বিশ্ববিদ্যালয় কোয়রান্টিন সেন্টার থেকে উধাও ছাত্রীদের জিনিস, নথি
দিদারুল ইসলাম, করিমগঞ্জ আসাম
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৮:৫৫ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ শনিবার
মার্চে লকডাউন শুরু হওয়ার আগেই হোস্টেল ফাঁকা করতে নির্দেশ দিয়েছিল আসাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ ২২ মে নির্দেশ দেয়, জেলা প্রশাসন কোয়রান্টিন সেন্টার করছে ছাত্রাবাস, ছাত্রীনিবাসগুলিকে৷ সবার সব জিনিস সরিয়ে নিয়ে যাও৷ তখন লকডাউনের চরম কড়াকড়ি৷ গাড়ি-ট্রেন সব বন্ধ৷ মার্চের নির্দেশে যারা ভিন জেলায় বাড়িঘরে এসে গিয়েছে, তারা কী করে গিয়ে মালপত্র সরাবে! এখন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় তারা নিজেদের সামগ্রী নিয়ে যেতে ছাত্র সংসদের সাহায্য চায়৷ জেলা প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে ভিন জেলার ছাত্রছাত্রীরা আসে৷ কিন্তু অনেকেই দেখেন, মূল্যবান জিনিসপত্র উধাও৷ খোয়া গিয়েছে ল্যাপটপ, ট্রলি ব্যাগ, বিছানাপত্র, বইখাতা ইত্যাদি৷ নেই অনেকের অ্যাডমিট-মার্কশিটের মত মূল্যবান নথি৷ আইনবিভাগের ছাত্রী মণিদীপা দাসের রুম একেবারে ফাঁকা৷ বিছানাপত্রগুলিও কে নিয়ে গিয়েছে৷কিন্তু কেউ চুরিকাণ্ডের দায় নিতে নারাজ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য, কোয়রান্টিন সেন্টার গড়ে মানুষদের থাকতে দিয়েছিল জেলা প্রশাসন৷ কিছু বলার হলে তাদেরই বলতে হবে৷ অতিরিক্ত জেলাশাসক জেআর লালসিম বলেন, আমরা তো ফাঁকা রুম চেয়েছিলাম৷ ফলে সেখানে মূল্যবান জিনিস রাখারই কথা নয়৷
বৃহস্পতিবার ছাত্রছাত্রীদের হারানো জিনিস খুঁজে দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে বিক্ষোভ দেখায় ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল নামে এক সংস্থা৷ শুক্রবার ছাত্র সংসদ জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়৷ সভাপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক অরিত্র ধর বলেন, সকলের খোয়া যাওয়া সামগ্রী খুঁজে বের করতে হবে৷ নইলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে৷ হারিয়ে যাওয়া নথির ব্যাপারেও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন তাঁরা৷