ছোট গল্প রিক্ত অশ্রুসিক্ত l
নাজমাতুল লায়লা
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৫:৪৯ পিএম, ৪ জুন ২০২১ শুক্রবার
জীবনে অনেক দুঃখ - কষ্ট সহ্য করে যখন সব কিছু হারিয়ে খড় কুটোর মতো আঁকড়ে ধরেছিলো নীলিমা l ঠিক তখন এক কালবৈশাখী ঝড় তার সমস্ত কিছুকে ছারখার করে দিলো l আজ সে নিজের কাছে নিজেকে বার বার প্রশ্ন করছে সবাই যখন নিজের আনন্দে ব্যস্ত, তখন সে কেনো পারে না ! কেনো সে সবার আনন্দে আনন্দিত হতে পারে না? আরও নিজেকে কত রকমের প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করছে তার l তারতো যথেষ্ট বোঝার বয়স হয়েছে তাহলে কেনো এমন সংশয়? সেতো চায় সবার আনন্দে আনন্দিত হতে, সবার মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে l কিন্তু পারে না, হয়তো গুছিয়ে বলতে পারে না, সে হয়তো সবার কাছে এলোমেলো অগোছালো, তাই হয়তো সবার কাছে অপছন্দনীয় l সেতো অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছে সব, তবুও কেনো আজ অপরাধীর তকমা তার গায়ে? শত কষ্ট অপমানে জর্জরিত তার জীবন l তবুও হাসি মুখে মেনে নিয়ে এগিয়ে চলে, এই ভেবে হয়তো কোনোদিন আসবে নতুন ভোর l নীলিমার জীবনে যে, কোনো ভালোবাসা আসেনি তা নয় l বসন্তের ফাগুনের মতো তারও জীবনে এসেছিলো লাল কৃষ্ণচূড়ার ছটা l কিন্তু সেই রঙ মাখাইনি তার অঙ্গেl ভেসে যায়নি রঙিন জলের স্রোতের ধারায় l তাই আজ সেই দোষেই হয়তো সে অপরাধী ! সমাজের কাছে আজ সে হয়তো অনেকটাই প্রাপ্ত বয়স্ক l হয়তো তার জীবনারণ্যে রঙ আর আসবেনা, কোকিলের মধুর কণ্ঠ শুনবেনা l হয়তো কালের স্রোতে ভেসে যাবে কোনো এক নাম না জানা বনফুল হয়ে l তাই সব আশা আকাঙ্খা রেখে দিলো তার গুপ্ত মনিকোঠায় l শুধু শে ছাড়া কেউ জানবেনা হৃদয়ের অব্যক্ত কথা, বুকের তপ্ত ব্যথা l পরিবার তথা সমাজের খাতিরে না হয় বিষন্ন মনে ঠোঁটের কোণে কষ্টের আড়ালে একটু হাসবে l এই চেষ্টায় না হয় করে যাবে সারাজীবন ধরে, যদিও বুকের খাঁচা থেকে সুখপাখি গুলো এক এক করে উড়ে গেল, রেখে গেল বেদনার শূন্য পাঁজর l