভাঙন এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন ৷ জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা৷ তবে তাতেও স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের আগুন নেভেনি৷ তাঁদের দাবি, সেই কংগ্রেস আমল থেকে পাথর দিয়ে বাঁধানো গঙ্গার তীরবর্তী এলাকা৷ ফলে তা কমজোর হয়ে যাওয়াতেই নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে ৷ সরকারের তরফে উদাসীনতার জন্যই এই হাল বলে দাবি ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষের ৷ কোনও রকমে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করছেন নদীর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষজন৷আজ ধুলিয়ান কাঞ্চনতলা গঙ্গা ঘাট থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার জলপথ নৌকোতে করে পরিদর্শন করে পর্যবেক্ষণ করে -পশ্চিমবঙ্গ সেচ ও জলসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন ও সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, জঙ্গিপুর SDO,জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা সাংসদ খলিলুর রহমান, ফারাক্কা বিধানসভার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম সহ অন্যান্য সরকারি অধিকারীগণ।
এদিন সামশেরগঞ্জের ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়া অসহায় মানুষদের কথা তুলে ধরলেন -মন্ত্রী। তিনি বলেন আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষদের জন্য সহযোগিতার জন্য আবেদন করবো।
এদিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, গঙ্গা ভাঙ্গন প্রতিরোধে ১৩ টি কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। - আরো চারটি কাজ প্রক্রিয়াধিন
আছে । রাজ্য সরকার গঙ্গা ভাঙ্গন প্রতিরোধে যথাযথভাবে কাজ করলেও কেন্দ্র সরকারকে এগিয়ে আসা উচিত - মানুষকে বাঁচানোর স্বার্থে।