নীলসাদা হাসপাতালের সামনেই সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে প্রথমসারীর কোভিড যোদ্ধাদের আবাসন।পরিবার ছেড়ে মহামারীতে নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মানবের সেবায় লড়াই করে চলেছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা।করোনার প্রথমসারীর যোদ্ধাদেরই আবাসনগুলি বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।ভবনের ছাদ ভেঙে পড়ছে।এই আতঙ্কে অনেকে আবাসন ছেড়েছে আবার কেউ নীচতলায় নিজেই সংস্কার করে থাকছেন আবাসনে। মালদহের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীদের আবাসনে ধরেছে কোথাও ধরেছে ফাটল,বহুতলে খসে পড়ছে ছাদের নীচের অংশ।বাইরের অংশে জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়ে পরিত্যক্ত অবস্থা পরিণত হয়েছে। যদি এমতাবস্থায় হাসপাতালের আবাসনগুলিতে জনা কয়েক স্বাস্থ্য কর্মী থাকছে।আবাসনে থাকতে হলে নিজের ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হবে।হাসপাতালের তরফে অবশ্য এমন নির্দেশ রয়েছে। তবুও নিজের ঝুঁকি নিয়ে থাকছেই স্বাস্থ্য কর্মীরা। আবাসনে থাকা এক স্টাফ নার্স মৈত্রী মাঝি বলেন,আমরা ভিনজেলা থেকে এখানে কর্মরত।করোনা আবহে নার্সদের বাইরে কোথাও বাড়ি ভাড়া দিতে ইচ্ছুক হয়না কেউ।তাই নিজেরাই আবাসনের কিছুটা অংশ সংস্কার করে দিন গুজরান করছি।তবে বহুতলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।ছাদের নীচের অংশ খসে পড়ছে।রাতের বেলা নিদ্রা নিলেও তা স্বস্তির না! স্থানীয় বাসিন্দা,রাম কৃষ্ণ গোস্বামী জানান,।হাসপাতাল চত্বর দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করি।স্বাস্থ্য কর্মীদৈর আবাসন ভগ্নাদশায় রয়েছে।ভবনের দেওয়ার চারিদিকে জঙ্গলের থাবা বসিয়েছে।কোথাও আবার ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় একটা বড় দুঘাটনা ঘটতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।যারা প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা তাদের আশ্রয়স্থলে বেহাল দশা সত্যিই দুঃখজনক।স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে তিনি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ডাঃ লায়েক আলী জারদারী জানিয়েছেন,হাসপাতালের ইমার্জেন্সী বিভাগের সামনে নার্সদের আবাসনটির সংস্কারের জন্য পিডব্লুডি আধিকারিকরা পরিদর্শন করেছেন।দ্রুত সংস্কারে উদ্যোগী হবে।