শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বৃহস্পতিবার আসামের শিলচর কারাগারে করোনা আক্রান্ত হলেন আরও ৪৭

দিদারুল ইসলাম, আসাম

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৩:২৬ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ শুক্রবার

সোমবার থেকে শিলচর শহরের কেন্দ্রীয় কারাগারে অভিযুক্ত অপরাধী সহ প্রত্যেকের সোয়াব স্যাম্পল পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথম দুই দিনে ৭৬ জন ব্যক্তি পজিটিভ হয়েছিলেন, বুধবার পরীক্ষা হয়নি, বৃহস্পতিবার মোট ৮২ জনের পরীক্ষা হয়েছে এরমধ্যে ৪৭ জন লোক পজিটিভ হয়েছেন। প্রথম দিন ৩৩ জন এবং দ্বিতীয় দিন ৪৩ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১২৩ জন। এরমধ্যে কয়েদি সহ জেলকর্মীরাও রয়েছেন। একজন রোগীকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, বাকি সবাই জেলের ভেতরেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জেল সুপার সত্যেন্দ্র বৈশ্য জানিয়েছেন, মোট ৪৮৮ জন কয়েদি রয়েছেন শিলচর কেন্দ্রীয় কারাগারে। এছাড়া শ’খানেক কর্মী হবেন। তিন অফিসার সহ সাতজন সুরক্ষা কর্মী আগেই পজিটিভ হয়েছেন এবং তারা সুস্থ হয়ে আবার কাজে যোগ দিয়েছেন। দু’একজন কয়েদি আগে পজিটিভ হয়েছেন তবে একসঙ্গে এতজন পজিটিভ হওয়ায় তারা চিন্তিত। তিনি বলেন, “কারাগারে থাকা বেশ কয়েকজন ব্যক্তির জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেওয়ায় আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাই তারা যেন প্রত্যেকের পরীক্ষা করিয়ে নেন। প্রথম দিনে ৫০ জনের পরীক্ষা হয় এবং ৩৩ জন পজিটিভ হন, দ্বিতীয় ৬৬ জন এর মধ্যে ৪৩ জন পজিটিভ হন এবং তৃতীয় দিন ৮২ জনের মধ্যে ৪৭ জন পজিটিভ হন। আগামীতে এই প্রক্রিয়া চলবে এবং প্রত্যেক ব্যক্তির পরীক্ষা হবে। জেলের ভিতরেই সরকারিভাবে করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একসঙ্গে বেশি লোক আক্রান্ত হওয়ায় তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই আপাতত আক্রান্তরা কয়দিন থাকবেন।”স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সুমন চৌধুরী জানিয়েছেন, কারাগারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা এবং তাদের চিকিৎসা করার জন্য বিশেষ দল গঠন করে দেওয়া হয়েছে। একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্যকর্মীরা সেখানে কাজ করবেন। কোন ব্যক্তির স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ভাবে সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হবে।
তবে একসঙ্গে অনেক বেশি কয়েদিকে যদি হাসপাতালে পাঠানো হয় তাহলে সুরক্ষা ব্যবস্থা একটি চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে, এমনটাই মনে করেন হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ বাবুল বেজবরুয়া। তিনি বলেন, “অতীতে আমাদের এখানে অনেক অভিযুক্ত অপরাধীর চিকিৎসা হয়েছে। সেক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে সাহায্য নেওয়া হয়েছে। তবে একসঙ্গে যদি ৩০ বা ৪০ জন আক্রান্ত ব্যক্তিকে জেলের পক্ষ থেকে পাঠানো হয় তবে তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করতে হবে। এমনটা হলে আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত সুরক্ষা দিতে বলব।”