বদরপুর ঘাটে কোরোনা চেকিংয়ের নামে চলছে অর্থ উপার্জন
দিদারুল ইসলাম, করিমগঞ্জ আসাম
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১০:৫১ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার
জনগণের দাবিকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়া হবে উন্নয়নের জোয়ার বইবে তথা দুর্নীতির সঙ্গে কুনো আপোষ হবে না সরকার গঠনের পর এই কথা গুলি ফুলঝুড়ী উড়ানো হয়েছিলো এবং বুকা জনগণ ইহা বিশ্বাস করে নিজেদেরকে কিছুটা হলেও আশ্বাস করেছিলেন। বাস্তব ক্ষেত্রে সবাই ফাঁকা আওয়াজে পরিনত হয়েছে। কারোর পৌষ মাস আর কারোর সর্বনাশ।হ্যাঁ এই নীতি বাক্যটি অক্ষরে অক্ষরে ফলপ্রসূ বদরপুর পুলিশের ক্ষেত্রে । বদরপুর ঘাটের স্হানীয় যুবক অরুণ শুক্লবৈদ্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
পাঁচ আঙ্গুল ঘিয়ের মধ্যে বদরপুর সাদা পোশাকদারী পুলিশ কর্মকর্তাদের।এমনিতে বদরপুরের হাসানপুরে আসামের প্রথম করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার পর থেকে বদরপুর ঘাট দিয়ে বাহিরের কোন গাড়ি প্রয়োজন ছাড়া শহরে প্রবেশ না করতে বদরপুর পুলিশকে নাকা চেকিং দায়িত্ব দিয়েছেন করিমগঞ্জ প্রশাসন। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বদরপুর পুলিশ চেকিং এর নামে কোন রশিদ ছাড়া বাইক কিংবা ছোট গাড়ি শহরে প্রবেশের নামে একশ থেকে দুশ টাকা আদায় করছে বলে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ।এমনিতে লক ডাউনের যাঁতাকলে পৃষ্ঠ হয়ে দিশাহারা গোটা দেশের সাধারণ জনগণ।যদিও সুখে-দুঃখে সরকারের নির্দেশিকা দেশের সাধারণ মানুষরা পালন করলেও সরকারের নির্দেশিকাকে মানতে নারাজ বদরপুরের কিছু সাদা পোশাকদারী পুলিশ বলে অভিযোগ করেন অরুণ ।আর এতে সরাসরি মদত জোগাচ্ছেন কে জনমনে হাজার ও প্রশ্ন ।অভিযোগ মতে প্রতিদিন বদরপুরে কাটিগড়া, চৌরঙ্গী, সহ অন্যান্য এলাকার মানুষ বদরপুরে বাজার করতে আসছেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেটে না থাকায় রশিদ ছাড়া অর্থ আদায় করছেন, অরুণ আরও জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বদরপুর ঘাটে দশ থেকে বারোটি ওভারলোডেড পাথর বোঝাই লরি আটক করে রেখেছিলো পুলিশ, অরুণ বলেন, কেনো আটক করা হয়েছিলো, কি রহস্য, পরে কেনো আবার ছেড়ে দেওয়া হলো, তিনি আরও বলেন বদরপুর ঘাটে করোনার নামে চলছে সিন্ডিকেট, অর্থ উপার্জন এ নিয়ে তিনি করিমগঞ্জ জেলা শাসক আন্বামুথান এমপি সহ পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ।