বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশি কিশোরের সাফল্য
অনলাইন ডেস্ক
দৈনিক জাগরণ
প্রকাশিত : ০৫:০১ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
ছাইফুল ইসলাম মাছুম : বাবার উৎসাহে মাত্র তিন বছর বয়সে ছবি আঁকার হাতেখড়ি তার। সব ধরনের ছবি আঁকতে ভালোবাসে সে। গত সাত বছরে বিভিন্ন ছবি এঁকে অর্জন করেছে দেশ ও বিদেশের অসংখ্য পুরস্কার। জিতেছে জাপান থেকে সিলভার অ্যাওয়ার্ড। ২০১৬ সালে বুলগেরিয়ায় আন্তর্জাতিক এক প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করে পেয়েছে সম্মাননা।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক সংস্থা ওশান জিওগ্রাফি সোসাইটি আয়োজিত সেলিব্রেট দ্য সি-২০১৮ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৬৮টি দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে লড়াই করে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশের এই কিশোর আঁকিয়ে। বলছিলাম নয় বছর বয়সি শাহাদাত হোসেনের কথা। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিতে। শাহাদাত পড়ছে সেন্ট যোসেফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে। বাবা শওগাত হোসেন ব্যবসায়ী, মা ইয়াসমিন আরা গৃহিণী।
শাহাদাতের আঁকাআঁকি শুধু দেশের আঙ্গিনায় সীমাবদ্ধ থাকেনি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সাড়া ফেলেছে তার আঁকা ছবি। সেলিব্রেট দ্য সি-২০১৮ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হয় শাহাদাত। সে এখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেয়। এর আগে তার আঁকা ছবি দেখে ওশান জিওগ্রাফি সোসাইটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে তাকে আমন্ত্রণ জানায়। প্রতিযোগিতার মূল প্রতিপাদ্য বা ছবি আঁকার বিষয় নির্ধারিত ছিল পরিবেশে প্লাস্টিক পণ্যের বিরূপ প্রভাব (Say No To Plastic)। পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশি ছবিটিতে দুটি অংশ দেখানো হয়েছে- একটি অংশে সমুদ্রের নান্দনিক দৃশ্য এবং অন্য অংশে প্লাস্টিক বর্জ্য নিক্ষেপের ফলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
প্রতিযোগিতায় শাহাদাত কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও অন্যান্য দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে ৩য় স্থান অর্জন করেছে। গত ২৯ মার্চ ইন্দোনেশিয়ার মানাদোতে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রতিযোগিতা। শাহাদাত হোসেন রাইজিংবিডিকে জানায়, আন্তর্জাতিক আমন্ত্রণে সশরীরে উপস্থিত থেকে দেশের বাইরে এটাই তার প্রথম অভিজ্ঞতা। এত বড় অর্জন তার আঁকার উৎসাহ শত গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ছবি আঁকাতে পটু এই ক্ষুদে শিল্পী বড় হয়ে অটো মোবাইল ইঞ্জিনিয়ার হতে আগ্রহী।
রাইজিংবিডি