শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বরাকে কয়লা কেলংকারির পর এবার লাইম ষ্টোন কেলেংকারি

দিদারুল ইসলাম, করিমগঞ্জ আসাম

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৯:৩২ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২০ রোববার

বরাকে কয়লা কেলংকারির পর এবার লাইম ষ্টোন কেলেংকারি । প্রতিদিন শত শত ট্ৰাক মেঘালয়ের লাইম ষ্টোন (চুনা শিল) নিয়ে অসমের করিমগঞ্জ হয়ে ত্ৰিপুরা রাজ্যে গিয়ে পৌছায় । এইসমস্ত ট্ৰাকগুলোর ওভারলোডেড কোনও বৈধ কাগজ থাকে না, অথচ থাকে অতিরিক্ত  ওভারলোড । গেইটে গেইটে টাকা দিয়ে আসার জন্য অসমের কোনো বিভাগেই ট্ৰাকগুলোকে আটক করেনা বলে স্বীকারোক্তি গাড়ি চালকের ।  মেঘালয় থেকে লাইমষ্টোন সরবরাহ । এক রহস্যজনক কেলেংকারি । সুত্র অনুযায়ী,এতে বন বিভাগের পরিবৰ্তে মিনারেল রিসোর্স বিভাগের দায়িত্ব অধিক । অবশ্যে যেকোনোও বনজ সামগ্ৰীর ক্ষেত্রে বন বিভাগের কিছু দায়িত্ব থেকেই যায় । মেঘালয়ের লুমচুলুং থেকে লাইমষ্টোনগুলো কেড়ে এনে ত্ৰিপুরাতে পাচার করা হয় । কিছু কিছু ক্ষেত্রে করিমগঞ্জ জেলাতেও সরবরাহ করা হয় । ডাম্পার গুলোতে অতিমাত্রায় ওভারলোড নিয়ে আসার সময় কোনও বৈধ কাগজপত্র চালকের হাতে থাকে না । কিন্তু গত এক বছর থেকে করিমগঞ্জের উপর দিতে প্রতিদিন শত শত ওভারলোড ট্ৰাক লাইম ষ্টোন নিয়ে গেলেও কুম্ভকর্ণের নিদ্ৰাত মগ্ন সরকারি সকল বিভাগ । করিমগঞ্জের মিনারেল রিসোর্স বিভাগ নেই যদিও, যেকোনোও বনজ সামগ্ৰী হলেই বন বিভাগে সেগুলো দেখাশোনা করে । অবৈধভাবে পাথর পাচার পর্ব চলছে,কী করে চলছে সিন্ডিকেট মাফিয়াদের দাপট?বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন পাথর-বালু পাচার ও বৃক্ষ। নিধনযজ্ঞের রাশ টানতে বনমন্ত্রীর কঠোর স্থিতিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লাগামহীন দুর্নীতি কায়েম করে চলেছেন , ও সিন্ডিকেটের মাফিয়ারা। এ-সব বিস্তর অভিযোগ  জেলার সর্বত্র শোনা গেলেও রহস্যজনকভাবে নীরবতা অবলম্বন করেছেন বন দফতর । অভিযোগ, সিন্ডিকেটের মাফিয়ারা ও লেসি  নেতৃত্বে সিন্ডিকেট মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলেছে দিনের পর দিন। দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ব্যাপক তত্‍পরতার সঙ্গে অবৈধ পাথর পাচার অভিযান চলছে মেঘালয় থেকে । অভিযোগকারীদের কাছে থেকে জানা গেছে,   প্রতিদিন বিশাল পরিমাণে পাথর পাচার হচ্ছে। সব অবৈধ পাথর বোঝাই ট্রাক প্রতি মোটা অঙ্কের টাকা  সংগ্রহ করছে মাফিয়ারা। কিছু সংখ্যক ট্রাকের ক্ষেত্রে অধিক টাকাও আদায় করা হচ্ছে ।