শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মহিলারা নিরাপদ ! কাছাড়ে আক্রান্ত ৭০ শতাংশই পুরুষজন

দিদারুল ইসলাম, করিমগঞ্জ আসাম

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৮:১৭ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ সোমবার

করােনাকালে মহিলারা আক্রান্ত হচ্ছেন তুলনামূলকভাবে কম ! সমগ্র বিশ্বের পরিসংখ্যানই তুলে ধরছে । এমন চিত্র । এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়নি কাছাড় জেলাও । জেলায় এ পর্যন্ত যাদের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে । তাদের সিংহভাগই পুরুষ । মৃত্যু ঘটা লােকেদের ক্ষেত্রেও প্রযােজ্য একই কথা । স্বাস্থ্যবিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী , গত ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৮৪১৫ জন , এরমধ্যে ৫৮৫১ জনই পুরুষ , শতকরা হিসেবে প্রায় ৭০ শতাংশ ( ৬৯.৫৩ শতাংশ ) । সেখানে ২৫৬৪ জন পজিটিভ মহিলার শতকরা হিসেবে গিয়ে দাঁড়ায় ৩০.৪৭ পুরুষদের দৃষ্টিকোণ থেকে মৃত্যুর ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান আরও ভয়াবহ । ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় মৃত্যু ঘটেছে ৯৮ জন পজিটিভ রােগীর । এরমধ্যে ৭২ জনই পুরুষ , শতকরা হিসেবে ৭৩.৪৬ শতাংশ । বাকি ২৬ জন মৃত মহিলার শতকরা হিসেবে গিয়ে দাঁড়ায় ২৬.৫৪ শতাংশে । কেন আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুর সংখ্যার ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে এতাে ফারাক । তবে কি মহিলাদের শারীরিক প্রতিরােধ ক্ষমতা পুরুষদের তুলনায় বেশি । এনিয়ে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর গুপ্তর বক্তব্য , এটা সাধারণ চিন্তাধারার ব্যাপার । গড়পড়তা ক্ষেত্রে মহিলারা পুরুষদের তুলনায় বাইরে বের হন কম । বাইরে বের হলে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যায় । তাই পুরুষদের মধ্যে মহিলাদের তুলনায় সংক্রমণ ঘটছে । বেশি । এক্ষেত্রে মহিলাদের শারীরিক প্রতিরােধ ক্ষমতা বেশি , এমন কিছু ভেবে নেওয়ার মানে নেই । একই কথা শােনা গেছে , স্বাস্থ্য বিভাগের ডিস্ট্রিক্ট মিডিয়া এক্সপার্ট সুমন । চৌধুরীর মুখেও । সুমনবাবু বলেন , এর জন্যই বারবার সতর্ক করে বলা হচ্ছে প্রয়ােজন ছাড়া কেউ যেন বাইরে বের না হন । আর বের হলেও মুখে মাস্ক পরিধান সহ অন্যান্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা মেনে চলা আবশ্যক । কিন্তু এসব কথা কানে তুলতে চান না অনেকেই । তার কথায় , হাটেবাজারে ভিড় করা বা বেপরােয়া চলাচলের অভ্যাসটা যেন আমরা ছাড়তেই পারছি না । স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এসব নিয়ে না ভাবলেও চলে , কিন্তু বর্তমান দুর্যোগের পরিস্থিতিতে নিয়ম - কানুন মেনে চলতে হবে । অন্তত নিজেদের স্বার্থে তা বােঝা উচিত সবার । এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের অন্য এক সূত্রে জানা গেছে , ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় যে ৮৪১৫ জনের টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে এর মধ্যে আরটিপিসিআর টেস্ট করা হয়েছে ২৩৪৩ জনের , বাকি ৬০৭২ জনের পজিটিভ এসেছে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে । ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরটিপিসিআর টেস্ট করা হয়েছে মােট ৪৭৩৪৪ জনের , র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে ৬৭৪৯৭ জনের । সেই হিসেবে আরটিপিসিআর টেস্টে পজিটিভ এসেছে ৪.৯৪ শতাংশের এবং র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ৮.৯৯ শতাংশের ।