গেস্ট হাউস থেকে বিতাড়িত শিক্ষক:নিন্দার ঝড় মালদহ জেলা জুড়ে
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০২:৫২ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার
নিজস্ব সংবাদদাতা,পুষ্প প্রভাত,হরিশ্চন্দ্রপুর
:মালদহের ১০জন শিক্ষক সোমবার সল্টলেকে গেস্ট হাউস থেকে বিতাড়িত হন বিশেষ সম্প্রদায়ের হওয়ায় কারণে বলে দাবি করেছেন।তারা মঙ্গল বার বাড়ি ফিরেছেন মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানান।এই দশ জন শিক্ষকের মধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ব্লকের চারজন ও কালিয়াচক এলাকার ছয় জন।এই প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ব্লকের কাওয়ামারি সুরাইয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফ বলেন,আমরা জেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র ও মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক বিকাশ ভবনে স্কুলের কাজে গিয়েছিলাম।সোমবার সকালে পূর্বের বুক করা সল্টলেক ডি এল ব্লকের ট্রিনিটি গেস্ট হাউসে গেলে কিছুক্ষন থাকার পর ম্যানেজার গেস্ট হাউস ছাড়তে বলেন।শিক্ষকরা প্রত্যেকেই মুসলিম হওয়ার জন্য তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তি আছে বলে জানান।এই ঘটনায় আমরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছি।আমাদের গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ দেশে এটা ভাবতেই অবাক লাগছে।বাড়ি ফিরে ও কালকের ঘটনার জন্য মনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন জেলার বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের নেতৃত্ব। এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির মালদহ জেলা সভাপতি বিপ্লব গুপ্ত বলেন,অত্যন্ত জঘন্যতম কাজ এটা। আমাদের শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির মালদহ জেলা সম্পাদক অরুণ কুমার প্রসাদ বলেন,জাতপাত বিচার করে বিভাজন আমরা সমর্থন করি না।এটা খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয় ঘটনা।প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরামের মালদহ জেলা সভাপতি মুহাম্মদ ওয়াহেদুল্লাহ আলি বলেন,এই ঘটনা রাজ্যের শিক্ষকদের চরম অপমানিত করা হয়েছে।তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আগামী দিনে যাতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে প্রশাসন ব্যাবস্থা নিক।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলম বলেন,এই বিষয়ে জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এদিন মালদহ জেলা শাসক ও পুলিস সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছি। ওই হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ও হোটেলের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।