শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সুজাপুর দুর্ঘটনা কান্ডে রাজনৈতিক চাপানউতোর, নিহত ৬

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৬:২৯ এএম, ২০ নভেম্বর ২০২০ শুক্রবার

সুজাপুর দুর্ঘটনা কান্ডে রাজনৈতিক চাপানউতোর। 

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- দুপুর সাড়ে এগারোটা নাগাদ মালদা জেলার সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানায় কাটিং মেশিন বিস্ফোরন হয়। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয় এবং সন্ধ্যা নাগাদ আরেকজনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। আহতের সংখ্যা 6 জন। স্থানীয় সুত্র থেকে জানা যায় কারখানায় প্লাস্টিকের কাটিং মেশিন অনেকক্ষণ চলার কারণে গরম হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে কালিয়াচক থানার পুলিশ পৌঁছানোর পর মৃতদেহগুলোকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান। এবং আহত গুলিকে স্থানীয়রা মালদা মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হসপিটালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।  বিকেল নাগাদ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় নিহতদের পরিবারকে 2 লাখ টাকা ও আহতদের পরিবারকে ৫০০০০ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। নিহতদের মধ্যে বছর ১১ র বাচ্চা ও কয়েকজন মহিলাও ছিলেন যারা কারখানায় প্লাস্টিক বাছাইয়ের কাজ করতেন।

তড়িঘড়ি বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান মালদা জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। ঘটনাস্থলে তদন্ত করে এটাকে মেশিন দুর্ঘটনা বলে রিপোর্ট পেশ করেন।

বিকেলে জেলায় এসে পৌঁছায় রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি নিহতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাত করে সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন। সাথে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব মৌসম বেনজির নূর, কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী, প্রসেনজিৎ দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 

তবে মেশিন দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ট্যুইট করে ঘটনার নিন্দা জানান এবং সুজাপুর এর মেশিন বিস্ফোরণের ঘটনাকে কটাক্ষ করে মমতা ব্যানার্জির উদ্দেশ্যে বোমা তৈরির কারখানা বন্ধের কথা তুলে ধরেন। সন্ধ্যা নাগাদ উত্তর মালদা লোকসভার সংসদ খগেন মুর্মু মিডিয়ার কাছে ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেন এবং মালদা জেলায় মাঝে মাঝেই বোমা বিস্ফোরণ ঘটে বলে তীব্র নিন্দা জানান। এক্ষেত্রেও মেশিন বিস্ফোরণকে অস্বীকার করে তিনি বোমা বিস্ফোরণ  হয়েছে বলে NIA তদন্তের দাবী জানান। অপরপক্ষে সিপিএমের নেতা সুজন চক্রবর্তীর টুইটের মাধ্যমে সুজাপুরে ঘটনাকে বোমাবাজির ঘটনা বলে কটাক্ষ করেন। 

শোকের মুহূর্তে রাজনৈতিক টানাপোড়েন ও রাজ্য সরকার বিরোধী নেতাদের এহেন মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসীরা। সকলে মিলে এই রাজনৈতিক হিংসা ও মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবেন বলেও অনেকে ফেসবুকে পোস্ট করেন।