শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চালক নিখোঁজ মামলাতেই পরিমলকে চাপে রাখতে চান সুস্মিতা

দিদারুল ইসলাম করিমগঞ্জ আসাম

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৫:৪৬ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার

বুধবার শিলচরে ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশ থেকে ‘আসাম বাঁচাও বাসযাত্রা’র শুভারম্ভ করেই কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ দল বেঁধে ছুটে যান ধলাইয়ে। রাজ্য মন্ত্রিসভার একমাত্র বাঙালি প্রতিনিধি পরিমল শুক্লবৈদ্যের বিধানসভা কেন্দ্রে। আর গেলেন তো, সোজা একেবারে কাজল দত্তের বাড়িতে। মন্ত্রী শুক্লবৈদ্যের গাড়িচালক ছিলেন কাজলবাবু। ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট তিনি পরিমলবাবুর বাড়ির উদ্দেশে সেই যে বেরিয়েছিলেন, আর ফেরেননি। তাঁর নিখোঁজ সংবাদ পুলিশে এন্ট্রি করা হলেও মা শেফালি দত্তকে জানানো হয়নি।বুধবার সেই শেফালি দত্তের বাড়িতে গিয়ে পিড়ি পেতে বসে যান প্রাক্তন সাংসদ তথা মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি সুস্মিতা দেব। সঙ্গে করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সঞ্চিতা আচার্য সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

শেফালিদেবী জানান, তিনি বহুদিন পরিমলবাবুর কাছে গিয়েছিলেন ছেলের খোঁজে। বারবারই বলেছেন, পাওয়া যাবে। চিন্তা করো না। কিন্তু আজও তাঁর সন্ধান মেলেনি। পরে বাধ্য হয়ে তিনি পুলিশে এজাহার দিয়েছেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তদন্ত এগোয়নি। তাই তিনি হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস (বিশেষ রিট পিটিশন) করেছেন। তাতে পরিমল শুক্লবৈদ্যকেও অভিযুক্ত করেছেন সত্তরোর্ধ্ব মহিলা।

সুস্মিতা বাড়িভর্তি মানুষের সামনে শেফালিদেবীকে বলে এসেছেন, কিছুদিনের মধ্যে রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসছে। তথন তাঁর ছেলের নিখোঁজ রহস্য প্রকাশ্যে আনা হবে। আর যে বা যিনিই দোষী হন, তাকে শাস্তি পেতেই হবে।

তবে ভোটের অপেক্ষায় থাকতে রাজি নন কংগ্রেস নেত্রী। পরিবেশ ও বন, মতস্য এবং আবগারি মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যকে চাপে রাখতে দুই-একদিনের মধ্যে কাছাড়ের পুলিশ সুপারের কাছে যাবেন বলে জানিয়ে এসেছেন সুস্মিতা দেব। ইঙ্গিত দেন, ভোটের আগে একেই ইস্যু করা হবে।