কালাইনে শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার ছাত্রী! থানায় মামলা
দিদারুল ইসলাম, আসাম
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১১:৫৬ এএম, ২১ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার
শিক্ষার ক্ষেত্রে মা বাবার চেয়ে পূজনীয় শিক্ষক সমাজ। শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। একজন সু-শিক্ষক সমাজের দর্পন সরূপ। তাই শিক্ষককুল সর্বদাই শ্রদ্ধার পাত্র। যুগ যুগ ধরে প্রচলিত এসব কথা যেন আজ সেকেলে। রাজধানী গুয়াহাটির এক শিক্ষকের যৌন লালসার দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে আজ ও দগদগ করছে। এরই মধ্যে কাটিগড়ার কালাইনে এক শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হল এক ছাত্রী। ঘটনার পর গণপ্রহারে জখম হন শিক্ষক। মামলা দায়ের হয় কাটিগড়া থানায়।
ধর্ষিতা রূমা তাঁন্তির (পরিবর্তিত নাম )বয়ান মতে, সে কালাইন হাইয়ার সেকেন্ডারী স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্রী। প্রতিদিনের মত সোমবার ও ওই স্কুলেরই অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞান শিক্ষক কৌশিক নাথের বাড়িতে প্রাইভেট ক্লাস করতে গিয়েছিল। সেখানে অন্যান্য ছাত্রদের থেকে দূরে অর্থাৎ অন্য এক কক্ষে ডেকে নিয়ে বল পূর্বক তার পাশবিক বাসনা চরিতার্থ করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। অনেক কশরতের পর সেখান থেকে কোনক্রমে পালিয়ে রাজপথে বেরিয়ে আসে ছাত্রী। তার চিৎকারে জড়ো হন স্থানীয়রা। হাজির হন তার বাসস্থান কালাইন বাগানের লোক জনও। ঘটনা শুনে মেজাজ হারান লোকজন। ঝাঁকে ঝাঁকে লোক শিক্ষক কৌশিক বাবুর বাড়ীতে গিয়ে টেনে হিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশে সমঝে দেন।পুলিশ কৌশিক বাবুকে পৌঁছায় কাটিগড়া থানায়। পৌঁছায় ধর্ষিতা সহ তার পক্ষের কম করেও ৩ শতাধিক পুরুষ মহিলা। শিক্ষক কৌশিক নাথকে অভিযুক্ত করে কাটিগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতার পিতা রথু তাঁন্তি।
এদিকে, কালাইন আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সভাপতি কার্তিক তাতি, কালাইন বিজেপি মন্ডল সভাপতি নিত্য গোপাল দাস, কালীবাড়ী জিপির এপি সদস্য মনি রানী বাকতি ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত ক্রমে দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন। দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি করে অল আদিবাসী স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েসন অব আসাম বরাকভ্যালি কোঅর্ডিনেশন কমিটির সভাপতি সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এই ঘটনা এখন কালাইন এলাকায় জোর চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।