প্রেমে ব্যর্থ, নোট লিখে শিলচরে যুবতীর আত্মহত্যা
দিদারুল ইসলাম করিমগঞ্জ আসাম
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৪:৩৩ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শুক্রবার
রাঙ্গিরখাড়ি সংলগ্ন পঞ্চায়েত রোড এলাকায় ভাড়া ঘরে একাই থাকতেন বছর ৩৪-য়ের লিপি দাম কানুনগো। তার বাড়ি শালচাপড়া সংলগ্ন চান্দুয়া চা বাগান এলাকায়, সেখানে পিসি এবং কাকু রয়েছেন। শিলচরের গুরুচরণ কলেজের প্রাক্তন এই ছাত্রী সোনাই রোডের ফোর্ডের শো-রুমে কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা ভাড়া ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গেছে, যেখানে তার প্রেমিকের নাম এবং ফটো দিয়ে বিবরণ লিখে গেছেন তিনি। জানা গেছে, কলেজে পড়ার সময় করিমগঞ্জের ধ্রুবজ্যোতি নাথ নামের যুবকের সঙ্গে তার প্রেম হয়।
দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক থাকার পরেও যুবকটি একসময় তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। তার বিরুদ্ধে গত মাসে মামলা করেছিলেন যুবতীটি। শেষমেষ ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সুইসাইড নোটে কি লেখা রয়েছে সেটা পুলিশ জানায়নি, তবে তারা বলেছেন যুবতীর আত্মহত্যার সঙ্গে প্রেমিকের একটি যোগসূত্র রয়েছে।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ এলাকাবাসীরা খবর দেন যুবতীর ঘরের জানালার দিকে ঝুলন্ত মৃতদেহ যায় দেখা যাচ্ছে। পুলিশের দল এসে দরজা খুলে মৃতদেহ নামিয়ে আনে। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়, তারাও আসেন এবং মৃতদেহ শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সুইসাইডনোটে যুবকের ফটো এবং বিবরণ লিখে গেছে লিপি দাম কানুনগো। সেটা আপাতত পুলিশের কাছে রয়েছে এবং তারা এর ভিত্তিতে কি ধরনের পদক্ষেপ নেবেন সেটা পরিষ্কার করেননি। লিপির বাড়ির তরফে এখনো পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ জানানো হয়নি।
লিপি দাম কানুনগোর মা-বাবা নেই, পিসি আছেন। তার কাছে বড় হয়েছে সে। বন্ধুরা জানিয়েছে ধ্রুবজ্যোতি নাথের পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে থাকে মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছেন। নানা ভাবে দিনের পর দিন অপমান করা হয়েছে, এতে একেবারে ভেঙে পড়েছিল মেয়েটি। শেষমেষ গত মাসে পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছিল তার সম্পর্ক বাঁচিয়ে দিতে। এতে কোনো কাজ হয়নি। ছেলেটির অন্যত্র বিয়ে হয়, এরপর নিজেকে একা ঘরে আটকে রাখতে শুরু করে লিপি। গত দুইদিন ধরে তার মোবাইলে অনেকেই ফোন করেছেন, কারো কলের উত্তর দেয়নি। শেষমেষ তার এই পরিণতি। খবর পেয়ে বন্ধুরা আঁতকে উঠেছেন।
ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন মেয়েটি অত্যন্ত নম্র এবং ভালো স্বভাবের ছিল, সব সময় হাসিমুখে থাকত। তার মৃত্যুতে এলাকাবাসীরাও স্তম্ভিত।