শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩১   ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

উপদেষ্টা পরিষদ গঠন ও নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাব নাকচ

জাগরণ প্রতিবেদক

দৈনিক জাগরণ

প্রকাশিত : ০৩:১৬ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০১৮ বুধবার

 

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন উপদেষ্টা পরিষদ গঠন ও নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাব নাকচ হয়েছে। গণভবনে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের সংলাপে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে একজন প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের উপদেষ্টাবিশিষ্ট নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব দিয়েছে।  তারা সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছে।  আমরা মনে করি- এটি নির্বাচন পেছানোর একটি কৌশল।  এর মাধ্যমে ওয়ান ইলেভেনের মতো কোনো অপশক্তি আবার সরকারে আসতে পারে।  ঐক্যফ্রন্টের এই দাবি সংবিধান সম্মত নয় বলে তাদের জানানো হয়েছে।  

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।  নির্বাচন পেছানোর কথা না বলতে ঐক্যফ্রন্টকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় দফা সংলাপ গণভবনে বেলা ১১ টা ১০ মিনিটের দিকে শুরু হয়।  শেষ হয় দুপুর ২টায়।  সোয়া ২টার দিকে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা গণভবন থেকে বের হন।

বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, সংসদ ভেঙে দেওয়া, খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের ৭টি দাবি আবারও লিখিতভাবে জানিয়েছে।  দুই পক্ষের পৃথক অবস্থানে কোনো পক্ষই ঐকমত্যে আসতে পারেনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন চাইছে।  লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে প্রধানমন্ত্রী ঐক্যফ্রন্টকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন।  সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা থাকবে না।  তবে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে।  সাত দফার বেশির ভাগই প্রধানমন্ত্রী মেনে নিতে সম্মত হয়েছেন।  কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি না, জামিন চেয়েছেন ঐক্যফ্রন্ট।  এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ বলেছে, এটা আদালতের বিষয়।

জাহো/এফসি