মামার বাড়ি থেকে ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত ছাত্র, শোকের ছায
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০২:২১ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২১ শনিবার
মালদাঃ- মামার বাড়ি থেকে মেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে বাইকের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কায় প্রান হারালো এক দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। নাম নাসির ইকবাল (১৮)। সে তুলসীহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের সালালপুর গ্রামে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোর ৩ টা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের তুলসীহাটা বিবেকানন্দ মোড়ে।আজ সকালে মৃত দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠান হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
যুবকের অকাল মৃত্যুতে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন সহ হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
পরিবার সূত্রে জানা যায় শুক্রবার সন্ধ্যায় নাসির ইকবাল কাকা সামসাদ আলিকে সঙ্গী করে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বৈজনাথপুর গ্রামে মামার বাড়ি মেলা দেখতে যায়।মেলা দেখে শনিবার ভোর ৩টা নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে তুলসীহাটা বিবেকানন্দ মোড়ে কুশিদাগামী এক ট্রাকের ধাক্কায় মারা যায় বলে খবর।সকাল হতেই স্থানীয়রা মৃত যুবকের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান।খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশকে।আহত বাইক আরোহী সামসাদ আলিকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তারবাবুরা আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেন এবং মৃত দেহটি উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
মৃত নাসির ইকবালের বাবা জামসেদ আলি জানান তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। নাসির তুলসীহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার্থী।দুই মাস পরেই তার ফাইনাল পরীক্ষা। শুক্রবার সন্ধ্যায় কাকাকে সঙ্গী করে মামার বাড়ি বৈজনাথপুর গ্রামে মেলা দেখতে যায়। শনিবার ভোর ৩টা নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে তুলসীহাটা বিবেকানন্দ মোড়ে ট্রাকের ধাক্কায় মারা যায়। সিসিটিভি ফুটেজে সেই সময় কোনো সিভিল পুলিশকে কর্তব্যরত অবস্থায় দেখা যায়নি।তার অভিযোগ যদি সিভিল পুলিশ কর্তব্যরত অবস্থায় সেখানে থাকত তাহলে তার ছেলে চিকিৎসা পেয়ে বেঁচে যেত।
এক স্থানীয় বাসিন্দা সন্তোষ চৌধুরী জানান তার সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট লক্ষ করা যাচ্ছে দ্রুতগতি সম্পন্ন এক ট্রাকের ধাক্কায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সিভিল ভলেন্টিয়াররা যদি সেই সময় কর্তব্যরত অবস্থায় থাকতো তাহলে চিকিৎসা পেয়ে প্রানে বেঁচে যেত।