মুমূর্ষু এক রোগীকে রক্ত দিয়ে প্রান বাঁচালেন বদরপুর প্রেস অ্যাসো
দিদারুল ইসলাম, করিমগঞ্জ আসাম
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৮:৪৯ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২০ বুধবার
কথায় আছে যদি হই রক্তদাতা,জয় করবো মানবতা মুমূর্ষু এক রোগীকে রক্ত দিয়ে প্রান বাঁচালেন বদরপুর প্রেস অ্যাসোসিয়েশন । লকডাউন পরিস্থিতিতে রক্তের তীব্র অভাব রয়েছে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ব্লাড ব্যাংকে। এই পরিস্থিতিতে জীবন নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যায় বাবুল ঘোষের বয়স ৫৮। শেষ পর্যন্ত এগিয়ে আসেন বদরপুর প্রেস অ্যাসোসিয়েশন সহ সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় দাস ও সম্পাদক অনিন্দ্য ভট্টাচার্য প্রমুখ । এই মানবিক উদ্যোগে খুশী সাধারন মানুষ।উল্লেখ্য কোভিড সংক্রমন ও লকডাউনের কারনে জেলা ব্লাড ব্যাংকে তীব্র রক্ত সংকট দেখা দিয়েছে। নিয়মিত শিবির না হওয়ায় ব্লাডব্যাংকের ভাঁড়ার প্রায় শূন্য। রক্তের অভাবে জীবন সংকট দেখা দিচ্ছে মুমূর্ষু রোগীদের। এই পরিস্থিতিতে বুধবার সকালে
মঙ্গলবার বাবলু ঘোষের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাকে রক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ব্লাড ব্যাংক সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও ও রক্ত যোগাড় করতে পারেন নি বাবলু ঘোষের স্ত্রী বাবলী ঘোষ। পরে যোগাযোগ করেন বদরপুর প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় দাসের সঙ্গে। এই খবর জানতে পেরে এগিয়ে আসেন বদরপুর প্রেস অ্যাসোসিয়েশন কর্মকর্তারা ।
বদরপুর প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের এই ভূমিকায় আপ্লুত রোগীর পরিবার। সত্যবান নাগ রোগীর এক আত্মীয় বলেন,”বদরপুর প্রেস অ্যাসোসিয়েশন কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই।”উল্লেখ ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলো বদরপুর প্রেস অ্যাসোসিয়েশন । বরাকভ্যালি ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের করিমগঞ্জ জেলা কমিটির সহযোগিতায় বদরপুরে এক স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয়।শনিবার সকাল ১১ টা নাগাদ বদরপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি ভবনে এই শিবিরে মোট ২০ জন দাতা রক্তদান করেন।ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের করিমগঞ্জ জেলা সম্পাদক বরুণ দাশগুপ্ত বলেন কারোর রক্তের প্রয়োজন হলে একটা ফোন কল ই যথেষ্ট, মাত্র একটা ফোনকল দূরত্ব বলেছিলেন ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের কর্মকর্তারা ।এবং কথা রাখেন ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম। বদরপুর প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অনিন্দ্য ভট্টাচার্য বলেন, জনগণকে রক্তদানে উৎসাহিত করা, স্বেচ্ছায় রক্তদানে সচেতন করা, নতুন রক্তদাতা তৈরি করা ও নিরাপদ রক্ত ব্যবহারে উৎসাহিত করা।আসুন সবাই আমরা অন্তত এক ব্যাগ রক্ত দান করি। এক ব্যাগ রক্ত দানে বাঁচবে একটি প্রাণ, বেঁচে থাকবে থ্যালাসেমিয়া রোগীরা।