সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বদরপুরের কর্মরত সাংবাদিক স্বপ্নজিৎ নাথ করোনা পজিটিভ

দিদারুল ইসলাম করিমগঞ্জ আসাম

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৮:৫৪ পিএম, ৯ মে ২০২১ রোববার

করোনা! জীবনের তোয়াক্কা না করে অবিরাম সংগ্রহ করে চলেছেন সাংবাদিকরা নূন্যতম সুরক্ষা ছাড়া।এবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন বদরপুরের কর্মরত সাংবাদিক স্বপ্নজিৎ নাথ ।তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, গত দুই তিন দিন ধরে তীব্র জ্বরে ভোগ ছিলেন ।রবিবার সকালে শ্রীগৌরী হাসপাতালে করোনা টেষ্ট করার। পরে উনার রিপোর্ট পজিটিভ আশে । পরে উনাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এদিকে বিশ্ব যখন মহামারি ভরসার করোনার কবলে, জনমনে যখন আকণ্ঠ শঙ্কা, ঠিক তখনও করিমগঞ্জ, বদরপুর, শিলচর, হাইলাকান্দি জেলার সংবাদকর্মীরা নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে অবিরাম সংগ্রহ করে চলেছেন করোনার সংবাদ। ন্যূনতম সতর্কতা ছাড়াই ছুটছেন হাসপাতালে করোনা রোগীর খোঁজে, সেখানে কথা হচ্ছে করোনার চিকিৎসা করা চিকিৎসকের সাথে। কখনো কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে, কখনো তাকে ঘিরে জনগণের প্রতিবাদ মিছিলে! ভাবতে পারেন, বদরপুরের মরহুম মৌলানা আব্দুল জলিল চৌধুরীর সাহেবের পুত্র চৌধুরী উসামা মবরুর বলেন, আমরা যখন মাসের বাজার মজুদ করে বাড়িতে আছি করোনার সতকর্তায় তখন যেই মানুষটি আমাদের জানাচ্ছেন দেশে করোনার প্রকোপ কতটুকু, বিশ্বে কোথায় কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে থেকে শুরু করে করোনার সব খবরাখবর সেই মানুষটিই ঘুরে ফিরছেন কি করোনার চারিদিকে কোনোরকম সুরক্ষা ছাড়াই আমাদের সমাজে একটি শব্দ বা কথার প্রচলন আছে, সেটি হলো ‘ধন্যবাদ’। শব্দটির সঙ্গে আমরা ছোট-বড় সকলেই পরিচিত। একে অপরের দ্বারা যদি কোনো কল্যাণকর কাজে সন্তুষ্ট হয় তাহলে শব্দটি ব্যবহার করা হয়। শব্দটি শুনে আমরা খুশি হই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ধন্যবাদ পেয়ে খুশি হওয়া যায়, সম্মান মেলে, কিন্তু পেট বাঁচে কি?এখন আমরা সবাই করোনাভাইরাসের বিষয়টি জানি। ভাইরাস প্রতিরোধ কিংবা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় সম্মুখসারিতে যোদ্ধা হিসেবে আছেন চিকিৎসকগণ। তাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মী, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য এবং সাংবাদিকরাও সম্মুখযুদ্ধে কাজ করছেন। আমি বিশ্বাস করি, চিকিৎসক এবং স¦াস্থ্যকর্মীর ঝুঁকি রয়েছে, পাশাপাশি এটিও বিশ্বাস করতে হবে, সাংবাদিকদের ঝুঁঁকিও কম নয়। সাংবাদিকদের বেতনভাতা, ঝুঁকি ভাতা ইত্যাদি নিয়ে ইতিপূর্বে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন দাবি তুলেছে। করোনার মতো মহামারিতে মফস্বল সাংবাদিকরাও ঝুঁকিতে রয়েছেন। চৌধুরী উসামা মবরুর বলেন, সারাদেশের সংকটময় মুহূর্তে সাংবাদিকরাই তাৎক্ষণিক খবর পৌঁছে দিয়ে জনসচেতনতা তৈরি করেন। কিন্তু সাংবাদিকদের ভাগ্যে শুধুই মুখের ফুলঝুড়ি আর ফাঁকা বুলি। সাংবাদিকরা সবক্ষেত্রেই বৈষম্যের শিকার।একজন সাংবাদিক শুধু পেশাদারিত্বের কাজই করছে না, সাংবাদিকতার পাশাপাশি মানবিক কাজগুলো করছেন। যার অসংখ্য নজির রয়েছে আমাদের বরাক উপত্যকায় । শুধু মুখে মাস্ক দিয়েই অসীম সাহসিকতার সাথে তারা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। অনেক সাংবাদিক মাথায় পলিথিন দিয়েও কাজ করছেন। জাতির এই ক্রান্তি লগ্নে তারা দায়িত্ব পালনে কখনো পিছ পা হননি, ভবিষ্যতেও হবেন না। তাই এখনই সময় সংবাদকর্মীদের পাশে দাঁড়ান। সংবাদকর্মীদের স¦াস্থ্য সুরক্ষা এবং সম্মান দেন। করোনায় করুণা করে নয়, ন্যায্য পাওনা হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। শুধু ধন্যবাদে সম্মান মেলে কিন্তু পেট বাঁচে না। ধন্যবাদের পাশাপাশি সুরক্ষার দিকটাও বিবেচনা করতে হবে। তাতে দেশেরই লাভ।