মালুয়া প্রিয়বালা এমই স্কুলে ছাত্রবৃত্তির নামে বৃহৎ কেলেঙ্কারি
দিদারুল ইসলাম, করিমগঞ্জ আসাম
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১০:৩৬ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ সোমবার
সংখ্যালঘু ছাত্রবৃত্তির কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ালো বদরপুর শিক্ষা খন্ডের অন্তর্গত মালুয়া এলাকার নাহারপুর গ্রামের প্রিয়বালা দেব এমই স্কুলের । উল্লেখ্য ২০১৮-১০১৯ সালের ছাত্র বৃত্তি কেলেঙ্কারি বৃহৎ ভাবে হয়েছে বলে অভিযোগ সচেতন মহল সহ কৃষক মুক্তি সংগ্ৰাম সমিতির। প্রাপ্ত তথ্যমতে স্কুলের সর্বমোট ছাত্র পনেরো থেকে কুড়িজন এবং পাঁচজন শিক্ষক , তার মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্র নেই বললেই চলে কিন্তু বৃত্তি পেয়েছে সিংহভাগ ছাত্ররা। এই পনেরো থেকে কুঁড়ির মধ্যে ছাত্র বৃত্তি সংখ্যা মোট ২৩ জন হিতাধিকারী। প্রশ্ন উঠেছে ? এরা কারা? এই বিপুল টাকা গুলি কার পকেটে স্থলে গেলো ? দাপুটে শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার শিক্ষাবিভাগে একেরপর এক এহেন কান্ডে রীতিমতো প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে শিক্ষক সহ অভিভাবক মহলকে।
তথ্য মতে মাথাপিছু ১৭-১৮ জন ছাত্র-ছাত্রী পেয়েছে ১০২০০ টাকা করে এবং ৪/৫ জন ছাত্র-ছাত্রী পেয়েছে ৮৫০০ টাকা করে। জেলার নিরীখে সীমান্ত জেলা করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দিতে সবচেয়ে বেশি কেলেঙ্কারি হয়েছে এবং সেটা দীর্ঘদিনব্যাপী আন্দোলন করে আসছে উভয় জেলার কৃষক মুক্তি। আমরন অনশন থেকে বিধানসভা অধিবেশনে ও আওয়াজ উঠেছিল। ফলস্বরূপ অবশেষে মন্ত্রী মহোদয় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বহুচর্চিত এই কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে প্রশাসন নীরব থাকায় সংশয়ে ছিলেন কৃষক মুক্তির সদস্যরা। অবশেষে সিআইডি তদন্তের আওতায় আসায় কিছুটা সংশয় দূর হলেও অপেক্ষায় আসামী চিনাক্তকরনের জন্য। চর্চিত এই কেলেংকারীতে হিন্দু ছাত্রদের নামে পাওয়ার পর এবার গ্রামহীন ছাত্র-ছাত্রীদের নামে সংগঠিত হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এই ২৩ জন ছাত্র-ছাত্রীর তথ্য স্কুলের রেজিস্ট্রারে নেই বলে সাফাই খেয়েছেন । গ্রামের জনগনের দাবী বৃত্তি পাওয়া বেশীরভাগ "খাতুন" পদবীর, ছাত্রী আর এই পদবীর ছাত্রীরা স্কুলে নেই। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে অন্ধকারে রেখে কেলেংকারী করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দাষীদের শাস্তি দেওয়ার দাবী গ্রামবাসীর।