করোনা আতংকের মাঝে নদী ভাঙনে চিন্তায় বেতগুড়ির মানুষ
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৩:২৮ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২০ রোববার
গত কয়েকদিন যাবৎ ডুয়ার্সে চলছে বৃষ্টি। নদী ফুলেফেঁপে ধেয়ে আসছে গ্রামের দিকেক্ষতি কৃষিজমি, গাছপালা, আতঙ্কিত গ্রামের মানুষ।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়েছে মালবাজার মহকুমার ডামডিম গ্রাম পঞ্চায়েতের বেদগুড়ি চাবাগান এলাকার কামু লাইন এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকা। আর এতেই করোনা আতঙ্কের পাশাপাশি নদী ভাঙ্গনের দুশ্চিন্তায় এলাকার মানুষেরা।
এলাকার বাসিন্দা অনিল ওড়াও বলেন এই গ্রামের পাশ দিয়ে গেছে চৈতী নদী। এত দিন কোন অসুবিধা হয় নি। তবে এবছর প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। তাই প্রতিদিন গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চেইতি নদী গ্রামের দিকে ধেয়ে আসছে। ইতি মধ্যে বহু কৃষি জমি, বাশ গাছ সহ অন্যান্ন গাছ নদীর গ্রাসে চলে গেছে। এখন বসতি এলাকার খুব কাছাকাছি এসেছে এই নদী। এই ভাবে নদী ভাঙ্গন হতে থাকে শ্রমিক আবাসন সব নদীর গর্ভে চলে যাবে।
তবে এত কিছু ভাঙ্গনের কারন নদীর গতিপথ পরিবর্তনের ফলেই হয়েছে। কারন এই চেইতি নদী কয়েক বছর আগে গতিপথ পরিবর্তন করছে। যে দিক দিয়ে নদীটি প্রবাহিত হত, সেই দিক দিয়ে এখন আর প্রবাহিত হয় না। এখন গ্রামের কাছ দিয়ে বইছে এই নদী। তাই সরকারের কাছে দাবি অবিলম্বে নদীর গতিপথ আগের অবস্থায় আনা হোক। পাশাপাশি গ্রামের যে জায়গায় নদী ভাংছে, সেখানে প্রটেকশন বাধ দেওয়া হোক। যাতে গ্রাম কে রক্ষা করা যায়।
গ্রামের কৃষক পৌলুস ওড়াও এবং মোনজিত ওড়াও দের বক্তব্য, এবছর অনেক ক্ষতি হয়েছে আমাদের। বহু কৃষি জমি এবং গাছ নদী ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। বৃষ্টি হলেই রাতে গ্রামের মানুষেরা আতঙ্কে থাকছে। কখন বুঝি গ্রামের বাড়িঘর নদী ভেঙ্গে নিয়ে যায়। প্রতিদিন যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে চিন্তা দ্বিগুণ বারিয়ে দিয়েছে এই নদী। তাই গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে আমাদের দাবি নদীটির গতিপথ আগের অবস্থায় করা হোক।
এব্যাপারে এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য নিরুপা কুজুর বলেন, এব্যাপারে আমি গ্রাম পঞ্চায়েতে অনেকবার বলেছি কিন্তু এখনো কোন কাজ হয় নি। সেই কারনে চিন্তিত আমরাও। এব্যাপারে যাতে এই এলাকায় লোহার জালি পাথর দিয়ে বাধ দেওয়া যায় তাহলে গ্রাম কে বাচানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি নদীর গতিপথটি যদি পরিবর্তন করা যায় সে বিষয়েও কথা বলবো উর্ধতন কতৃপক্ষের সঙ্গে।