স্বেচ্ছায় র্যাপিড টেস্ট করার আহ্বান জানালেন মন্ত্রী পরিমল
দিদারুল ইসলাম, করিমগঞ্জ আসাম
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৬:৪১ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২০ সোমবার
সমাজ ও সভ্যতাকে বাঁচাতে স্বেচ্ছায় কোভিড -১৯ টেস্টে এগিয়ে আসার জন্য জনগণের উদ্দেশে আহ্বান জানালেন রাজ্যের বন ও পরিবেশ ইত্যাদি বিভাগের মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য । দেশের ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে করিমগঞ্জে জাতীয় পতাকা তােলার পর বক্তব্য রাখছিলেন তিনি ।করােনা ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ রুখতে নিজে থেকে এগিয়ে এসে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে বলেন মন্ত্রী । সংক্রমণ এরই মধ্যে যথেষ্ট ক্ষতি করে নিয়েছে । সংক্রমণ ঠেকাতে প্রশাসন ব্যস্ত থাকায় উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে । অর্থনীতি দ্রুত নিচের দিকে নামছে । কোভিডের সামাজিক প্রতিরােধ নিশ্চিত করতে ফেসমাস্ক ব্যবহার , দূরত্ব বজায় রেখে চলা , হাত ধােয়ার পরামর্শ দিয়ে জরুরি কাজ না থাকলে সবাইকে বাড়িতে থাকতে বলেন মন্ত্রী । নােভেল করােনা ভাইরাস সংক্রমণ মােকাবেলায় প্রশাসনের পদক্ষেপগুলাে সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করেন । জানান , জেলায় প্রবেশের পথে ১.৫ লক্ষ লােককে স্ক্রিনিং টেস্ট করা হয়েছে । কোভিড ট্রিটমেন্ট আইসােলেশন ফেসিলিটির জন্য ৬৬৮ শয্যার চারটি হাসপাতাল রয়েছে জেলায় । রােগী রয়েছেন প্রায় ৩০০ শয্যায় । প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ফেসিলিটির জন্য রয়েছে ৩০০০ শয্যা । ২০,৮০০ জনের করা হয়েছে সােয়াব টেস্ট । ২৫০০০ লােকের করা হয়েছে আরএটি । হােম কোয়ারেন্টিন করেছেন ৪৩১৬ জন । মাস কোয়ারেন্টিন করেছেন ৭৭৭৯ জন । শনাক্ত হয়েছেন ১৫০০ রােগী । ৭০০ জনকে সুস্থ করে তুলে বাড়িতে পাঠানাে হয়েছে । কোভিড রােগীর সুবিধায় রয়েছে ৩০০ টি শয্যা , যা ১০০০ করার পরিকল্পনা আছে । কোভিড চিকিৎসায় কাউকে দুশ্চিন্তা না করতে বলেন মন্ত্রী । জানান , অভিযােগ খতিয়ে দেখার জন্য মূল ট্রিটমেন্ট সেন্টারের ভেতরে ও বাইরে মােবাইল ভিডিওকলের ব্যবস্থা রয়েছে । আরও জানান , ৩৮,৮৮৬ জন মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কারকে ৪০০০ টাকা করেদেওয়া হয়েছে । গ্রামােন্নয়ন দফতর মারফৎ ৪২,৪০০ জনকে জবকার্ড দেওয়া হয়েছে । ৫৪৪৩ জন জবকার্ড হােল্ডারকে কাজ দেওয়া হয়েছে । জেলা পরিষদের মাধ্যমে ২ লক্ষ ৪ হাজার মাস্ক উৎপাদন করা হয়েছে । এমএফএস কার্ড নেই এমন । কোভিড ক্ষতিগ্রস্ত ১৭১৭৪ টি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ১০০০ টাকা করে সাহায্য । এছাড়া , গত চার বছরে সমাজকল্যাণ ও উন্নয়নমূলক কাজের সরকারি খতিয়ান পেশ করেন তিনি । এরমধ্যে রয়েছে ২ লক্ষ ৩৫ হাজার পরিবারকে গ্রামােন্নয়ন দফতরের মাধ্যমে কর্মসংস্থান । আছে ১৫৬৩০ টি প্রধানমন্ত্রী আবাস নির্মাণ । মুখ্যমন্ত্রী গ্রামীণ কৃষি যােজনায় ২২৪ ট্রাক্টর ও ২১২ টি পাওয়ার টিলার বিতরণ । ৫২৭৯ জনকে ক্যিান ক্রেডিট কার্ড প্রদান । প্রধানমন্ত্রী কৃষক কল্যাণ কর্মসূচিতে উপকৃত ৭১৩৩৪ জনকে তদন্তের আওতায় এনে ৫১২৩১ জন যােগ্য নিরূপিত । বাকিদের অর্থ বিভাগীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে ফেরত , জানিয়েছেন মন্ত্রী । এর অর্থ ২০ হাজার ৯৩ জন ভুয়াে কৃষকের নামে অর্থ বিলানাে হয় । মন্ত্রী জানান , ৭০ হেক্টর জমিতে ধানের চারা লাগিয়ে রাখা হয়েছে প্রস্তুত । বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে ৭০০ হেক্টর জমিতে লাগানাে যাবে সে চারা । সমাজকল্যাণ বিভাগের মাধ্যমে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ২৫১১১ জনকে পুষ্টিকর এবং ১ লক্ষ ১৭৯২ টি শিশুকে পুষ্টিকর আহার প্রদান করা হয়েছে । দীনদয়াল দিব্যাঙ্গ পেনশনার যােজনায় ৬৫০১ জনকে মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে । জল জীবন মিশনের আওতায় ৪৯৬৬৮ পরিবারকে পানীয়জল পৌছাবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ । স্বচ্ছ ভারত মিশনে নির্মাণ করা হয়েছে ৯০৯১৫ টি আইএইচএইচএল । এছাড়া , জেলায় বিভিন্ন বিভাগের রাজস্ব আদায়ের খতিয়ান পেশ করেন তিনি । ওইদিনের কার্যসূচির মধ্যে ডাকবাংলাে শহিদবেদিতে পুস্পার্ঘ্য নিবেদন করেন মন্ত্রী । রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের সম্পাদকের হাতে মিশনে ছুটে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর শ্রেষ্ঠ সমাজসেবীর পুরস্কার তুলে দেন । জাতীয় পতাকা তােলার পর সরকারি স্কুলের খেলার মাঠে সম্মিলিত বাহিনীর অভিবাদন গ্রহণ করেন মন্ত্রী । সরকারি - বেসরকারি পর্যায়ে এছাড়া সারা জেলায় কোভিড -১৯ প্রটোকল মেনে । উদ্যাপিত হয়েছে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান ।