শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নতুন সমীকরণ!নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন দিলীপ

দিদারুল ইসলাম করিমগঞ্জ আসাম

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০১:১২ পিএম, ৯ মার্চ ২০২১ মঙ্গলবার

২০১৪ এবং ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়ে শিলচর আসন থেকে বিরাট ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন দিলীপ কুমার পাল। এবার দলের সমীক্ষায় এগিয়ে থেকেও তিনি টিকিট পাননি এবং এতে অনেকেই মনক্ষুন্ন হয়েছেন। এবার নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দিলীপ কুমার পাল। সোমবার দুপুরে নির্দল প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ হচ্ছে ১২ মার্চ, এর আগে তিনি মনোনয়ন জমা দেবেন বলে জানা গেছে। তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেননি তিনি।

তাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “এখনই কোনও কথা বলতে চাইছি না, দল আমাকে প্রার্থী করেনি, এই অবস্থায় নির্দল প্রার্থী হওয়া ছাড়া আর কি উপায় আছে?”

শিলচর আসনে বিজেপির প্রার্থী দ্বীপায়ন চক্রবর্তী। কংগ্রেসের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না হলেও দলের সূত্রে খবর, প্রার্থী হচ্ছেন প্রাক্তন পুরপতি তথা জনপ্রিয় যুব নেতা তমাল কান্তি বণিক। দুজনেই বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলে অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকবেন দুইবারের বিজয়ী দিলীপ।২০১৪ সালে কংগ্রেস প্রার্থী অরুণ দত্ত মজুমদারকে ৩৭৪৪১ ভোটে হারিয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থী দিলীপ কুমার পাল। তিনি পেয়েছিলেন ৭৮, ৮৯৮টি ভোট। ২০১৬ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী বিথীকা দেবকে ৩৯, ৯২০টি ভোটে হারিয়েছিলেন দিলীপ কুমার পাল, তিনি পেয়েছিলেন ৯৪, ৭৮৭টি ভোট। এছাড়া বরাবরই জনগণের কাছে প্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত দিলীপ কুমার পাল। বিশেষকরে গতবছর লকডাউন থাকাকালীন তার সমষ্টির প্রায় প্রত্যেক এলাকায় ঘুরেছেন এবং জনগণকে ত্রাণ, ওষুধপত্র ইত্যাদি পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছেন। ফলে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে গেলে অনেক সমীকরণ পাল্টে যেতে পারে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।